NCTB-এর অনুশীলন বইয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে শেখানো হয়েছে:
আত্মপরিচয় কী? আত্মপরিচয় কেন গুরুত্বপূর্ণ? আমি নিজেকে যেটা মনে করি, সেটা আমার পরিচয়? নাকি সবাই আমাকে যেটা মনে করে, সেটা আমার পরিচয়?
এরপর একটা গল্প দেয়া হয়েছে:
এক ভাল্লুক জঙ্গল থেকে বেরিয়েছে। মানুষরা দেখে মনে করছে ভাল্লুকটা একটা দাড়িমোছ না চাঁছা শ্রমিক। ভাল্লুক বার বার বলছে সে ভাল্লুক, কিন্তু কেউ মানছে না। সুতরাং অন্যরা আমাকে কী মনে করলো তা জরুরি না। আমি নিজে আমাকে কী মনে করি, সেটাই আমার পরিচয়।
আর ৭ম শ্রেণীতে শেখানো হচ্ছে: আত্মপরিচয় কত রকম হতে পারে? নারী-পুরুষ ফিক্সড কোনো পরিচয় না। পুরুষাঙ্গ থাকলেও শরীফ যদি মনে করো সে শরীফা, তাহলে সে শরীফা-ই। এটাই আত্মপরিচয়। জৈবিক পরিচয়ে সামাজিক পরিচয়ে সে আবদ্ধ না, আত্মপরিচয়ই তার পরিচয়। পুরুষ শরীরে (biological sex) পুরুষের মতোই জীবনযাপন (gender) করতে হবে, এমন না।
এটাই জন মানি নামক আমেরিকান মনোবিজ্ঞানীর বিখ্যাত ‘জেন্ডার থিওরি’ (১৯৭১)। জন মানি তার ভুল চিন্তাকে এপ্লাই করে আত্মহত্যার পথে ঠেলে দিয়েছিলেন দুই ভাইকে। ধ্বংস করে দিয়েছিলেন একটা ছেলের জীবন, তার পরিবারের জীবন।
যখন তিনি তার থিওরিকে ছেলেটির উপর এপ্লাই করছিলেন তখন সপ্তায় সপ্তায় মিডিয়া কাভার করলেও, যখন এক্সপেরিমেন্ট ব্যর্থ প্রমাণ হলো তখন আর তা কাভারেজ পেলো না।
দেখুন জন মানির এই থিওরি, যা পড়ানো হবে আপনার সন্তানকে। এ কাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন আপনার সন্তানকে? এ কোন দুনিয়ায় রেখে যাচ্ছেন তাদের?
– ডাঃ শামসুল আরেফীন শক্তি