ভাবনার অনেকটা পথ হেঁটে এসে
আমি থমকে গিয়েছি!
কলমের অলসতায় আড়ষ্ট হয়ে গিয়েছে
আমার লেখার হাত।
আকাশের বুকে চাঁদের হাসিটাও
কেন যেন মলিন।
ভাসা ভাসা মেঘের আড়ালে
তার সৌন্দর্যটাও যেন ফিকে হয়ে গেছে।
মৌনতা ছড়ানো রাতে আমি ঘুমহীন। ঘুমোবার বাহানায় চোখ বুজে স্মৃতি হাতরাই।
কিছু মরীচিকা পাই।
ওগুলোই ছুঁয়ে দেখি।
গুঁড়ো গুঁড়ো মরীচিকায়
বিন্দু বিন্দু ভাললাগা উঁকি দেয়।
ভুবন ভোলানো হাসিতে স্বাগত জানায়
সাদা-কালোর জগতে।
ঐ হাসি আমি উপেক্ষা করতে পারিনা।
আবারও আমি ফেঁসে যাই মায়ার জালে।
নিয়তির সাইক্লোনে ছিন্ন-ভিন্ন হওয়া
সূতোয় আমি আবারও গিঁটু বাঁধি।
জোড়া লাগানোর বৃথা চেষ্টা করেই
আমি সুখ পান করি।
বিষাদের তৃষ্ণা নিমিষেই নিবারিত হয়।
রাত জাগানিয়া পাখিটাও
আমাকে দেখে মুচকি হাসে।
তার ভাবনার নদীতে
দোল খায় আমার চিন্তনচিত্র।
নিয়মে নিয়ন্ত্রিত ঘড়ির সময়গুলো উবে
গিয়েছ মানসের অন্তরালে।
টিকটিক শব্দে এখন চলে
মুহূর্ত হারানোর জমকালো আয়োজন।
লেখা: মেহেজাবীন শারমিন প্রিয়া