সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর বৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণে লকডাউনের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছে।
ঘটনাস্থলে যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, গুলিস্তান, মতিঝিল, ফার্মগেট, মালিবাগ, মৌচাক, রামপুরা, বাড্ডা, কুড়িল, মহাখালী ও রাজধানীর অন্যান্য অঞ্চলগুলির রাস্তা বেশ ফাঁকা পাওয়া গেছে। তবে মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার, সিএনজি, কয়েকটি বাসও কোথাও চলাচল করতে দেখা গেছে।
এর আগে, দেশে করোনার এ জাতীয় প্রাদুর্ভাব রোধ করতে আগামী এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণার প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল সরকার। রবিবার (৪ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে যে জরুরি সেবা ব্যতীত অন্য সকল সোমবার (৫ এপ্রিল) সকাল 6 টা থেকে রবিবার (১১ এপ্রিল) বেলা বারোটা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। জরুরী পরিষেবাগুলিতে পণ্য পরিবহন, জ্বালানী, ওষুধ, ধ্বংসাত্মক, ত্রাণ পরিবহন, সংবাদপত্র, পোশাক অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
এদিকে, লকডাউনের খবরের পর থেকে গত দুই দিনে কয়েক হাজার মানুষ রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছেন। বাস ও ট্রেনে করে কয়েক হাজার স্বল্প আয়ের মানুষ এবং তাদের পরিবার Dhakaাকা ত্যাগ করেছেন।
এ ছাড়া সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে গণপরিবহন বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এর আগে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছিলেন যে জরুরি খাদ্য ট্রেন বাদে সব ধরণের যাত্রীবাহী ট্রেনই তালাবন্ধে বন্ধ হয়ে যাবে। গত বছরের মতো এই লকডাউনে কেবল মালবাহী ট্রেন চলাচল করবে, তিনি আরও বলেন, প্রজ্ঞাপনে লকডাউন জারি করা অবধি যাত্রী ট্রেন চলাচল করবে না।