বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ ওরফে প্রিন্স বলেছেন, চলমান গণবিক্ষোভ থেকে বাঁচতে আওয়ামী লীগ সরকার সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের পথ বেছে নিয়েছে। তারা রক্তের হোলি খেলায় মেতে উঠেছে।
মঙ্গলবার বিকেলে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার জুগলী ইউনিয়নের খলিশাকুড়ি ঈদগাহ মাঠে এক শোকসভা ও দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি।
জুগলী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামের মৃত্যুতে এ শোকসভার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হানিফ মোহাম্মদ ওরফে শাকের উল্লাহ।
শোকসভায় এমরান সালেহ বলেন, নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনে আওয়ামী নেতারা দুর্নীতি ও লুটপাটে নিমজ্জিত। তাঁদের অপকর্মে দেশ ধ্বংসের মুখোমুখি। এখন টিকে থাকতে মরিয়া হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে বিরোধী দলের নেতা–কর্মীদের ওপর আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ সন্ত্রাসী হামলা করছে।
রক্তচক্ষু দেখিয়ে ও রক্ত ঝরিয়ে জনগণকে দমন করা যাবে না মন্তব্য করে বিএনপির এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, গণবিক্ষোভ থেকে বাঁচতে আওয়ামী লীগের নেতারা প্রতিদিন মিথ্যাচারের ভাঙা রেকর্ড বাজাচ্ছে। বৈশ্বিক সংকটের কথা বলে নিজেদের সীমাহীন ব্যর্থতা আড়াল করার অপচেষ্টা করছে। সরকারের দুর্নীতি, লুটপাট, অব্যবস্থাপনা, ভ্রান্তনীতির ফলে সর্বগ্রাসী সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এই সংকটের মধ্যেও সরকারি দলের নেতাদের দুর্নীতি, লুটপাট, নির্যাতনসহ সব ধরনের অপকর্ম থেমে নেই।
এমরান সালেহ আরও বলেন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, আইনের শাসন, রাজনৈতিক অধিকারসহ জন–অধিকার হরণ করে কর্তৃত্ববাদী দুঃশাসন কায়েম করেছে সরকার। এর করুণ পরিণতি ভোগ করতে হবে আওয়ামী লীগকেই।
শোকসভায় অন্যদের মধ্যে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আসলাম মিয়া, আবু হাসনাত, বদরুল কবির, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য আবদুল হামিদ, আলী আশরাফ, উপজেলা বিএনপির নেতা কাজী ফরিদ আহমেদ, মিজানুর রহমান, রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক মোফাজ্জল হোসেন, হাফিজ উদ্দিন, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা হোসনে আরা ওরফে নীলু, সহ–সভানেত্রী মনোয়ারা বেগম, ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আবুল কাশেম প্রমুখ।