পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের সাথে বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের মধ্যে ২০২১-২২ অর্থ বছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) মঙ্গলবার বিকালে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের কনফারেন্স রুম শাপলায় স্বাক্ষর হয়।
ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ ড. বেনজীর আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশের ৩৬টি ইউনিটের প্রধানদের সঙ্গে এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
অতিরিক্ত আইজি ড. মো. মইনুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পুলিশ স্টাফ কলেজ বাংলাদেশের রেক্টর মোহাম্মদ নাজিবুর রহমান এনডিসি, ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত আইজি মো. মাজহারুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইজিপি বলেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সরকারের একটি ভালো উদ্যোগ এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আধুনিক প্রশাসনিক কৌশল। তিনি এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, দেশ এবং সমাজকে অপরাধমুক্ত, শান্তিপূর্ণ এবং সুশৃঙ্খল রাখার মাধ্যমে রুল অব ল প্রতিষ্ঠা ও অ্যাকসেস টু জাস্টিস নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছে বাংলাদেশ পুলিশ।
আইজিপি এপিএ নিয়মিত পর্যালোচনার মাধ্যমে এর লক্ষ্যমাত্রা পরিপূর্ণ মাত্রায় অর্জন এবং বাস্তবায়নের জন্য ইউনিট প্রধানদের নির্দেশ দেন।
আইজিপি বলেন, আপনারা অবসর গ্রহণের পর নিজেরা সাধারণ নাগরিক হিসেবে যেমন পুলিশি সেবা পেতে চান ঠিক সে রকম সেবা এখন থেকেই মানুষকে দিন।
সরকারি কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি এবং সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এপিএ একটি সরকারি সিদ্ধান্ত এবং সময়াবদ্ধ পরিকল্পনা, যা নির্দিষ্ট অর্থ বছরের ১ জুলাই থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত কার্যকর থাকে। বাংলাদেশ পুলিশ ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের এপিএ চুক্তিতে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে।
২০১৯-২০ অর্থবছরে দ্বিতীয় স্থান অর্জনের মাধ্যমে তুলনামূলকভাবে অন্যান্য দপ্তর ও সংস্থা সমূহের মধ্যে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে।