৩১শে মার্চের মধ্যে ৪০ লক্ষ ভ্যাকসিন সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা হাতে নিয়ে বিপাকে পড়েছে অস্ট্রেলিয়া। লক্ষ্যমাত্রা থেকে ৩৪ লক্ষ ভ্যাকসিনের ঘাটতি দেখা দেওয়ায় অস্ট্রেলিয়ান সরকারকে সমালোচনার শিকার হতে হচ্ছে। বিসব্রেনে করোনার প্রকোপ রুখতে লকডাউন দেওয়ার ঠিক ২দিন পর ৮৫% ভ্যাকসিনের ঘাটতির সম্মুখীন হলো দেশটি।
গত সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়ান সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, অস্ট্রেলিয়ায় করোনা সংক্রমনের হার তুলনামুলক কম হওয়ায় ভ্যাকসিন প্রয়োগের জরুরী অবস্থা সৃষ্টি হয়নি। উল্লেখ্য কোভিড-১৯ পরিস্থিতি শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটিতে ২৯,৩০০ জন আক্রান্ত হয়েছে ও ৯০৯ জন মারা গেছে, যা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম।
ব্রিসবেনে করোনায় আক্রান্ত একই হাসপাতালের একজন চিকিৎসক ও নার্সের মাধ্যমে জনসাধারনের মাঝে সংক্রমন ছড়িয়ে পড়েছে বলে ধারনা করছেন শহরটির স্বাস্থ্যকর্মকর্তারা। তারা বলেছেন, এই স্বাস্থ্যকর্মীদের কেন এখনো ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়নি তা স্পষ্ট নয়। ভ্যাকসিন প্রদানে এমন ব্যবস্থাহীনতার জন্য সরকারকে দায়ী করছেন সমালোচকরা।
গত ২২শে ফেব্রুয়ারী করোনার ভ্যাকসিন প্রদানের কার্যক্রম শুরু করে দেশটি। অস্ট্রেলিয়া ফাইজার এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন প্রদান করছে এবং শতকরা ১০০ জনের জন্য ২.৩টি ভ্যাকসিন মজুদ রয়েছে। গত মঙ্গলবার, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা পল কেলি জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত ৫৯৭০০০ টি ডোজ দেওয়া হয়েছে।
জানুয়ারিতে, প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন মার্চ মাসের মধ্যে প্রথম উদ্যোগের চার মিলিয়ন লোককে টিকা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন।
এই মাসের শুরুর দিকে, সরকার স্বীকার করেছে যে, এটি ট্র্যাকে নেই। তারা তাদের এ লক্ষ্যকে এপ্রিল পর্যন্ত পিছিয়ে দিয়েছে। সাথে সাথে অক্টোবরের মধ্যে প্রতিটি অস্ট্রেলিয়ান নাগরিককে পুরোপুরি টিকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি থেকে সরে এসেছে অস্ট্রেলিয়ান সরকার।
Reporter: N Hossain