অসমাপ্ত আত্নজীবনী রিভিউ হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদৃষ্টা ,বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশ্লেষন ধর্মী অদ্বিতীয় ও অসাধারণ রচনা “অসমাপ্ত আত্নজীবনী” । অসমাপ্ত আত্নজীবনী বইটিতে তিনি বিশদ ব্যাখ্যা, তথ্য, তত্ত্ব ও প্রখর যুক্তির মধ্য দিয়ে পাঠকের কাছে রাজনীতির নিরপেক্ষ ইতিহাস ফুটিয়ে তুলেছেন অসমাপ্ত আত্নজীবনী।
অসমাপ্ত আত্নজীবনী রিভিউ
অসমাপ্ত আত্নজীবনী রিভিউ উপমা আর রূপকের কারুকার্যে মন ভোলানো লেখনি তার ছিল না । কিন্তু তার পরেও মন্ত্র মুগ্ধের মতো পড়তে হয় । সহজ মানুষের সহজ বাক্য সহজ শব্দ , সহজ ভাষা হৃদয়ের গভীর থেকে উঠে আসা ,ঠিক তার ভাষন গুলোর অসমাপ্ত আত্নজীবনী রিভিউ মতোই । বন্ধু বান্ধব আর স্ত্রীর অনুরোধে জেলখানায় বসে তিনি লিখতে শুরু করেছিলেন তার অসমাপ্ত জীবনের অসমাপ্ত গল্প। বইয়ের একেবারে শুরুতেই তিনি সরল স্বীকারুক্তি করেন, “লিখতে যে পারিনা , আর এমন কি করেছি যা লেখা যায় । আমার জীবনের ঘটনা গুলো জেনে জনসাধারণের কি কোন কাজে লাগবে ।
কিছুই তো করতে পারলাম না শুধু এটুকু বলতে পারি নীতি ও আদর্শ জন্য সামান্য এতটুকু ত্যাগ স্বীকার করতে চেষ্টা করেছি ।” অসমাপ্ত আত্নজীবনী রিভিউ বইটির ভূমিকা লিখেছেন বঙ্গবন্ধুর বড় কন্যা শেখ হাসিনা । ভূমিকাতে তিনি সুন্দর ও সাবলীল ভাবে বই কিভাবে আবিষ্কার হল বইয়ের বিষয় বস্তুু কি ? যারা তাকে বইটি প্রকাশে সহযোগিতা করেছে সকলকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়ে ভূমিকাটি অসমাপ্ত আত্নজীবনী রিভিউ শেষ করেছেন । বইটির শেষে টিকা , বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক জীবন পরিচয় ও জীবন বৃত্তান্ত মূলক টীকা অসমাপ্ত আত্নজীবনী রিভিউ , নির্ঘণ্ট বইটিকে রেফারেন্স গ্রন্থ হিসাবে পাঠকের কাছে অতূলনীয় করে তুলেছেন ।
অসমাপ্ত আত্নজীবনী রিভিউ
বুক রিভিউ অসমাপ্ত আত্মজীবনী
বুক রিভিউ অসমাপ্ত আত্মজীবনী তিনি ১৯২০ সালে ১৭ ই মার্চ গোপালঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামের মধুমতি নদীর তীরে জন্ম গ্রহন করেন । ১৯২৭ সালে লেখক জিমাডাঙ্গা প্রথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশুনা শুরু করেন যখন তার বয়স ৭ বছর । নয় বছর বয়সে তথা ১৯২৯ সালে গোপালঞ্জের পাবলিক স্কুলে ভর্তি হন এবং এখানেই ১৯৩৪ সাল পর্যন্তই পড়াশুনা করেন । ১৯৩৭ সালে গোপালঞ্জের নাথুরানাথ ইনস্টিটিউট মিশন স্কুলে সপ্তম শ্রেনীতে ভর্তি হন ।১৯৩৪ থেকে চার বছর তিনি বিদ্যালয়ে পাঠ চালিয়ে যেতে বুক রিভিউ অসমাপ্ত আত্মজীবনী পারেননি । কারণ লেখকের চোখে জটিল রোগের কারণে সার্জারি করাতে হয়েছিল ।গোপালঞ্জের মিশনারি স্কুল থেকে তিনি ম্যাট্রিকুলেশন পাস করে। ১৯৪২ সালে এনট্র্যান্স পাস করার পর কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে ( বর্তমান নাম মাওলানা আজাদ কলেজ ) আইন পড়ার জন্য ভর্তি হন ।কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত এই কলেজ থেকে তিনি বি.এ.ডিগ্রি অর্জন করেন ।ভারত ও পাকিস্থান পৃথক হয়ে যাবার পর শেখ মুজিব পূর্ব পাকিস্তানে ফিরে আসেন । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে অধ্যায়ন করেন । মহান এ নেতা ছোটবেলা থেকেই রাজনীতি ও দেশব্রত আত্বনিযোগ করেন । ভাষা আন্দোলন সহ বিভিন্ন জাতীয়বাদী আন্দোলনে যোগ বুক রিভিউ অসমাপ্ত আত্মজীবনী দেন । তিনি একাধিক বার কারা বন্দিও হয়েছেন । ১৯৫৫ সালে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সভা থেকে পদত্যাগ করে দেশব্যাপি সফরের মাধ্যমে মানুষের মনে বাঙ্গালির জাতীয়তাবোধ রাজনৈতিক সচেতনতা সৃষ্ঠি করেন । এছাড়া বাঙ্গালির মুক্তির সনদ হিসাবে পরিচিতি ছয় দফা দাবি উন্থাপন করে সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে সমর্থ বুক রিভিউ অসমাপ্ত আত্মজীবনী হয়েছিলেন। এভাবে বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে রাজনৈতিক নানা লড়াই উৎরাইসের মধ্যে দিয়েই বাংলাদেশকে তিনি নিয়ে যান মুক্তির দিশায় । বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসীম বীরত্ব ও সাহসীকতা এবং নেতৃত্বই জয়লাভ বুক রিভিউ অসমাপ্ত আত্মজীবনী করে বিশ্বে মানচিত্রে লাল সবুজের পতাকা বাহি বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের ।
বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত জীবনী’র অসমাপ্ত রিভিউ
বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত জীবনী’র অসমাপ্ত রিভিউ বইটিতে সংক্ষিপ্ত ভাবে আলোচনা করা হয়েছে লেখকের বংশ পরিচয় জন্ম ,শৈশব স্কুল ও কলেজ শিক্ষা জীবনের পাশাপাশি সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ড, দুর্ভিক্ষ , বিহার ও কলকাতা ডাঙ্গা বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত জীবনী’র অসমাপ্ত রিভিউ, দেশ ভাগ , কলকাতা কেন্দ্রিক প্রদেশিক মুসলিম ছাত্রলীগের রাজনীতি,দেশ বিভাগের পরবর্তি সময় থেকে ১৯৫৪ সাল অবধি পূর্ব বাংলার রাজনীতি কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক মুসলিম লীগের সরকারের অপশাসন, ভাষা আন্দলোন , ছাত্রলীগ ও আওয়ামীলীগ প্রতিষ্ঠা , যুক্তফ্রন্ট গঠন ও নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত জীবনী’র অসমাপ্ত রিভিউ , আদমজীর দাঙ্গা, পাকিস্থান কেন্দ্রীয় সরকারের বৈষম্যমূলক শাসন ও প্রাসাদ ষড়যন্ত্রর বিস্তৃত বিবরন এবং সব বিষয়ে লেখকের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা বর্ননা রয়েছে । আছে লেখকের কারা জীবন বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত জীবনী’র অসমাপ্ত রিভিউ, পিতা মাতা , সন্তান-সন্ততি ও সর্বপরি সর্বংসহাসহ ধর্মিনীর কথা ।
যিনি তাঁর রাজনৈতিক জীবনের সহায়ক শক্তি হিসাবে সকল দুঃসময়ে অবিচল পাশে ছিলেন । একই সঙ্গে লেখকের চীন ভারত ও পশ্চিম পাকিস্থান ভ্রমনের বর্ননা ও বইটিকে বিশেষ মাত্রা দিয়েছে ।
অসমাপ্ত আত্মজীবনী সারমর্ম
অসমাপ্ত আত্মজীবনী সারমর্ম তিনি কাজ করতে করতে শিখেছেন ভুল হলে স্বীকার করেছেন , সংশোধনের চেষ্টা করেছেন । অসমাপ্ত আত্মজীবনী সারমর্ম তিনি বলেছেন এভাবে আমার কোন ভুল হয় বা অন্যায় করে ফেলি , তা স্বীকার করতে আমার কোনদিন কষ্ট হয় নাই । ভুল সংশোধন করে নেব , ভুল তো মানুষেরি হয়ে থাকে । আমি অনেকেরি মধ্যে দেখেছি অসমাপ্ত আত্মজীবনী সারমর্ম, কোন কাজ করতে গেলে শুধু চিন্তাই করে । চিন্তা করতে করতে সময় পার হয়ে যায় । ,কাজ আর হয়ে ওঠে না ।আমি চিন্তা ভাবনা করে যে কাজটা করবো অসমাপ্ত আত্মজীবনী সারমর্ম ঠিক করি তা করেই ফেলি ।যদি ভুল হয় তা সংশোধন করে নেই । কারন যারা কাজ করে তাদেরই ভুল হতে পারে অসমাপ্ত আত্মজীবনী সারমর্ম আর যারা কাজ করে না তাদের ভুলও হয় না ।
অসমাপ্ত আত্মজীবনী সারমর্ম তে একজন ব্যক্তি মুজিব কে কতোটা কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। উল্লেখিত লাইন গুলো থেকে বোঝা যায় ।“ একদিন সকালে আমি ও রেনু বিছানায় বসে গল্প করছিলাম , হাচু ও কামাল খেলছিল হাচু মাঝে মাঝে খেলা ফেলে আমাদের কাছে আসে আর আব্বা আব্বা বলে ডাকে ।কামাল চেয়ে থাকে এক সময় কামাল হাচিনাকে বলেছে হাচু আপা হাচু আপা তোমার আব্বুকে আমিও একটু আব্বু বলে ডাকি । আমি আর রেনু দুজনেই শুনছিলাম , আস্তে আস্তে বিছানা থেকে উঠে যেয়ে বলি আমি তো তোমারও আব্বা । কামাল আমার কাছে আসতে চাইতো না ।
আজ গলা ধরে রইলো বুঝতে পারলাম এখন আর ও সহ্য করতে পারছেনা নিজের ছেলেও অনেক দিন না দেখলে ভুলে যায় আমি যখন জেলে যাই ওর বয়স মাত্র কয়েক মাস। অসমাপ্ত আত্মজীবনী সারমর্ম রাজনৈতিক কারনে একজনকে বিনা বিচারে বন্দি করে রাখা আর তার আত্বীয় স্বজন ছেলে মেয়ের কাছ থেকে দূরে রাখা যে কতো বড়ো জঘন্যতা তা কে বুঝবে । মানুষ সার্থের জন্য অন্ধ হযে যায়। ” একজন পিতার ওরশজাত সন্তান সে তার নিজের বাবাকে চিনতে পারছে না ভাবা যায় । বিনা কারনে তার এই অসমাপ্ত আত্মজীবনী সারমর্ম কারা ভোগের দিনগুলি মুজিব ও তার পরিবার মিলে যেভাবে পার করেছেন আমাদের পক্ষে কখোনো এই অনুভূতি গুলো বুঝতে পারা কখনও সম্ভব না ।
বাঙ্গালির স্বভাব নিয়ে লেখক বইয়ের একজায়গায় বলেছেন আমাদের বাঙ্গালির মধে দুইটা দিক আছে একটা হল আমরা মুসলমান আর একটা হইল আমরা বাঙ্গালী । পরশ্রীকাতরতা এবং বিশ্বাস ঘাতকতা আমাদের রক্তের মধ্যে রয়েছে। বোধ হয় দুনিয়াকে কোন ভাষাই এই কথাটা পাওয়া যাবে না ।পরশ্রীকাতরতা।পরেশ্রী দেখে যে কাতর হয় তাকে পরশ্রীকাতরতা বলে ।ঈর্ষা দ্বেষ্য সকল ভাষায়ই পাবেন সকল জাতির মধ্যে আছে । কিন্তু বাঙ্গালীদের মনে আছে পরশ্রীকাতরতা । পাকিস্তান স্বাধীন করেও মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে পারেননি বলে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছেন। বাঙ্গালী জাতি চেতনা বোধ নির্মানে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন । তখন মুসলীম লীগের সৈরাচারী শাসন ও অবিচারের বিরুদ্ধে যে লড়াই করেছেন দেশ স্বাধীন করেছেন আফসোস সেই লড়াইয়ে , প্রাঙ্গিক অথচ সংগ্রাম সমান জাগরূক নয় ।
এ ছবি আমাদের বেশ পরিচিত । মুসলীম লীগ নেতারা একটা ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করতে চেষ্টা করেছিল যাতে কেউ সরকারের সমালোচনা করতে না পারে ।মুসলীম লীগ নেতারা বুঝতে পারছিল না যে পন্থ্া তারা অবলম্বন করেছিলেন সেই পন্থা একদিন তাদের উপর ফিরে আসতে বাধ্য । ও তারা ভেবে ছিলেন গুলি দিয়ে মারপিট করেই জনমত দাবাতে পারবেন । এ পন্থা যে কোন দিন সফল হয় নাই ।আর হতে পারে না । এ শিক্ষা তারা ইতিহাস পড়ে শিখতে চেষ্ঠা করেন নাই ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ ভাগের পরপরই বুঝতে পারলেন – স্বাধীন দেশে সাধারন মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির যে স্বপ্ন তিনি দেখিয়েছেন তা অধরাই থেকে যাচ্ছে । বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ বিভাগের পর তার রাজনীতির গুরু শহীদ সাহেব পশ্চিম বাংলার মানুষের কথা চিন্তা করে সেখানেই থেকে গেলেন । এদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নাজিম উদ্দিন নেতা নির্বাচিত হয়ে ঢাকা চলে এলেন। শুরু হল মুসলীম লীগের দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির খেলা । এই সময় তিনি তার অবস্থান থেকে সব অন্যায়ের যথাসাধ্য প্রতিবাদ করেছেন , কথা বলেছেন নিপীরিত মানুষের পক্ষে । সে সব বর্ননা অত্যান্ত প্রাঞ্জলভাবে এই বইয়ে উঠে এসেছে । শুধু তাই নয় কলকাতা ও সিলেট নিয়ে ব্রিটিশদের রাজনীতির বিবরণও পাওয়া যায় ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ বিভাগের পর ১৯৪৮ সালে শুরু হয় বাংলা ভাষাকে রাষ্টভাষা করার দাবী আদায়ের আন্দোলন । ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় অংশ গ্রহন বিভিন্ন কর্মসূচী পালনে দেশের বিভিন্ন জেলায় যাওয়া প্রভৃতির বর্ননা দেওয়া আছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গ্রন্থে । ঐ সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের নায্য দাবি আদায়ের আন্দোলনেও তার অংশগ্রহনের কথা এসেছে ।এরই মধ্যে মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে মানুষের অসন্তোষ বেড়ে যাওয়ায় নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের প্রযোজনীয়তা দেখা দেয় ।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জেলে থাকা অবস্থায় ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকায় পুরোনো লীগ কর্মী ও অন্য অনেক নেতা কর্মী নিয়ে আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠিত হয় ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে প্রতিহিংসার রাজনীতি ঘৃনা করতেন তা অসমাপ্ত আত্নজীবনীতে সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে । বইয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান লিখেছেন, ১৯৫১ সালের অক্টোবর মাসে মাওলানা ভাসানী ও আমি যখন জেলে সেই সময় জনাব লিয়াকত আলী খানকে রাওয়ালপিন্ডিতে এক জনসভায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল । যদিও তারই হুকুমে এবং নুরুল আমিন সাহেবের মেহের বানীতে আমরা জেলে আছি তবুও তার মৃত্যুতে দুঃখ পেয়েছিলাম । কারণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ষড়যন্ত্রের রাজনীতিকে আমরা বিশ্বাস করি না । রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীকে গুলি করে মারা যে কত বড় জঘন্য কাজ তা ভাষায় প্রকাশ করা কষ্টকর । আমরা যারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গনতন্ত্র বিশ্বাস করি তারা এ সমস্থ জঘন্য কাজকে ঘৃনা করি । বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একই সাথে বর্ননা করা হয়েছে পাকিস্থানের রাজনীতিতে আমলাতন্ত্রের প্রভাব সম্পর্কে ।
বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে কিছু কথা
বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে কিছু কথা বইয়ে প্রসঙ্গক্রমে অনেক ব্যক্তিত্বের কথা উঠে এসেছে । সবচেয়ে বেশি বার এসেছে হোসেন শহীদ সোহরাওয়াদীর কথা । লেখক যাকে শহীদ সাহেব বলে সম্বোধন করে গেছেন । বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে কিছু কথা শহীদ সাহেব ছিলেন বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির গুরু পরম শ্রদ্ধার পাত্র ।পুরো বই জুড়েই তার প্রতি অকুন্ঠ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে গেছেন। উঠে এসেছে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক যাকে বইয়ে হক সাহেব বলে সম্বোধন করে গেছেন । হক সাহেব ছিলেন বাংলার জনপ্রিয় নেতা । তার বিরুদ্ধে কিছু বলতে গেলে লেখক বারবার বাধা প্রাপ্ত হয়েছেন। এমনকি তার পিতাও হক সাহেবের বিরুদ্ধে কিছু বলতে নিষেদ করেছেন। মাওলানা আব্দুল হামীদ খান ভাসানী বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে কিছু কথা , ধীরেনদ্রনাথ দত্ত, ইত্তেকাফের সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া , টাঙ্গাইলের শামসুল হক বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে কিছু কথা, আবুল মনসুর আহমদ, আবদুস সালাম খান , তাজউদ্দিন আহমদ, ক্যাপ্টেইন মনসুর আলী , খন্দকার মোশতাক আহমদের কথা পুরো বইয়ে আলাদা ভাবে দুএক বার এসেছে ।
বইটিতে আমরা দেখি ব্রিটিশরা যে সাম্প্রদায়িকতার বীজ বপন করে গেছে তার নিজে বইয়ের ২৩ নাম্বার পৃষ্ঠায় পাওয়া যায় । তুই চলে আসার পরে কাকিমা আমাকে খুব বকেছে তোকে ঘরে ঢোকানোর জন্য সমস্থ ঘর আবার পরিষ্কার করেছে এবং পানি দিয়ে ও আমাকে ঘর ধুতে বাধ্য করেছে ।
অসমাপ্ত আত্মজীবনী প্রশ্ন উত্তর
অসমাপ্ত আত্মজীবনী প্রশ্ন উত্তর বঙ্গবন্ধুকে মানুষ কত বেশি ভালোবাসতো তার প্রমাণ আমরা দেখি যখন ১৯৫৪ সালে যুক্তফন্ট নির্বাচনে করেছিলেন বিখ্যাত ধনী ওয়াহী উদ্দীনের বিপক্ষে তখন বঙ্গবন্ধুকে সকলে সহোযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন । অসমাপ্ত আত্মজীবনী প্রশ্ন উত্তর এক বুড়ি তার জন্য কয়েক ঘন্টা অপেক্ষার পরে। তাকে কুটিরে নিয়ে যায় এবং এক বাটি দুধ অসমাপ্ত আত্মজীবনী প্রশ্ন উত্তর, একটা পান ও চার আনা পয়সা দিয়ে তিনি বঙ্গবন্ধকে নির্বাচনে সহোযোগিতা করেন ।
আজমীরে মাজার জিয়ারত অসমাপ্ত আত্মজীবনী প্রশ্ন উত্তর, দিল্লী ভ্রমন ও আগ্রার তাজমহল ভ্রমনের বর্ননায় তার শিল্প রসবোধ প্রকট ভাবে ফুটে উঠেছে । তাজমহল ভ্রমনে গিয়ে বঙ্গবন্দুর ভিতরের কবি সত্তা জেগে উঠতে দেখা গেছে ও রোমান্টিকতার প্রকাশ পেয়েছে । তিনি উল্লেখ করেন সূর্য যখন অস্ত গেল সোনালী রং আকাশ থেকে ছুটে আসছে । অসমাপ্ত আত্মজীবনী প্রশ্ন উত্তর মনে হল তাজের যেন আর একটা নতুন রূপ । সন্ধার একটু পরই চাদ দেখা গেল । চাঁদ অন্ধকার ভেদ করে এগিয়ে আসছে আর সাথে সাথে তাজ যেন ঘোমটা ফেলে দিয়ে নতুন রূপ ধারন করছে । কি অপূর্ব দেখতে । আজ ২১ বছর পরে লিখতে বসে তাজের রূপকে আমি ভুলি নাই ও আর ভুলতেও পারবোনা অসমাপ্ত আত্মজীবনী প্রশ্ন উত্তর। এছাড়া আত্নজীবনীতে বঙ্গবন্ধুর শিল্প , সাহিত্য , কবিতা , সৌহার্য বোধ , ও সঙ্গীতের প্রতি গভির অনুরাগের পরিচয় পাওয়া । নজরুল ও রবীন্দ্রনাথের কবিতা আবৃতি করা ও আব্বাস উদ্দীনের অসমাপ্ত আত্মজীবনী প্রশ্ন উত্তর গানে মুগ্ধ হওয়ার ঘটনার উল্লেখ পাওয়া যায় ।
আমরা বঙ্গবন্ধুর জীবনী থেকে কি শিখতে পারি
আমরা বঙ্গবন্ধুর জীবনী থেকে কি শিখতে পারি নিজে সরাসরি সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন করলেও তিনি মূলত সমাজতন্ত্রের মূলনীতি অর্থাৎ সাম্যে বিশ্বাস করতেন ।প্রায় একই সময় স্বাধীন হওয়া কম্যুনিস্টনতুন চীন সফরে গিয়ে তিনি মুগ্ধ হয়েছেন আর উপলদ্ধি করেছেন সার্থানে¦ষী কার্যকলাপ কীভাবে জনগনের অপমৃত্যু ঘটেছে । আমরা বঙ্গবন্ধুর জীবনী থেকে কি শিখতে পারি চীন সফরের কথা লিখতে গিয়ে সমাজতন্ত্রের প্রতি তার মনোভাব ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেছেন আমি নিজে কম্যুনিস্ট নই । তবে সমাজতন্ত্রে বিশ্বাস করি এবং পুঁজিবাদি অর্থনীতিতে বিশ্বাস করি না ।একে আমি শোষন যন্ত্র হিসাবে মনে করি ।এই পুঁজি পতি সৃষ্টির অর্থনীতি যত দিন দুনিয়ায় থাকবে তত দিন দুনিয়ার মানুষের উপর থেকে শোষন বন্ধ হতে পারে না ।
আরও বলেছেন এভাবে , আওয়ামীলীগ ও তার কর্মীরা যে কোন ধরনের সম্প্রদায়িকতা কে ঘৃনা করে । আমরা বঙ্গবন্ধুর জীবনী থেকে কি শিখতে পারি আওয়ামীলীগের মধ্যে অনেক নেতা ও কর্মী আছে যারা সমাজতন্ত্রে বিশ্বাস করে । এবং তারা জানে সমাজতন্ত্রের পথই একমাত্র মুক্তির পথ । ধনতন্ত্রের মধ্যে জনগনকে শোষন করা চলে । যারা সমাজ তন্ত্রে বিশ্বাস করে তারা কোন দিন সাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাস করতে পারে না ।তাদের কাছে বাঙ্গালি আমরা বঙ্গবন্ধুর জীবনী থেকে কি শিখতে পারি, হিন্দু , মুসলমান , অবাঙ্গালি সবাই সমান । সমাজ তন্ত্রের প্রতি এই দূর্বলতা হয়ত সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে তাকে বাকশাল গঠন করতে উদ্ধুদ্ধ করেছিল। মানুষে রে ধোকা আমি দিতে পারবো না ।
অসমাপ্ত আত্মজীবনী থেকে শিক্ষনীয় বিষয়
অসমাপ্ত আত্মজীবনী থেকে শিক্ষনীয় বিষয় ঙ্গবন্ধু মণিকে এগুলো টাইপ করতে দিয়েছিলেন আত্নজীবনী ছাপাবেন এই চিন্তা করে কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগষ্ঠ সে সুযোগ টা দেয় নি । কাজটা অসমাপ্ত রয়ে যায় । পরবর্তীতে বইটি সম্পাদনা করেন বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা এবং এ কাজে সহযোগিতা করেছেন সাংবাদিক বেবী মওদুদ । বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্নজীবনের অসমাপ্ত আত্মজীবনী থেকে শিক্ষনীয় বিষয় বইটির আবেদন বহুমাত্রিক । শেষ পর্যন্ত শুধুমাত্র একটি আত্নজৈবনিক বই হযে থাকেনি অসমাপ্ত আত্মজীবনী থেকে শিক্ষনীয় বিষয় হযে উঠেছে ১৯৩৮ থেকে ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত উপমহাদেশের বিশেষত পূর্ব বাংলার সংগ্রাম মুখর রাজনৈতীক ইতিহাসের এক অবদ্য দলিল ।
বইটি ইংরেজী ভাষায় অনুবাদ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের অধ্যাপক ফখরুল আলম । এছাড়াও উর্দু, জাপনি, চীনা, আরবি, ফরাসি,হিন্দী,তুর্কি, স্যানিশ, অসমীয় ও মালয় ভাষায় অনৃদিত হয়েছে । স্বাধীন সর্বভৌমত্বের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্নজীবনী এই সংক্ষিপ্ত পর্যলোচনা অসমাপ্তই রয়ে অসমাপ্ত আত্মজীবনী থেকে শিক্ষনীয় বিষয় গেল । প্রথমত একজন বাঙ্গালী হিসাবে তারপর একজন বাংলাদেশী নাগরিক হিসাবে সর্বাপরি একজন বিবেকবান সচেতন মানুষ হিসাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্নজীবনী পাঠ অন্যাবশকীয়া।
লিখেছেনঃ
মোঃ সুজন শাহিন রানা ,
লাইব্রেরি কর্মকর্তা,
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র,
ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি কার্যক্রম,
দিনাজপুর ইউনিট।