সে ক্লাস থেকে বেরিয়ে দেখে দুপুর ১২টা বাজতে এখনো ৫মিনিট বাকী। এরম শরীর নিয়ে হাঁটতে ভাল লাগে না। তাই সে একটি রিক্সা ডেকে নিয়ে উঠে পড়লো বাসার উদ্দ্যেশ্যে। রিক্সায় উঠার কিছুক্ষণ পরে সে চোখ বন্ধ করে থাকলো। হঠাৎ তার মনে হলো, চোখ বন্ধ করে রাখলে আজ আর পাগলিকে দেখা হবে না। তাই দ্রুত চোখ খুললো। চোখ খুলেই দেখে সে পাগলিটার অবস্থানের কাছাকাছি চলে এসেছে।
আরও একটি দৃশ্য তার নজরে পড়লো। উচ্ছ্বাসিত মেয়েটির চোখ খুশিতে চকচক করে উঠল। ব্যাকুল কন্ঠে রিক্সাওয়ালাকে বললো তিনি যেন থেমে রিক্সাটা একপাশে সরিয়ে নেন। রিক্সাওয়ালা কিছুই বুঝতে পারলো না। কিন্তু মুখ ফুটে কিছু জিজ্ঞেসও করলো না।
আয়াত দেখলো বিএমডাব্লিউ এর একটি অত্যাধুনিক কালো গাড়ি থেকে একজন সুদর্শন পুরুষ নামল। বয়স বোধ করি ২৫বছর হবে। হাস্যোজ্জ্বল মুখ, শ্যামলা গড়ন, লম্বায় ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি হবে, মাথার চুল সুন্দর করে কাটা, গালপাট্টা বেশ ঘন।
তার হাতে বিরিয়ানির প্যাকেট এবং মিনারেল ওয়াটারের একটি বোতল। এগুলো পাগলিটির সামনে রেখে আবার গাড়ি থেকে কী যেন বের করছে। একটু পরেই উনি একটি বড় সাইজের আইসক্রিমের বাটি নিয়ে পাগলিটির সামনে বসলো। বাটির ঢাকনা খুলে চামচ দিয়ে একটু খাইয়ে দিল।
আশ্চর্য! পাগলিটি হাসছে। কী সুন্দর সেই হাসি! তারা পরস্পর কী যেন বলছে তা আয়াতের কান পর্যন্ত এলো না। কিন্তু বেশ মজা করে কথা বলছেন ওনারা। পাগলির ময়লা চুলের উপর ভদ্রলোক হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এই দৃশ্য দেখে আয়াতের চোখ দিয়ে আনন্দ অশ্রুধারা বয়ে যেতে লাগলো।
[চলবে]
writer: মেহেজাবীন শারমিন প্রিয়া।