রাস্তার মোড়ে আরো অনেকেই একটি চুলো, বেশ কিছু ছোট ছোট থালা নিয়ে ভাপা পিঠা বানাচ্ছে। সেই ভাপা পিঠার ভিতর নারকেল কুচি আর খেজুর গুড় পুরে দেয়া। লোকজন বাঁ হাতে ছোট প্লেট ধরে ডান হাতে চামুচের সাহায্যে বেশ পরিতৃপ্ততার সাথে পিঠা খাচ্ছে। একটি রোগামতো পঙ্গু লোকও হাসি হাসি মুখ করে ভাপা পিঠা বানিয়ে বিক্রি করছে।
ফুটপাত ধরে কিছু মানুষ এখনও জগিং করছে। অনেকেই আবার গাড়ির পুরোনো টায়ার এবং খড়-পাতায় আগুন লাগিয়ে আগুন পোহাচ্ছে।
এই সবকিছু লক্ষ করেও, আয়াত পাগল মহিলাটির কথা ভাবছিলো। এই কনকনে শীতে সে কীভাবে যে রাত্রি যাপন করেছে আর এখনও বা কী অবস্থায় আছে। এসব ভেবে ভেবে সে হাঁটছিল।
এক পর্যায়ে অপর ফুটপাতের দিকে তাকাতেই তার মুখ বিস্ময়ে হা হয়ে গেল। পাগলি লালরঙের লেপ মুড়িয়ে বসে আছে। আর মাথা ঢেকে রেখেছে বেগুনী রঙের একটি মোটা কম্বলে। তার চাহনি আজও নির্বিকার; প্রত্যেক দিনকার মতোই। সে যেভাবে আছে, ঠান্ডা তাকে খুব একটা কাবু করতে পারবে না।
তার এরম হালচাল দেখে আয়াত খুবই স্বস্তি পেল। কিন্তু তার মস্তিষ্ক তাকে কিছু জটপাকানো প্রশ্নের ফাঁদে ফেলে দিয়েছে। এর উত্তর খোঁজার চেষ্টায় সে তার ব্যাপারে আরও কৌতূহলী হয়ে উঠলো।
.
সকাল ১০টা বেজে ৩০ মিনিট। ঘুম থেকে উঠতে দেরী হওয়ায়, ঘড়ির দিকে তাকিয়ে আয়াত কিছুটা অসহায়বোধ করলো।
আজ মুহাম্মাদ স্যারের ক্লাস ছিল। উনি খুব মজা করে অংক করান। মাত্র ৪৫মিনিটের ক্লাসে তিনি যে অধ্যায়ের অংক করাবেন। মনোযোগ দিয়ে ক্লাস করলে, একটা শিক্ষার্থী সেই অধ্যায়ের সবগুলো অংকই করতে পারবে। সেই স্যারের ক্লাস মিস গেলে মন খারাপ হওয়াটাই স্বাভাবিক।
মন খারাপ হওয়া সত্ত্বেও বাকী ক্লাসগুলো করার জন্য সে তড়িঘড়ি করে রেডি হল। বের হবার পথে তার মা তাকে খেয়ে যেতে বললো। কিন্তু তবুও সে দরজা খুলতে যাবে, এমন সময়
writer: মেহেজাবীন শারমিন প্রিয়া