সুখগুলোকে বাক্সবন্দি করে,
বিষণ্নতাকে কবর দিয়ে,
ছিন্ন করে দিব-
সমস্ত মায়ার বেড়াজাল।
একঝাঁক অভিমান ডানা মেলে
উড়ে যাবে মুক্ত বিহঙ্গ বেশে।
ভাসমান মেঘের কাছে
এক পশলা বৃষ্টির বিনিময়ে
বিকিয়ে দিব সমুদয় অশ্রুজল।
আর সূর্যের রক্তাক্ত অগ্নিশিখায়
পোড়াবো নুপুংসক দুঃখগুলোকে।
আতশী দুঃখগুলো নীলাভ ধোঁয়ায়
কুন্ডলী পাকিয়ে ভেসে যাবে
স্তব্ধ বাতাসে!
নিয়তির পাঠশালার নিয়মিত ছাত্র হয়ে
শিখবো জীবনের জটিল সব পাঠ।
বিপদেও মুষড়ে যাব না বরং
শক্ত হাতে প্রতিহত করবো
জীবনের যত ঘাত-প্রতিঘাত।
ঠুনকো অনুভূতির খোলস চিঁড়ে
অনন্যতায় হয়ে উঠব প্রাণচঞ্চল।
গাঢ় কাজলে রাঙ্গাবো দু’নয়ন
আর লেপ্টে দিবি কিভাবে দুষ্টু নোনাজল?
আকাশের বুকে রঙ্গিন ঘুড়ি হয়ে
উড়বো আমি দিগ্বিদিক।
নীলিমার সাথে সখ্যতা বাড়িয়ে
কিনে নিব এক সমুদ্র নীল জল।
বহমান বাতাসে বিষাদের সব রঙ
ছুঁড়ে দিব সেই নীল সিন্ধুটায়,
শুদ্ধ হয়ে ফিরবো আমি
আমার স্বীয় ঠিকানায়।
লেখা: মেহেজাবীন শারমিন প্রিয়া