অধিকাংশ সঙ্গীত শিল্পী “বাঁ- মুখো”- সত্য কী?
উইসকনসিন ম্যাডিসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বিশ্ব বিখ্যাত মনস্তত্ত্ববিদ বলেছেন, সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে কোন শিশু নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হবে তা অধিকাংশ ক্ষেত্রে নির্ধারণ করা যায় তার হাতের গড়ন দেখে নয়; একমাত্র মুখের গড়ন দেখে।
আমি না দেখেও উপলব্ধি করতে পারছি, কথাটি শোনার পর বিস্ময়ে আপনার মুখ হা হয়ে গেছে অথবা ভ্রু কুঁচকে গেছে। ঠিক না?
যাহোক, অদ্ভুত হলেও কথাটি সত্য। বিশেষজ্ঞগণ দীর্ঘ গবেষণায় লিপ্ত থেকে দৃঢ় সিদ্ধান্তে পোঁছেছেন, শিশুর মুখের গড়নই বলে দিবে সে ভবিষ্যতে সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে কিনা।
আমরা সাধারণত যেসব লোক দেখি তারা সকলেই প্রায় ডানহাতি। আবার বাঁহাতি লোকেরও অভাব নেই। ঠিক সেরকমই ডানমুখো ও বামমুখো মানুষও আছে। একটু লক্ষ্য করলেই পথে, ঘাটে, বাজে দু একজন বাঁমুখো মানুষও চোখে পড়ে যেতে পারে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কী করে বোঝা যাবে কে ডানমুখো আর কে ই বা বাঁমুখো?
এর সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে কেউ কথা বলার সময় তার মুখের মাংস পেশীর নড়াচড়া লক্ষ্য করা।
কে বাঁহাতি বা কে ডানহাতি তা যেমন মাতৃগর্ভে থাকাকালীনই ঠিক হয়ে যায়, তদ্রুপ মুখের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।
মিঃ স্মিথ গবেষণার মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে, কে ডানমুখো না বাঁমুখো হবে তার উপর মস্তিষ্কেরও কিছু ভূমিকা আছে। বিশ্বজয়ী সঙ্গীত শিল্পী শুবার্ট, বিঠোভেন, ব্রামস, বচাইকোভস্কি প্রভৃতি বাঁমুখো ছিলেন।
তথ্য সংগ্রহেঃ মেহেজাবীন শারমিন প্রিয়া।