মিঠাপুকুর পুলিশ রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় আজনা পার্টির তিনজন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। এসময় দুটি ব্যাটারি চালিত অটো, 01 মোটরসাইকেল, 08 মোবাইল ফোন এবং নগদ 50,000 টাকা উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার পুলিশ তাদের কারাগারে প্রেরণ করেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, পার্শ্ববর্তী পীরগঞ্জ উপজেলার পদ্মাহারপুর গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে আবদুর রাজ্জাহকে 12 মার্চ ঘুমের ওষুধে রস মিশিয়ে দেওয়ার পরে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা ধরে নিয়ে যায়। ভুক্তভোগী চালক মিঠাপুকুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মিঠাপুকুর পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে। বুধবার রাতে উপজেলার ভন্নী থেকে অজ্ঞান পার্টির প্রধান নেতা সহ তিন কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে মিঠাপুকুর পুলিশ। তারা হলেন- কাফরিখাল ইউনিয়নের আবদুল ওহাবের ছেলে নুর আলম, ৩৮, আক্তার সুমাইয়া (১৮), পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জের রশিদ বেপারীর মেয়ে এবং আক্তার সুমি (২০) বরিশাল বাকেরগঞ্জের স্বপন জামারদার মেয়ে।
গ্রেপ্তারকৃতরা জানান, পুলিশ ১ টি অটো, ১ টি অটোরিকশা, ১ টি মোটরসাইকেল, ০৮ টি চুরি হওয়া মোবাইল, নগদ ৫০,০০০ টাকা, চুরিতে ব্যবহৃত ০৪ টি রেঞ্জ, ০১ টি পাইপরেঞ্জ এবং ২ টি স্টার রেঞ্জ উদ্ধার করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন নুর আলম এই গ্যাংয়ের প্রধান ছিলেন। গ্রুপের সদস্যরা প্রথমে যাত্রীদের ছদ্মবেশে অটো, অটোরিকশা বা মোটরবাইক ভাড়া নেন। তারপরে ড্রাইভারের সাথে একটি ভাল সম্পর্ক স্থাপন এবং তাকে রস দিয়ে ঘুমের বড়ি দেওয়ার চক্র। ড্রাইভার যখন অজ্ঞান হয়ে যায়, তখন চালকটিকে একটি সুবিধাজনক স্থানে রেখে দেওয়া হয় এবং অটো, মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, মোবাইল, অর্থ সহ তাদের মূল্যবান জিনিসপত্র
চক্র চলে যেত। এরপরে তারা হানিফ অটোতে লুট হওয়া আইটেমগুলির রঙ পরিবর্তন করে এবং এই অর্থ গ্রুপের সদস্যদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য বিক্রি করে দেয়। এ পর্যন্ত এই চক্রের সদস্যরা পুলিশে ১৫ থেকে ১৬ টিরও বেশি ঘটনার কথা স্বীকার করেছে।
রংপুর জেলা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (ডি-সার্কেল) কামরুজ্জামান জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মিঠাপুকুর থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।