“ইলুমিনাতি এজেন্ডা” মানবজাতিকে ধ্বংসের লুসিফেরিয়ান পরিকল্পনা।
লুসিফেরিয়ান কী?
অনেকেই হয়তো জানে। যারা জানে না তাদের জ্ঞাতার্থে বলছি, লুসিফেরিয়ান হলো শয়তানের উপাসনা করে।
গবেষক মাইকেল টেলিংগার ও অন্যান্যরা গবেষণা করে বের করেছেন যে, মিশরের পিরামিডগুলো এই গ্রহের মুক্ত শক্তি গ্রিডের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই গ্রিডগুলোর অন্তর্ভুক্ত ছিল প্রাচীন ধ্বংসস্তূপগুলো। মাচ্চু-পিচ্চু থেকে শুরু করে এংকর ওয়াট, আরিয়ান রক পর্যন্ত সবই। ওপর থেকে এগুলো দেখলে অনেকটা কম্পিউটারের সার্কিট বোর্ডের মতো বলে মনে হয়। যেগুলো প্রায় সবটাই সিলিকন আর পানি দিয়ে গঠিত। মানুষেরাও মূলত পানি দিয়ে তৈরি। যদি তাদেরও রূপান্তরিত করা যায়, তবে তারাও চমৎকার পরিবাহকের রূপান্তরিত হতে পারে।
লুসিফেরিয়ান মস্তিষ্কের পূজারীরা এই বিষয়টাকে রূপকার্থে ফোকাস করে একটি কাঠামো সাজিয়েছে। তারপর তাদের কায়রোর মূল হেড কোয়ার্টার থেকে সৃষ্টি করেছে এক মিশরীয় ত্রয়ীবাদী ছকের। শুধুমাত্র পিরামিড আকৃতির অর্থনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় সিস্টেম প্রতিষ্ঠা করার জন্য তারা এটা করেছে, যাতে তারা পুরো মানবজাতিকে তাদের দাসে পরিণত করে নিতে পারে।
লুসিফেরিয়ানরা নিজেদের ‘ব্রাদারহুড অব স্নেক’ বলে সম্বোধন করে। তারা গঠিত হয়েছে দর্শন, বিভাজনবাদ, স্বাতন্ত্র্যবাদ, দখলবাদ ও ক্ষুদ্রতাবাদ সব মিলিয়েই। তারা প্রকৃতির বাস্তবতাকে নাকচ করে দেয়। যেখানে বলা ও শিক্ষা দেয়া হয় যে, আমরা সবাই মিলে এক ও অদ্বিতীয়।
লুসিফেরিয়ানরা ভালো ও খারাপের মধ্যে একটা মহাকাব্যিক জটিল দেয়াল তুলে দেয়। সত্য যেখানে একতার বন্ধন ও সম্পূর্ণতার মধ্যে নিহিত, তারা সেখানে চেষ্টা করে আমাদের বিভাজিত, বাধাগ্রস্থ ও বিভ্রান্ত করে তুলতে।
এই কুকর্মকারীরা যখন পেছন থেকে লড়াই করে আর সৃষ্টিশীলতাকে ধ্বংস করার চেষ্টা চালিয়ে যায়, তাখন তাদের পরিচয় জানা ও প্রকাশ্যে নিয়ে আসা জরুরী হয়ে পড়ে। তাদের ভ্রান্ত সাইকোপ্যাথরা মানবজাতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। তাই আমরা যদি মানব-প্রজাতি হিসেবে বেঁচে থাকতে চাই, তাহলে তাদের এজেন্ডাগুলোকে উন্মোচন করার জন্য আমাদের এখনই লড়াই শুরু করতে হবে।
কারণ একবার আমাদের সচেতনতা বৃদ্ধি পেলে শয়তানবাদীরা তৎক্ষণাৎ হাওয়ায় মিলিয়ে যাবে। কিন্তু সেই সচেতনার জায়গায় পৌঁছাতে হলে আমাদের আগে তাদের সমন্ধে ভালোভাবে জানতে হবে। আরো জানতে হবে তাদের চিন্তা ও পরিকল্পনা সম্পর্কে।
মেহেজাবীন শারমিন প্রিয়া