নকল হৃদপিণ্ডের আবিষ্কার কীভাবে হয়েছিল?
হৃদপিণ্ড আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলোরই একটি। এই হৃদপিণ্ড শরীরের আভ্যন্তরীণ কাজগুলো নিয়ন্ত্রণ কর স্বয়ংক্রিয়ভাবেই। শরীরের রক্ত সংবহনের কাজ খুবই নিপুণভাবে করে করে এটি। কিন্তু এই যন্ত্রটি সামান্যতম অকেজো হলেও বিপত্তি বাধে শরীর নামক আরেকটি যন্ত্রে। তখন একমাত্র ভরশা কৃত্রিম হৃদযন্ত্র।
সারা পৃথিবীতে প্রতি বছর হাজার হাজার কৃত্রিম হৃদযন্ত্র বসানো হয়। এ পদ্ধতিটি হার্ট ট্রান্সপ্লান্ট নামে পরিচিত। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো, চাহিদা অনুযায়ী নতুন হৃদযন্ত্রের যোগান খুবই সামান্য। তাই পারদু ইউনিভার্সিটির চিকিৎসকেরা নতুন একটি হৃদযন্ত্র আবিষ্কার করেছেন।
চিকিৎসকরা নিষ্ক্রিয় প্রায় হৃদযন্ত্রকে সক্রিয় করে তুলতে ‘অ্যাসিস্ট ভ্যান্টিকল’ নামে একটি অতিরিক্ত পাম্প চেম্বার বুকে বসিয়ে দেন। এর জন্য শল্যচিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে। এর কাজ হৃদযন্ত্রের আসল ও চেম্বারকে সাহায্য করা। আর এর ফলেই দূর্বল হৃদযন্ত্রকে সাহায্য করে হৃদযন্ত্রের কাজকে লাঘব করে দেয়। তাই দীর্ঘ নিরলস গবেষণায় লিপ্ত থেকে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে, প্লাস্টিক সার্জারির মতো সজীব কোষ ব্যবহার করে হৃদযন্ত্রের প্রকোষ্ঠের মত আকার ও আকৃতি বিশিষ্ট একটি প্রকোষ্ঠ তৈরি করা মোটেও কঠিন কাজ নয়। আর এ কাজে ব্যবহার করা রোগীর দেহের, বিশেষ করে রোগীর নিতম্বের মাংস নিয়ে তা দিয়েই প্রকোষ্ঠটিকে ঢাকা দেওয়া যাবে। একটি বিশেষ ধরণের নকল হৃদযন্ত্র আসল হৃদযন্ত্রকে সক্রিয় রাখতে পারবে। আসল হৃদযন্ত্রটি যখন বিশ্রাম করবে তখন নকল দূর্বল হৃদযন্ত্রটি তার অভাব পূরণ করবে। ফলে দুটো হৃদযন্ত্রের যাবতীয় কাজ নকল হৃদযন্ত্রটি চালাবে। এ আবিষ্কার সারা পৃথিবীতে তুমুল আলেড়ন সৃষ্টি করেছে।
লিখেছেন: মেহেজাবীন শারমিন প্রিয়া