সারাদেশে করোনার গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হচ্ছে আজ শনিবার। ইউনিয়ন, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ডগুলোতে প্রথমবারের মতো এই টিকা দেওয়া হবে। ছয় দিনে প্রায় ৩২ লাখ মানুষকে এই টিকা দেয়া হবে।
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবিরে টিকা দেওয়ার মধ্য দিয়ে ছয় দিনের বিশেষ কর্মসূচি শেষ হবে বৃহস্পতিবার।
গতকাল শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম গণটিকাদান কর্মসূচির তথ্য জানান।
তিনি জানান, সারা দেশের ৪ হাজার ৬০০টি ইউনিয়ন, ১ হাজার ৫৪টি পৌরসভা ও ১২টি সিটি করপোরেশনের ৪৩৩টি ওয়ার্ডে করোনার টিকা দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য ডিজি বলেন, ২৫ বছর বা এর বেশি বয়সী জনগোষ্ঠীকে টিকা দেওয়া হবে। তবে এ ক্ষেত্রে পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তি, নারী ও শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি অগ্রাধিকার পাবেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এর আগে ৭ আগস্ট থেকে সাত দিনে প্রায় এক কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যের কথা বললেও শেষ মুহূর্তে তা কমিয়ে আনা হলো। আর ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী সবাইকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা থেকেও সরে এসেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এবার দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকার মানুষকে টিকা দেওয়া হবে জানিয়ে খুরশীদ আলম বলেন, টিকা দেওয়া হবে মূলত ৭ আগস্ট। ইউনিয়নের যেসব ওয়ার্ডে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির কারণে ৭ আগস্ট করোনার টিকা দেওয়া সম্ভব হবে না এবং পৌরসভার কোনো ওয়ার্ডে ৭ আগস্ট টিকা দেওয়া সম্ভব হবে না, এসব জায়গায় ৮ ও ৯ আগস্ট টিকা দেওয়া হবে।
তবে ১২টি সিটি করপোরেশনে ৭ থেকে ৯ আগস্ট তিন দিন করোনার টিকা দেওয়া অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
স্বাস্থ্য ডিজি বলেন, ৮ ও ৯ আগস্ট দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকায় টিকা কার্যক্রম চলবে। আর ১০ থেকে ১২ আগস্ট রোহিঙ্গাদের টিকা দেওয়া হবে।