আজ রোববার ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এবং ই-ক্যাবের উদ্যোগে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ‘ডিএনসিসি ডিজিটাল পশুর হাট’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্বে ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
এ সময় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম পবিত্র ঈদুল আযহায় কুরবানির উদ্দেশ্যে একটি গরুও ক্রয় করেন এবং করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহায় ডিজিটাল পশুর হাট থেকে অনলাইনে কুরবানির পশু কেনার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ডিজিটাল হাটে লাইভের মাধ্যমে দরাদরি করা যাবে। এখানকার বিক্রেতারা ভেরিফায়েড এবং গরুর ওজন ডিজিটাল স্কেলে মাপা । এ বছর এখান থেকে এক লাখ গরু বিক্রির টার্গেট নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে সারা দেশ থেকে একশ ই-কমার্স প্লেস অংশ নিয়েছে।
এক হাজারের বেশি উদ্যোক্তা বা খামারি যুক্ত হয়েছেন। এক সপ্তাহের মধ্যেই গরু গ্রাহকের হাতে পৌঁছে দেওয়া হবে। ক্রেতারা প্রতারিত হলে ভোক্তা অধিকারের কাছে অভিযোগ করতে পারবেন। অনলাইন থেকে যারা গরু কিনবেন তাদের কোনো হাসিল দিতে হবে না। গরুর হাট থেকে লাইভ করেও অনলাইনে গরু কেনা যাবে এবং ক্রেতাদের সব রকমের নিরাপত্তা দেওয়া হবে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঊর্ধগতি থাকায় জনসমাগম পরিহার করতে জনসাধারণ যাতে হাটে না গিয়ে অনলাইনে কুরবানির পশু ক্রয় করে সেজন্য ইউনিয়ন পর্যায়েও ডিজিটাল প্লাটফর্মকে জনপ্রিয় করে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, ই-কমার্স দীর্ঘদিন ধরে সফলতার সঙ্গে কাজ করায় মানুষের আস্থা অর্জন করেছে। আর করোনাভাইরাস মহামারীকালে ই-কমার্সের গুরুত্ব আরো ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, ই-ক্যাবসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানসমুহ এগিয়ে আসায় দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলা করা এবং ঘরবন্ধি মানুষের কাছে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সহজে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।
গত বছরের তুলনায় এ বছর করোনা পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করায় জনসমাগম পরিহার করে কুরবানির গরু কেনার জন্য ডিজিটাল গরুর হাট একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় মাধ্যম। তাই ডিজিটাল প্লাটফর্মে অনলাইনে গরু কেনা বৃদ্ধি করতে মানুষকে যতবেশি পারা যায় উৎসাহিত করতে হবে এবং প্রচার-প্রচারণার ওপরও জোর দিতে হবে বলে জানান মন্ত্রী।