প্রাইভেটকারের চাপায় বিজিবির অবসরপ্রাপ্ত সদস্য মনোরঞ্জন হাজং-এর পা হারানোর ঘটনায় দুই সপ্তাহ পর মামলা গ্রহণ করেছে পুলিশ। আহতের মেয়ে ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মহুয়া হাজং বাদী হয়ে বনানী থানায় মামলাটি করেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে মামলাটি নেওয়া হয়েছে বলে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম মিয়া। মামলায় ‘অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি’ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এর আগে, ২ ডিসেম্বর মনোরঞ্জন মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন বনানী চেয়ারম্যানবাড়ি ইউলুপে। এ সময় একটি প্রাইভেটকার তাকে চাপা দিয়ে চলে যায়। এতে মারাত্মক আহত হন মনোরঞ্জন। হাসপাতালে নেওয়ার পর প্রথমে তার ডান পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত এবং পরে সংক্রমণ হওয়ায় হাঁটু পর্যন্ত কেটে ফেলতে হয়েছে। আগে থেকেই হার্টের রোগী অবসরপ্রাপ্ত এই বিজিবি সদস্যকে আইসিইউতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে একজন পুলিশ কর্মকর্তা হয়েও মহুয়া তার বাবার দুর্ঘটনার মামলা দায়ের করতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছিলেন। এ নিয়ে দেশব্যাপী তীব্র সমালোচনার মুখে ঘটনার দুই সপ্তাহ পর মহুয়ার মামলা নিল থানা পুলিশ।
অভিযোগ আছে, যে গাড়ির ধাক্কায় তিনি আহত হন, সেই গাড়িটি একজন বিচারপতির ছেলে চালাচ্ছিলেন। এ কারণে পুলিশ মামলা নিচ্ছিলেন না।
মামলা নিতে সময় লাগার কারণ জানতে চাইলে গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ঘটনার পরই আমরা অভিযোগ পেয়েছি। কিন্তু যাচাই করার প্রয়োজন ছিল। আমরা যাচাই-বাছাই করে মামলা নিয়েছি।