Close Menu
    Facebook X (Twitter) Instagram
    রংপুর ডেইলী
    • Home
    • Rangpur
    • International
    • Islamic
    • Life Style
    • Insurance
    • Health
    Facebook X (Twitter) Instagram
    রংপুর ডেইলী
    Health

    চোখের সুস্থতা বজায় রাখার ঘরোয়া টিপস

    Jerome S. BergeronBy Jerome S. BergeronOctober 19, 2025No Comments15 Mins Read
    Default Image

    চোখের সুস্থতা বজায় রাখার ঘরোয়া টিপস. আপনার চোখ উজ্জ্বল রাখতে চান? সহজেই চোখের সুস্থতা বজায় রাখার ঘরোয়া টিপস জানুন দৈনন্দিন অভ্যাসে পাবেন স্বস্তি ও পরিষ্কার দৃষ্টি।

    পর্যাপ্ত পানি পান করা

    প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা চোখের ময়েশ্চার বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পানি শরীরের টক্সিন নির্গমনে সহায়তা করে, যা চোখের সুস্থতা বজায় রাখার ঘরোয়া টিপস এর মধ্যে এক অন্যতম অন্যতম বিষয়ে পরিণত হয়। পর্যাপ্ত হাইড্রেশন মাংসপেশীর পেশব্যথা প্রতিরোধ করে এবং চোখের পেশীর ক্লান্তি কমায়। সকালে উঠে এক গ্লাস জল পান করার পাশাপাশি দিনের প্রতিটি পর্যায়ে কিছু পরিমাণ পানি গ্রহণ চোখের পলককরণের স্বাভাবিকতা বজায় রাখে।হাইড্রেটেড থাকলে চোখে লালিমার সম্ভাবনা কমে, চোখের শুষ্কতা প্রতিরোধ হয় এবং দৃষ্টিশক্তি সুন্দরভাবে বজায় থাকে। শিশু ও বয়স্ক উভয়ের জন্যই নিয়মিত পানি গ্রহণ নির্ভুল চোখের যত্নের প্রাথমিক ধাপ।

    প্রতি বেলা পানি পরিমাণ
    সকালে জাগার পর ১ গ্লাস
    দুপুরের খাবারের আগে ১ গ্লাস
    বিকেলে মাঝে ১ গ্লাস
    রাত খাবারের আগে ১ গ্লাস

    পুষ্টিকর খাবারের তালিকা

    • পেঁয়াজ ও রসুন

      অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, চোখের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।

    • গাজর

      ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ, চোখের যত্ন এর জন্য অপরিহার্য।

    • সবুজ শাকসবজি

      লুটিয়েন ও জিয়াজ্যানথিন সরবরাহ করে, চোখের দূষণ থেকে সুরক্ষিত রাখে।

    • বাদাম ও বীজ

      ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ফিরে এনে চোখের শুষ্কতা কমায়।

    • ফলমূল

      ভিটামিন সি সরবরাহ করে, দৃষ্টিশক্তি সংরক্ষণে ভূমিকা রাখে।

    চোখের ব্যায়াম সম্পাদন

    প্রতিদিন দশ মিনিট চোখের ব্যায়াম করলে পেশীর স্থিতিস্থাপকতা বজায় থাকে এবং চোখের ক্লান্তি কমে। সরাসরি তাকিয়ে একদিকে চোখ ঘুরানো, আকাশের দিকে চোখ তুলেই চক্কর দেওয়া এবং দ্রুত পলক দেওয়া চোখের সুস্থতা বজায় রাখার ঘরোয়া টিপস এর গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই ব্যায়ামগুলি ভিজ্যুয়াল স্ট্রেস কমায় এবং কম্পিউটার স্ক্রিনের দীর্ঘ সময় দেখার পর চোখের পেশী লচিলাভ বজায় রাখে। শিশুদের জন্য খেলায় সময়সূচিতে ছোট ব্রেক এনে চোখের ব্যায়াম করানো যেতে পারে। একাগ্রতার প্রয়োজনীয় কাজে দশ থেকে বিশ সেকেন্ড পর চোখ বন্ধ করে বিশ্রাম নিবেন।

    ব্যায়ামের নাম ব্যাখ্যা
    পলক দেওয়া দ্রুত ২০ বার পলক দেওয়া চোখ আর্দ্র রাখে
    দিক পরিবর্তন একদিকে ১০ গুণ, অন্যদিকে ১০ গুণ চোখ ঘোরানো
    কেন্দ্রিক ব্যায়াম নিয়মিত বড় গোল করে চোখ ঘোরানো

    পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিশ্চিত

    • সপ্তাহে এক দিন ভিশন বিরতি

      পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে বাইরে ঘুরে চোখের পেশী রিচার্জ করুন।

    • কমপক্ষে ৮ ঘণ্টা ঘুম

      নিয়মিত ঘুম চোখের পুনর্নবীকরণে সহায়ক।

    • ঘুমের আগে বৈদ্যুতিক লাইট কমানো

      স্ক্রীন গ্লেয়ারের কারণে চোখের ক্লান্তি কমায়।

    • শিথিল মিউজিকের সঙ্গে চোখ বন্ধ

      ছোট ব্রেকের সময়ে শিথিল করুন।

    উপযুক্ত আলো ব্যবহারের নিয়ম

    পড়াশোনা কিংবা কাজ করার সময় পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক আলো ব্যবহার করলে চোখের পেশীতে অতিরিক্ত চাপ পড়ে না। টেবিল ল্যাম্পে হালকা উষ্ণ আলো নির্বাচন করলে পরিষ্কারভাবে দেখতে সহজ হয়। কম্পিউটার, মোবাইল বা টিভি স্ক্রীনের সামনে দীর্ঘ সময় অবস্থান করলে চোখে লাল লাইন পড়ে। এজন্য স্ক্রিনের ব্রাইটনেস নিয়মিত এডজাস্ট করুন। কর্মক্ষেত্রে এবং বাড়িতে উভয়েই চোখের সরাসরি আলো চাই। ডিজিটাল যন্ত্রপাতির পাশে স্পটলাইট সেট করে চোখের সুস্থতা বজায় রাখার ঘরোয়া টিপস অনুসরণ করুণ।

    আলো উৎস বর্ণনা
    প্রাকৃতিক সূর্যালোক মৃদু এবং চোখ বন্ধ রাখা সহজ
    টেবিল ল্যাম্প পড়ার সময় ফোকাস বৃদ্ধি করে
    স্ক্রীন ফিল্টার নীল আলো কমিয়ে দেয়

    পর্দা সময় সীমিত রাখা

    • ২০-২০-২০ নিয়ম

      ২০ মিনিট পর পর স্ক্রীন থেকে ২০ ফুট দূরে ২০ সেকেন্ড তাকান।

    • দৈনিক সর্বাধিক ২ ঘণ্টা ভিডিও দেখুন

      স্ক্রিন সময় কমিয়ে চোখ সুস্থ রাখুন।

    • বাচ্চাদের জন্য নির্দিষ্ট ব্রেক

      ৩০ মিনিট পর ১০ মিনিট বিরতি দিন।

    ঘরোয়া চা প্যাক ব্যবহার

    দুটি হালকা ঠান্ডা চা ব্যাগ চোখের উপর প্রয়োগ করলে চোখের ক্লান্তি এবং ফোলা কমতে সাহায্য করে। গ্রিন টি বা কালো চায়ে থাকা ট্যানিন চোখে শীতলতা আনে। ব্যাগ ঠান্ডা করে নরম কাপড়ের সাথে চোখের উপর রাখলে স্নায়বিক চাপ কমে। এটি একটি সহজ চোখের সুস্থতা বজায় রাখার ঘরোয়া টিপস, যা প্রতিদিন বিকেলে ৫-১০ মিনিট করতে পারেন। চা ব্যাগ পরে একটু গরম হলে পুনরায় ঠান্ডা করে ব্যবহার করা যেতে পারে।

    “ঘরোয়া চা প্যাক চোখের যত্নে চমৎকার প্রভাব ফেলে।” – Kianna Bernier

    চা প্রকার দাগ দূরীভূত
    গ্রিন টি সাঙ্ঘাতিক শান্তি দেয়
    কালো চা ফোলা কমায়

    নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করানো

    • ছয় মাসে একবার দেখতে যান

      চোখের দৃষ্টিশক্তি নিয়মিত যাচাই করুন।

    • ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলা

      ক্যাপসুল বা স্যালভ প্রয়োগের নির্দেশনা মেনে চলুন।

    • ডিজিটাল স্ক্যান টেস্ট

      ডিজিটাল মেশিনে চোখের অভ্যন্তরীণ অবস্থা যাচাই করুন।

    ঠান্ডা ও গরম কম্প্রেস

    প্রথমে ঠান্ডা কাপড় রেখে শুরু করুন, তারপর গরম পানিতে ভিজিয়ে আবার চোখের উপর চাপ দিন। এই পদ্ধতি চোখের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং ক্লান্ত পেশী পদে তাজা অনুভূতি আনে। দিনে দুটি করে চক্রে ৫ মিনিট করে করুন। এটি সহজ চোখের যত্ন এবং দৃষ্টিশক্তি সংরক্ষণ এর ঘরোয়া পদ্ধতি। গরম বা ঠান্ডা কন্ট্রাস্টের ফলে চোখ পরিষ্কার অনুভূত হয় এবং চোখের চোরা লাল ভাব কমে।

    কম্প্রেস টাইপ সময়
    ঠান্ডা ৫ মিনিট
    গরম ৫ মিনিট

    প্রাকৃতিক ভিটামিন ব্যবহার

    • ভিটামিন এ সিরাম

      টমেটো ও ক্যারট আঠার মিশ্রণে প্রয়োগ করুন।

    • ভিটামিন ই কাপসুল

      ক্যাপসুল ফাটিয়ে অল্প মাসাজ করুন।

    • ওমেগা-৩ ফিশ অয়েল

      এক চা চামচ মুখে নেওয়া যায়।

    স্থিতিস্থাপক চশমা পরিধান

    চশমা কিনতে গেলে পুরু চশমার লেন্সের পরিবর্তে হালকা নজরকানুন লেন্স বেছে নিন। UV ফিল্টার যুক্ত লেন্স সূর্য থেকে অতিরিক্ত আলো আটকায়, যা চোখের সুস্থতা বজায় রাখার ঘরোয়া টিপস এর গুরুত্বপূর্ণ দিক। কম্পিউটার ব্যবহারের জন্য বিশেষ ব্লু-লাইট ব্লকিং লেন্সও পাওয়া যায়, যা স্ক্রীন থেকে নির্গত ক্ষতিকর আলোর বিরতি দেয়। চশমা নিয়মিত ক্লিন করে রাখা দৃষ্টিশক্তি বজায় রাখতে সহায়ক।

    লেন্স টাইপ বৈশিষ্ট্য
    UV ফিল্টার সূর্যালোক থেকে সুরক্ষা
    ব্লু-লাইট ব্লক স্ক্রিন স্ট্রেস কমায়

    পরিপূর্ণ স্বাস্থ্যের জন্য যোগ ব্যায়াম

    • শিরোমুখাসন

      মাথার ওপর ভর করে শরীর উঁচু করলে চোখে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে।

    • পশ्चिमোত্তানাসন

      মাথা পায়ের কাছাকাছি নিয়ে চোখের চাপ প্রশমিত করে।

    • বালাসন

      শিশু আকারে শরীর বাঁকানো হালকা করে চোখ সম relax করে।

    স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট পদ্ধতি

    মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করলে চোখের ভাস্কুলার অবস্থা ভালো থাকে। মনোযোগ বৃদ্ধির জন্য প্রতিদিন ধ্যান করুন, যা চোখের যত্ন এর ঘরোয়া দিক। গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া রক্তে অক্সিজেন পাঠায়। স্বাস্থ্যকর জীবনের অংশ হিসেবেই স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট রাখুন। চাপ কমলে চোখে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ পায় এবং চোখের ক্লান্তি দূর হয়।

    পদ্ধতি সময়
    মেডিটেশন ১৫ মিনিট
    ডায়েরি লেখা ১০ মিনিট

    পর্যাপ্ত ঘুমের রুটিন

    • নিয়মিত সময়ে ঘুমো

      প্রতি রাতে একই সময়ে শুয়ে চোখ ঠিকমতো বিশ্রাম পায়।

    • স্ক্রিন বন্ধ

      ঘুমানোর এক ঘণ্টা আগে সকল স্ক্রীন বন্ধ করুন।

    • হালকা সঙ্গীত

      ঘুমের আগে নরম সঙ্গীত শুনে চোখ শান্ত রাখুন।

    ডিজিটাল ডিটক্স প্ল্যান

    সপ্তাহে একদিন স্ক্রিন ফ্রি রাখুন এবং বই পড়ুন বা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান। এই পদ্ধতি দৃষ্টিশক্তি সংরক্ষণ করে এবং চোখের ভিজ্যুয়াল স্ট্রেস কমায়। ডিভাইস রাখার সময় নির্দিষ্ট দিন ও সময় ঠিক করুন। পরিবারের সবাই মিলে স্ক্রিন ছাড়া খেলাধুলা করলে চোখ সুখী হয়।

    দিন ক্রিয়াকলাপ
    শনিবার বই পড়া
    রবিবার বাইরে হাঁটা

    নিয়মিত চোখের ময়েশ্চারাইজার

    • কনজাঙ্কটিভাল ড্রপ

      প্রয়োজনমতো দিন কয়েকবার ব্যবহার করুন।

    • কোকাস বাটার

      রাতের আগে চোখের কোণে হালকা মালিশ করুন।

    • অ্যালোভেরা জেল

      ঘ্রাণবিহীন প্রাকৃতিক জেল প্রয়োগ করুন।

    1. স্বাস্থ্যকর খাবার নির্বাচন করুন

    আপনার চোখের সুস্থতা বজায় রাখতে সুষম খাদ্যাভ্যাস খুবই জরুরি। চোখের রেটিনাল কোষকে শক্তিশালী করতে ভিটামিন এ, সি এবং ই-সহ লুটিন, জিয়াজ্যান্থিন ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সরবরাহকৃত খাবার বেছে নিন। গাজর, পালং শাক ও মিষ্টি আলুতে থাকা ভিটামিন এ রাতের দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে, আর কলা, কমলা ও স্ট্রবেরির প্রচুর ভিটামিন সি চোখের লেন্সের ফ্রি র‌্যাডিকেল আক্রমণ কমায়। বাদাম, আখরোট ও চিয়া বীজে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড চোখের শুষ্কতা দূর করে এবং প্রদাহ হ্রাসে সহায়তা করে। ডিমের কুসুম ও মটরশুঁটিতে থাকা লুটিন ও জিয়াজ্যান্থিন চোখের পিগমেন্ট লেয়ারকে পুষ্টি জোগায়, ফলে সূক্ষ্ম কোষের স্বাস্থ্য ধরে থাকে। সারাদিনের কাজের ফাঁকে বাদাম-শুকনো ফলের স্ন্যাকস খেলে চোখের ক্লান্তি কমে যায়। দই ও লেবুর সালাদে থাকা সেলেনিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রেটিনার কার্যকারিতা বাড়ায়। এভাবে পরিকল্পিত খাদ্য তালিকায় চোখের সুস্থতা বজায় রাখার ঘরোয়া টিপস অনুসরণ করলে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে চোখের দৃশ্যমান স্বস্তি অনুভব করা যায়।

    • ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাদ্য

      গাজর, পালং শাক ও মিষ্টি আলু চোখের স্ক্লেরা ও রেটিনা স্বাস্থ্যবৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

    • অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শস্য

      দই, বাদাম ও বীজজাতীয় খাবারে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চোখে প্রদাহ কমায়।

    • ওমেগা-৩ উৎস

      স্যামন, আখরোট ও চিয়া বীজ চোখের লুব্রিকেশন বাড়ায় এবং শুষ্কতা হ্রাস করে।

    • লুটিন ও জিয়াজ্যান্থিন

      ডিমের কুসুম ও মটরশুঁটির মাধ্যমে চোখের পিগমেন্ট লেয়ার মজবুত হয়।

    2. চোখের নিয়মিত ব্যায়াম চালু রাখুন

    কম্পিউটার, মোবাইল ও টিভি স্ক্রিনে দীর্ঘক্ষণ কাজ করলে চোখ বিষণ্ণতা ও ক্লান্তি দেখা দিতে পারে। নিয়মিত চোখের ব্যায়াম চোখের পেশিকে লচিৎ রাখে এবং দৃষ্টি কেন্দ্রীভূত করে। চোখ ঘুরিয়ে দেখুন, উপরে-নিচে তাকান, এবং বাম-ডান দিকে কয়েকবার করে স্ক্যান করুন। ভাঁজ-মোচড়ের চর্চা দৃষ্টিশক্তি দৃঢ় রাখতে সাহায্য করে। হাত ধুয়ে দু’হাতের তালু আলতোভাবে গরম করে চোখ ঢেকে রাখুন, এতে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। শুধু পাঁচ মিনিটের ব্যায়াম চোখের ক্লান্তি প্রতিরোধে কার্যকারি। প্রতিদিন সকালে উঠে বা কাজের মাঝে বিরতি নিলে চোখে প্রাণ ফিরে আসে। চোখের সুস্থতা বজায় রাখার ঘরোয়া টিপস হিসেবে এই অনুশীলন গড়ে তুললে চক্ষুস্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং দৃষ্টিশক্তি দীর্ঘ সময় স্থিতিশীল থাকে।

    ব্যায়াম নাম করার পদ্ধতি
    পলেনিং হাত গরম করে চোখের উপরে রাখুন, ৩০ সেকেন্ড পজ করুন।
    আই রোলিং ধীরে চোখ বৃত্তাকারে ঘুরিয়ে দেখুন, দুই দিকে ৫ বার করে।
    ফোকাস পরিবর্তন দুনো অবস্থান থেকে দূরবর্তী বস্তুতে ও কাছে চোখ পরিচালনা করুন।
    ব্লিঙ্কিং এ্যাসারসাইজ দ্রুতগতিতে ২০ বার চোখ ঝিমঝিম করুন, ক্লান্তি দূর হয়।

    3. পর্যাপ্ত নিদ্রা ও বিশ্রাম

    প্রতিদিন সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম চোখ পুনরুজ্জীবিত করে এবং রেটিনাল কোষের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা বজায় রাখে। রাতে গভীর ঘুমের সময় চোখের ক্ষুদ্রতৃষ্ণা আর পেশি শিথিল হয়, ফলে ক্লান্তির চিহ্ন দূরে থাকে। ঘুমানোর আগে ফ্লোরেসেন্ট লাইট কমিয়ে নরম আলো ব্যবহার করুন। মোবাইল বা ট্যাবলেট স্ক্রিন ঘন্টা খানেক আগে ত্যাগ করলে মেলাটোনিন সেক্রিশন স্বাভাবিক হয় এবং ঘুম গুণগত মান বাড়ে। সঠিক বালিশ এবং ম্যাট্রেস বেছে নিলে ঘুমের ভঙ্গি আরামদায়ক হয়, চোখের উপর অপ্রয়োজনীয় চাপ পড়ে না। আধা ঘণ্টা আগে হালকা স্ট্রেচিং করলে শরীর আরাম পায়। মাঝে মাঝেই সিরিয়াল ব্রেক না নিয়ে দীর্ঘক্ষণ সোজা পজিশনে থাকার ফলে চোখের পেগ এছাড়াও পেশি ক্লান্ত হয়। নিয়মিত একই সময়ে ঘুমোলে শরীরের ঘড়ি ঠিক থাকে এবং সকালে চোখের ফোলা ভাব কমে।

    • রাতের আলো হ্রাস

      ঘুমানোর আগে নরম আলো ব্যবহার চোখকে স্বাভাবিক ঘুমের জন্য প্রস্তুত করে।

    • স্ক্রিন বিরতি

      বিশ্রাম নিন মোবাইল না দেখে, মেলাটোনিন নিঃসরণ স্বাভাবিক হয়।

    • আরামদায়ক বালিশ

      সঠিক সমর্থনের জন্য চোখ ও গলার ঐক্য বজায় রাখে।

    • নিয়মিত শিথিল ব্যায়াম

      শরীরের ক্লান্তি দূর করে গভীর ঘুম আনতে সহায়তা করে।

    4. ব্যস্ত কাজের সময় সুরক্ষামূলক চশমা ব্যবহার করুন

    যাঁরা নির্মাণ, রং করা বা রাসায়নিক কাজে নিয়োজিত তাদের জন্য সেফটি গগলস অপরিহার্য। ধুলো, রঙকণ বা রাসায়নিক স্প্ল্যাশ চোখে পড়লে তা সহজেই চক্ষুশুন্যতা ডেকে আনতে পারে। সূর্যালোক থেকে রক্ষা পেতে ইউভি ব্লকিং সানগ্লাস ব্যবহার করুন, যা চোখের লেন্সে অতিরিক্ত রশ্মি পৌঁছতে দেয় না। কম্পিউটারে কাজের সময় ব্লু-লাইট ফিল্টার চশমা চোখের স্ট্রেস কমায় এবং ঘুমের গুণগত মান বজায় রাখতে সহায়তা করে। রান্নাঘরে গরম তেল ছিটকে যাওয়া বা গ্যাস ফ্লেম স্পার্ক হলে সিলিকন ফ্রেম বিশিষ্ট সেফটি গগলস কর্মদক্ষতা বাড়ায়। বাইকের হেলমেটের ভিজরেও ব্লু-লাইটের ক্ষতি থেকে চোখকে নিরাপত্তা দেয়।

    পরিস্থিতি সুরক্ষামূলক চশমা
    নির্মাণ ক্ষেত্র গোদের পরিধেয় সেফটি গগলস
    কম্পিউটার ব্যবহার ব্লু-লাইট ফিল্টার চশমা
    আউটডোর ক্রীড়া ইউভি প্রোটেকশন সানগ্লাস
    রান্নাঘর কাজ সিলিকন ফ্রেম সহ গগলস

    5. স্ক্রিন ব্যবহারে ২০-২০-২০ নিয়ম মেনে চলুন

    স্মার্টফোন, কম্পিউটার ও ট্যাবলেটের স্ক্রিন দীর্ঘক্ষণে চোখের ক্লান্তি, শুষ্কতা ও মাথাব্যথা ডেকে আনতে পারে। প্রতি ২০ মিনিট পর পর ২০ সেকেন্ডের জন্য ২০ ফুট দূরের কিছু দেখার অভ্যাস চোখের পেশি শিথিল করে এবং ফোকাস রিফ্রেশ করে। এই পদ্ধতি চোখের সংকোচন রোখে, সরল রোহিত রক্তনালীতে চাপ কমায় এবং দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা এড়ায়। অনুশীলনের সময় সহজে ঘড়ি বা ফোনের অ্যালার্ম সেট করে নিয়মিত বিরতি নিন। চোখে পানি ঝলসানি অনুভূত হলে বিরতিতে কিছুক্ষণ ভেজা কটন ব্যবহার করে চোখ আর্দ্র রাখুন। নিয়মিত এই পদ্ধতি মেনে চললে স্ক্রিন স্ট্রেস দূরে থাকে এবং কাজের গতি বাড়ে। চোখের সুস্থতা বজায় রাখার ঘরোয়া টিপস হিসেবে ২০-২০-২০ নিয়ম চালু করলে আপনার পেশাগত দক্ষতা ও চোখের স্বস্তি দুটোই বজায় থাকবে।

    • প্রতি ২০ মিনিটে বিরতি

      ঘড়িতে টাইমার লাগিয়ে নির্দিষ্ট সময় নিয়মিত বিরতি নিন।

    • দূরবর্তী ফোকাস

      ২০ সেকেন্ডের জন্য জানালার বাইরে বা রুমের অন্য প্রান্ত দেখুন।

    • চোখের গান গাওয়া

      ব্লিঙ্ক করে চোখে লুব্রিকেশন বাড়ান।

    • ভেজা কাপড়

      গরম জল ভেজা কাপড় দিয়ে চোখ ঢেকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ান।

    6. পরিবেশের আলো ঠিক রাখুন

    চোখের ক্লান্তি কমাতে কাজের এলাকা বা পড়ার স্থান পর্যাপ্ত আলোকিত রাখুন। খুব উজ্জ্বল আলো বা ছায়াময় পরিবেশ দুইই চোখে চাপ সৃষ্টি করে। ডিরেক্ট ওভারহেড লাইটের বদলে পরিবহনযোগ্য ডেস্ক ল্যাম্প ব্যবহার করে আলো নিয়ন্ত্রণ করুন। ল্যাম্পের আলো সমানভাবে ছড়িয়ে পড়লে চোখের ফোকাস স্থিতিশীল থাকে এবং দৃষ্টিশক্তি ক্ষয় রোধ হয়। দিনের আলোতে কাজ করলে প্রাকৃতিক রঙের টোন চোখকে আরাম দেয়। সন্ধ্যায় স্নিগ্ধ কম তেজস্ক্রিয়তা সম্পন্ন আলো বজায় রাখলে পড়াশোনা ও অফিসিয়াল কাজও প্রশান্তিতে করা যায়। গ্লেয়ার কমাতে মাদাম নরম শেড বাতি অথবা ডিম্ড এলইডি লাইট ব্যবহার করুন।

    আলো ধরন সুবিধা
    ডেস্ক ল্যাম্প কন্ট্রোল করা ফোকাস, চোখের চাপ কমায়
    প্রাকৃতিক আলো নিরপেক্ষ টোন দাওয়াই চোখ আরাম পায়
    ডিমড এলইডি নরম লাইট, গ্লেয়ার নেই
    মাদাম শেড ভাল আলো ছড়িয়ে দেয়

    7. চোখের শুষ্কতা এড়াতে পর্যাপ্ত জলপান

    শুষ্ক আবহাওয়া, এয়ার কন্ডিশনার ও দীর্ঘক্ষণ স্ক্রিনের মুখোমুখি অবস্থায় চোখ পাতলা অশ্রু ঝরায়। প্রতিদিন আট গ্লাসের বেশি পানি পান চোখের অভ্যন্তরীণ টিস্যুগুলো লুব্রিকেটেড রাখে। হাইড্রেশন বৃদ্ধিতে দিনভর ফলের রস, কোকোনাট পানি বা হালকা লেবু-জল মিশ্রণ পান করতে পারেন। খাবারের সঙ্গে স্যালাড, ফলমূল বা হাইড্রেশন বুস্টার হিসেবে তরমুজ, শসা রাখুন। চা, কফি ও অ্যালকোহল কম খেলে শরীরের ডিহাইড্রেশন রোধ হয় এবং চোখ শুষ্ক হয় না। যদি শুষ্কতা বেশি হয়, বিরতিতে চোখে কয়েক ফোঁটা কৃত্রিম অশ্রু বিন্দু করে নিতে পারেন। এই জলসেচন পদ্ধতি চোখের সুস্থতা বজায় রাখার ঘরোয়া টিপস এর অন্যতম সেরা উপায় হিসেবে কাজ করে।

    • প্রচুর পানি পান

      প্রতিদিন আট গ্লাসের বেশি পরিষ্কার পানি পান করুন।

    • ফলরাজ শরবত

      ডিহাইড্রেশন কমাতে তরমুজ, শসার মতো ফলমূল খান।

    • কৃত্রিম অশ্রু

      শুষ্ক লাগলে চোখে কয়েক ফোঁটা ডাক্তারের পরামর্শিত আই ড্রপ ব্যবহার করুন।

    • ডিহাইড্রেটিং পানীয় কম

      কফি, চা ও মদ কম খেলে রক্ষণশীল থাকুন।

    “সঠিক পানীয় অভ্যাস চোখের শুষ্কতা এবং ক্লান্তি দূর করে দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিশক্তি রক্ষা করে।” Dr. Reece Treutel MD

    8. সহজ ঘরোয়া ঔষধি পদ্ধতি

    প্রচলিত ঘরোয়া ঔষধ চোখের প্রাকৃতিক আরাম ধরে রাখতে সহায়ক। ঠান্ডা খাওয়া চা ব্যাগ দিয়ে চোখ ঢেকে রাখলে ফোলা অংশ শান্ত হয় এবং ক্লান্তি দূর হয়। খাদ্যতেলে কাঁচা দানাদার হলুদ ও লেবুর রস মিশিয়ে আঁখার কোণে লাগালে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি সুবিধা পাওয়া যায়। খোসা ছাড়া কাকড়া পুরু করে কাটে এনে ঠাণ্ডা জলে ভিজিয়ে কিছু সময় চোখে রাখলে শুষ্কতা লাঘব হয়। গোলাপজল ফোঁটা চোখে দিলে চোখের টিস্যু সজীব হয় এবং লাল ভাব কমে। টাটকা বরফ ব্যস্ত দিনের শেষে চার মিনিট চোখে রাখলে রক্ত সঞ্চালন বেড়ে আরাম মেলে। এসব উপাদান সাধারণ হলো, তাই যে কোনো সময় ঘরে থাকেই পাওয়া যায়। এই কার্যক্রম চোখের সুস্থতা বজায় রাখার ঘরোয়া টিপস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে আপনি প্রাকৃতিক ভাবে চোখকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারবেন।

    ঔষধি উপাদান প্রস্তুতি ও ব্যবহার
    ঠান্ডা চা ব্যাগ ভিজিয়ে নাকে রাখলে ফোলা কমে
    হলুদ ও লেবুর মিশ্রণ আই ক্রিমের মতো চোখের কোণে লাগান
    কাঁচা শসা ঠান্ডা রেখে চোখে ৫ মিনিট ব্যবহার
    গোলাপজল আই ড্রপের মতো ফোঁটা করে দিন

    9. নিয়মিত চোখের পরীক্ষা করান

    দৃষ্টিশক্তির সামান্য পরিবর্তনও আড়ালে মিশে থাকতে পারে, তাই বছরে অন্তত একবার পেশাদার চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। পছন্দমতো অপটোমেট্রিস্ট বা চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ দেখতে পেনে আপনার আইরিশ, লেন্স এবং রেটিনায় কোনো অনিয়ম আছে কি না। গ্লুকোমা বা ক্যাটারাক্টের প্রাথমিক লক্ষণ ধরা পড়লে সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু হতে পারে। রিফ্রেশমেন্ট লেন্স ব্যবহারের টিপস ও ডায়াবেটিক বা উচ্চ রক্তচাপের কারণে চোখে প্রদাহ আছে কিনা তাও পরীক্ষা করা জরুরি। এই জেনে চলে ঝুঁকি কমিয়ে ফেলা সম্ভব। পরীক্ষা শেষে ডাক্তার পরামর্শ অনুযায়ী দৃষ্টিসংশোধী চশমা বা সঠিক ড্রপস ব্যবহার করুন। দৃষ্টিশক্তি মানিটরিংয়ের অভ্যাস গড়ে তুললে চোখের সুস্থতা বজায় রাখার ঘরোয়া টিপস সহজেই সফল হয়।

    • বার্ষিক পরিদর্শন

      বছরে একবার পেশাদার চোখের পরীক্ষা করান।

    • ডায়াবেটিক স্ক্রীনিং

      ডায়াবেটিস থাকলে চোখে ক্ষতিসম্ভাবনা দ্রুত বৃদ্ধি পায়।

    • গ্লুকোমা টেস্ট

      চক্ষুর প্রেসার মাপতে টোনোমিটার ব্যবহার করা হয়।

    • ফান্ডাস পরীক্ষা

      রেটিনা, অপটিক নারভ নিরীক্ষণ করা হয়।

    10. ধূমপান ও দূষিত বায়ু থেকে দূরে থাকুন

    সিগারেটের ধোঁয়া চোখের লুব্রিকেশন কমিয়ে দেয় ও প্রদাহ বাড়ায়। প্যাসিভ স্মোকেও চোখ জ্বালা, লাল ভাব এবং দীর্ঘমেয়াদে চোখের রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। বাড়িতে এয়ার পিউরিফায়ার চালিয়ে ধুলো কণা এবং অ্যালার্জেন কমিয়ে নিন। রাস্তায় চলাচলের সময় মাস্ক ব্যবহার করুন, যাতে কার্বন মনোক্সাইড বা PM2.5 partikles চোখে প্রবেশ না করে। প্রচণ্ড ধুলোবালি বা রাসায়নিক বাষ্প থেকে চোখকে সেফটি গগলসের মাধ্যমে রক্ষা করুন। ওজন কমানোর জন্য ধূমপান ছেড়ে দিতে পারেন, এতে রক্তঅববাহ ভালো হয় এবং চোখে পরিপূরক অক্সিজেন পৌঁছায়। দীর্ঘমেয়াদে ধূমপান পরিত্যাগ করলে চোখের সুস্থতা বজায় রাখার ঘরোয়া টিপস এর অন্যতম লক্ষ্য অর্জন হয়।

    দূষক চোখের প্রভাব
    তামাক ধোঁয়া শুষ্কতা ও প্রদাহ বৃদ্ধি
    PM2.5 কণা অ্যালার্জি ও ইরিটেশন
    রাসায়নিক বাষ্প চোখ জ্বালা ও লাল ভাব
    প্যাসিভ স্মোক দৃষ্টিশক্তি দুর্বলতা

    11. সঠিক ওয়ার্কস্টেশনের প্রস্তুতি

    অফিস বা বাড়ির ডেস্কে বসে দীর্ঘক্ষণ কাজ করলে চোখ ও ঘাড়ে চাপ পড়ে। মনিটর এমনভাবে বসান যাতে উপরের প্রান্ত চোখের সমতলে বা একটু নিচে থাকে, এতে চোখ কম ওপরে-নিচে ঘোরাতে হয়। মনিটর থেকে প্রায় ২০-২৪ ইঞ্চি দূরত্বে বসুন, এতে ফোকাস ঠিক হয় এবং চোখ কম স্ট্রেস পায়। চেয়ারের উচ্চতা এমন রাখুন যাতে কনুই প্রায় ৯০ ডিগ্রি কোণে ঠেকা যায়, মুকুট নিচু বা খুব উঁচু না হয়। নিয়মিত দাঁড়িয়ে স্ট্রেচিং করলে রক্ত সঞ্চালন টিস্যুতে পৌঁছায়, চোখও সতেজ হয়। অফিসে বায়ু শোষণকারী প্ল্যান্ট রাখলে বাতাসে আর্দ্রতা থাকে এবং শুষ্কতা কমে। চোখের সুস্থতা বজায় রাখার ঘরোয়া টিপস হিসেবে এই ওয়ার্কস্টেশন অ্যাডজাস্টমেন্ট গড়ে তুললে কাজের সময় চোখের ক্লান্তি অনেকাংশে রোধ হবে।

    • মানিটর পজিশন

      উপরের প্রান্ত চোখের সমতলে রাখুন।

    • ঠিক দূরত্ব

      ২০-২৪ ইঞ্চি দূরে বসে কাজ করুন।

    • কনুই কোণ

      ৯০ ডিগ্রি রাখলে ঘাড়ে চাপ কমে।

    • স্ট্রেচ বিরতি

      প্রতি ঘণ্টায় দাঁড়িয়ে স্ট্রেচ করুন।

    12. মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন

    স্ট্রেস গ্রহনের ফলে চোখে রক্তনালীর সংকোচন বেড়ে যায়, ফোকাস অস্বস্তি তৈরি হয় এবং চোখ লাল হতে পারে। নিয়মিত ধ্যান বা মেডিটেশন চোখের পেশি ও মস্তিষ্ককে শান্ত করে, ফলে দৃষ্টিশক্তি ফোকাস উন্নত হয়। গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস প্র্যাকটিস করলে অক্সিজেন সঞ্চালন বাড়ে এবং চোখের পেশি আরাম পায়। হালকা যোগব্যায়াম ও প্রসারিত করশাল চোখের চারপাশের রক্তপ্রবাহ নিয়মিত করে। প্রিয় গান শুনে বা আসনভঙ্গিতে থেরাপি করলে মানসিক চাপ সরিয়ে আনা যায়। স্বল্প-দৈর্ঘ্যের ব্রেক নিয়ে কম্পিউটার থেকে দূরে থাকলে চোখের কনজাকটিভা বিশ্রাম পায়। এই মনস্তাত্ত্বিক উপায়গুলো চোখের সুস্থতা বজায় রাখার ঘরোয়া টিপস এর সাথে যুক্ত করলে আপনি সম্পূর্ণ আরাম অনুভব করবেন।

    পদ্ধতি সুবিধা
    ধ্যান মানসিক চাপ হ্রাস করে চোখ আরাম পায়
    গভীর শ্বাস রক্তপ্রবাহ বাড়িয়ে ফোকাস উন্নত করে
    যোগব্যায়াম মাংসপেশি শিথিল করে চোখের পেশি শান্ত রাখে
    সংগীত থেরাপি দৃষ্টি ব্যাঘাত কমায় ও শান্তি আনে

    আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রতিদিন চোখের সুস্থতা বজায় রাখার ঘরোয়া টিপস এর অংশ হিসেবে ২০-২০-২০ নিয়ম ও হাইড্রেশন পদ্ধতি মেনে চলি। কয়েক মাস ধরে নিয়ম পালন করে দেখেছি আমার চোখ খুব কম ক্লান্ত হয় এবং পড়াশোনা ও স্ক্রিনওয়ার্কের পর চোখ ফোঁটা ফোঁটা বেদনা কমে গেছে। নিয়মিত পরীক্ষা করানোর ফলে ছোটখাটো ত্রুটি ধরা পড়লে প্রাথমিকভাবে ঠিক করতে পারি, যা আমাকে দীর্ঘমেয়াদে অনেকটাই স্বস্তি দেয়।

    উপসংহার

    আমরা চোখের যত্নে চাইলে সহজ কিন্তু কার্যকর কিছু অভ্যাস অনুসরণ করতে পারি। পর্যাপ্ত বিশ্রাম, সঠিক আলোয় কাজ ও পর্দা ব্যবহারে চোখকে আরামদায়ক রাখা যায়। নিয়মিত গ্লাস ও পর্দা থেকে বিরতি নেয়া, পুষ্টিকর খাবার যেমন শাক-সবজি, মিষ্টি আলু, ডিম ও বাদাম সেবন, পর্যাপ্ত পানি পান ও নিয়মিত হালকা ব্যায়াম চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। পরিমিত পর্দা ব্যবহারের পাশাপাশি পালং শাক ও ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার চোখকে শক্তি দেয়। এছাড়া নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করালে যেকোনো সমস্যা আগেভাগে ধরা পড়ে। এসব সহজ ঘরোয়া টিপস মেনে চললেই চোখ থাকবে সুস্থ ও ঝকঝকে। এই অভ্যাসগুলো নিয়মিত পরিপালন করলে চোখ সংক্রান্ত সমস্যা কমে যাবে। দীর্ঘমেয়াদে সুস্থ দৃষ্টি।

    Jerome S. Bergeron
    • Website

    জেরোম এস. বার্জেরন (Jerome S. Bergeron) একজন অভিজ্ঞ লেখক ও সাংবাদিক, যিনি নিরপেক্ষ তথ্য, বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদন এবং পাঠকবান্ধব লেখার জন্য পরিচিত। তিনি Rangpur Daily-এর মাধ্যমে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক খবর, সমসাময়িক ঘটনা, জীবনধারা এবং সামাজিক বিষয়গুলো পাঠকের কাছে পৌঁছে দেন। তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদনের পাশাপাশি জেরোম গবেষণাধর্মী লেখা, মতামতভিত্তিক কলাম এবং ফিচার স্টোরিতেও দক্ষ। সাংবাদিকতার মাধ্যমে তিনি সবসময় সত্য ও নিরপেক্ষতার পক্ষে অবস্থান নেন এবং পাঠকের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়াকে নিজের প্রধান দায়িত্ব মনে করেন।

    Related Posts

    সুস্থ যৌনজীবনের জন্য জরুরি ১০টি পরামর্শ

    November 10, 2025

    গর্ভাবস্থায় মা ও শিশুর যত্নের সম্পূর্ণ গাইড

    November 8, 2025

    ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীর ও মনকে সুস্থ রাখার কৌশল

    November 6, 2025
    Leave A Reply Cancel Reply

    সাম্প্রতিক
    • সুস্থ যৌনজীবনের জন্য জরুরি ১০টি পরামর্শ
    • গর্ভাবস্থায় মা ও শিশুর যত্নের সম্পূর্ণ গাইড
    • ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীর ও মনকে সুস্থ রাখার কৌশল
    • ডিপ্রেশন মোকাবিলায় প্রাকৃতিক সমাধান
    • ওজন কমানোর জন্য স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকা
    • শিশুদের সঠিক পুষ্টি নিশ্চিত করার উপায়
    • শীতকালে সুস্থ থাকার ৭টি টিপস
    • গরমে সুস্থ থাকার জন্য করণীয় ও বর্জনীয়
    • শরীরের জন্য পর্যাপ্ত ঘুমের গুরুত্ব
    • মানসিক চাপ কমিয়ে সুস্থ থাকার কৌশল
    • শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর উপায়
    • চোখের সুস্থতা বজায় রাখার ঘরোয়া টিপস
    • হার্টের যত্নে কোন খাবার বেশি খাবেন
    • উচ্চ রক্তচাপ কমানোর প্রাকৃতিক পদ্ধতি
    • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার সহজ উপায়
    • প্রেমে একে অপরকে সময় দেওয়ার গুরুত্ব
    • দীর্ঘদিনের সম্পর্ককে নতুন করে সাজানোর কৌশল
    • প্রেমে আস্থা নষ্ট হলে কীভাবে ফিরিয়ে আনবেন
    • সোশ্যাল মিডিয়ায় রিলেশনশিপ পরিচালনার টিপস
    • প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যে রাগ কমানোর ৫টি পদ্ধতি
    Facebook X (Twitter) Instagram Pinterest

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.