ফিলিস্তিনের আল-আকসা মসজিদে ‘প্রার্থনার স্বাধীনতার’ বিষয়ে ইসরায়েলের নতুন প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট যে মন্তব্য করেছিলেন, তা থেকে এখন সরে আসছেন।
তার অফিস থেকে আরেকটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আগের শর্তে কোনো পরিবর্তন আসেনি। আল-আকসা নিয়ে আগের সরকার যে অবস্থানে ছিল, এই সরকারও তাই।’
ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের দুই দেশের শর্ত অনুযায়ী, আল-আকসার অবস্থান যে টেম্পল মাউন্ট এলাকায় সেখানে অমুসলিমরা যেতে পারলেও প্রার্থনার অনুমতি নেই। আল-আকসা মসজিদের ভেতর ও বাইরে শুধু মুসলমানরাই প্রার্থনা করতে পারবে।
কিন্তু কিছু ইহুদি গোপনে সেই ২০১৯ সাল থেকে প্রার্থনা করে যাচ্ছেন, ইসরায়েলের পুলিশ সব জেনেও চুপ থাকছে।
গত রবিবারও এই দৃশ্য দেখা যায়। শর্ত ভেঙে প্রায় ১৭০০ ইহুদি টেম্পল মাউন্টে প্রবেশ করেন।
পরে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘খুব সুন্দরভাবে সব আয়োজন করায় প্রশাসনকে ধন্যবাদ।’
এরপরই শুরু হয় সমালোচনা। ইহুদিদের প্রার্থনার বিষয়টিকে বেনেট সমর্থন করছেন বলে অভিযোগ ওঠে।
পরে বাধ্য হয়ে আরেকটি বিবৃতিতে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন বেনেট।
বেনেট এমন কথা বললেও আরব নিউজের কলামিস্ট এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক ওসামা আল শরীফ মনে করছেন, ইহুদিরা আবার ঠিকই একই কাজ করবেন।
এ বিষয়ে বৈশ্বিক একটা হস্তক্ষেপ দরকার বলে মত তার।