বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড লিমিটেডের কারখানার শ্রমিকদের কারও ডিউটি সময় প্রায় শেষ, কেউ কিছু সময় আগে এসে যোগ দিয়েছেন কাজে। সকালে আসা শ্রমিকদের কেউ ওভারটাইম করে একেবারে রাতে ফেরার পরিকল্পনা করছেন। কিন্তু বৃহস্পতিবারের ভয়াবহ আগুনে সব কিছু এলোমেলো হয়ে গেছে। আগুন লাগার পর অনেকেই ছয়তলা ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে আহত হয়েছে, মারা গেছে। আটকা পড়ে পুড়ে কয়লা হয়েছে ৪৯ জন। ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিটের ৩০ ঘণ্টারও বেশি সময় চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়নি। আগুন নিভলে পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলায় উদ্ধার অভিযান হওয়ার কথা। কারখানাটিতে কাজ করা শ্রমিকদের দাবি, ফ্লোর দুটিতে কিছু শ্রমিক আটকা পড়ে আছেন। তবে নিখোঁজদের যে তালিকা স্থানীয় প্রশাসনের কাছে আছে তাতে ৫১ জনের নাম আছে, যাদের মধ্যে চতুর্থ তলা থেকে উদ্ধার ৪৯ জন থাকতে পারে।
ফায়ার সার্ভিস আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে কিছু জানাতে পারেনি। তবে আগুন দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার কারণ হিসেবে বলেছে, ভবনটির বিভিন্ন তলায় তেলসহ নানা দাহ্য পদার্থ ছিল। আগুনের ঘটনার তদন্তে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গঠিত ৫ সদস্যের একটি কমিটিকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে ভয়াবহ এই ঘটনায় গভীর দুঃখ ও শোকপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারকে নগদ আর্থিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে শ্রম মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসন।
ঢাকা মেডিকেলের মর্গে আনা মরদেহগুলো শনাক্ত করে স্বজনদের হস্তান্তরে কমপক্ষে তিন সপ্তাহ সময় লাগবে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি। তবে ‘নিখোঁজ’ শ্রমিকদের স্বজনরা বলছেন প্রিয়জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হতে এত সময় অপেক্ষা তাদের আরও শোকাহত করে তুলবে।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে কারখানার ছয়তলা ভবনটির নিচতলায় অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই আগুন ভবনের অন্যান্য তলায় ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিস। আগুন নিয়ন্ত্রণে একে একে ১৮টি ইউনিট কাজ শুরু করে। তবে এর মধ্যেই আতঙ্কে বিভিন্ন তলা থেকে লাফিয়ে পড়েন শ্রমিকরা। রাত ৮টার দিকে ওই অগ্নিকাণ্ডে দুজনের মৃত্যু ও অর্ধশত শ্রমিকের আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে স্থানীয় একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে দুই নারী শ্রমিকের মৃত্যু হয়। পরে রাত ১০টার দিকে ঢামেকে নেওয়া ৯ জনের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়। এদের সবাই লাফিয়ে পড়ে আহত হন। এরপর চলতে থাকে ফায়ার সার্ভিসের চেষ্টা। পরদিন গতকাল শুক্রবার ভোরের দিকে আগুন প্রায় নিয়ন্ত্রণে এসেছিল। কিন্তু সকালে চতুর্থ তলা থেকে আগুন বেড়ে যায়।
এদিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসায় এবং কারখানায় বহু শ্রমিকের মরদেহ পড়ে থাকার খবর শুনে ক্ষুব্ধ হয়ে বেলা ১১টায় ওই এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করেন শ্রমিকরা। এতে যোগ দেন এলাকাবাসীও। তাদের সঙ্গে আনসার-পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এর মধ্যে দুপুরের দিকে চতুর্থ তলার আগুন নিয়ন্ত্রণে আসায় সেখানে শুরু হয় উদ্ধার অভিযান। একে একে বের করে আনা হয় ৪৯টি সাদা ব্যাগ।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স নারায়ণগঞ্জ অফিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন দুপুর দেড়টার দিকে ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেন, পাঁচ অ্যাম্বুলেন্সে করে আমরা ৪৯ জনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠিয়েছি, ময়নাতদন্তের জন্য।’
স্থানীয় প্রশাসন জানায় লাশগুলো দেখে চেনার উপায় না থাকায় ঢামেকে ডিএনএ পরীক্ষা করে শানাক্ত করা হবে। তাই স্বজনদের ঢামেকে যেতে বলা হয়। মরদেহগুলো ঢামেকে আনার পর থেকেই এখানে ভিড় করতে শুরু করেন নিহতদের স্বজনরা। সে সময় ঢামেক হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুভাষ চন্দ্র সাহা বলেন, সব মরদেহ আগুনে পুড়ে ঝলসে গেছে। আমাদের প্রথম কাজটি হবে মরদেহগুলো যথাযথ প্রক্রিয়ায় ডিএনএ টেস্ট করে শনাক্ত করা। পরে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শামীম বেপারী বলেন, মরদেহগুলো এমনভাবে পুড়ে গেছে যে পরিচয় শনাক্তের জন্য ডিএনএ পরীক্ষা করতে হবে। আমাদের পক্ষ থেকে স্বজনদের ডিএনএ নমুনা দেওয়ার জন্য ঢাকা মেডিকেলের মর্গে আসতে বলা হয়েছে। তিনি জানান, এ ঘটনায় সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে কমিটিকে।
এদিকে র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন সন্ধ্যার ৭টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে জানান, ঘটনার কারণ গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় কারও গাফিলতি থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তদন্তে জড়িতদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। র্যাব ডিজি বলেন, এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তারা তদন্ত শুরু করেছে। তদন্ত শেষে তারা প্রতিবেদনে কারণ উল্লেখ করে জমা দেবে।
রাতে পুলিশ কর্মকর্তা সালেহ উদ্দিন আহমেদ জানান, ৪৮টি লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। একটি ব্যাগে দুটি লাশের অংশ পাওয়া গেছে। তবে ওই ব্যাগের ভেতরকার মরদেহের জন্য একটিই সুরতহাল করা হয়েছে। যদি ডিএনএ টেস্টে প্রতিবেদন আসে যে, সে দুটি আলাদা দুজনার তখন তা পৃথক করা হবে। এদিকে সিআইডির অ্যাসিসট্যান্ট অ্যানালাইসিস্ট নুশরত ইয়াসমিন জানান, রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ১৯টি মৃতদেহের জন্য ২৬ জন দাবিদারের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সঙ্গে লাশগুলোর ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। প্রতিবেদন পেতে অন্তত তিন সপ্তাহ সময় লাগবে।
শ্রমিকরা জানান, করোনাকালে পরিবার-পরিজন নিয়ে একটু ভালো থাকার আশায় সব বয়সের শ্রমিকরাই কাজ করতেন প্রতিষ্ঠানটিতে। অন্য দিনের মতো বৃহস্পতিবারও তারা কাজে এসেছিলেন। কিন্তু তারা কেউ জানতেন না অনেকেরই আর ফেরা হবে না পরিবারের কাছে, অনেকেই আর কখনো প্রিয়জনের দেখা পাবেন না।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের ভাষ্য, কর্ণগোপ এলাকায় অবস্থিত সজীব গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড লিমিটেড কারখানায় প্রায় সাত হাজার শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করেন। কারখানার ছয়তলা ভবনটিতে নুডলস, মেকারনি ললিপপ, চকলেটসহ বিভিন্ন খাবার পণ্য তৈরি করা হয়। ওই ভবনে আট শতাধিক শ্রমিক কাজ করেন। ছয়তলা ভবনে থাকা কারখানাটির নিচতলার একটি ফ্লোরের কার্টন এবং পলিথিন তৈরির কাজ চলে। সেখানকার প্রায় অর্ধেকই শিশুশ্রমিক। শিশুশ্রমসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে বছরের পর বছর কারখানায় শিশুশ্রমিকদের দিয়ে কাজ করানো হতো। দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিকরা বলার পরও কারখানা কর্তৃপক্ষ অগ্নিনির্বাপণের জন্য কোনো ব্যবস্থা করেনি। এছাড়া এ কারখানায় প্রায় সময়ই আগুন লাগে। সর্বশেষ গত এক মাস আগে কারখানাটির ওই ভবনের তৃতীয় তলায়ও আগুন লাগে। এ ঘটনায় অন্তত আটজন আহত হন। এরপরও সতর্ক হয়নি কারখানা কর্তৃপক্ষ। এছাড়া এ ভবনটিতে ছিল না কোনো ফায়ার অ্যালার্ম।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) জিল্লুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, কারখানাটি খাদ্যপণ্যে অতিরিক্ত কেমিক্যাল ব্যবহার করত। অতিরিক্ত কেমিক্যালের কারণে আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তাদের দেরি হয়। এছাড়া ভবনটিতে শ্রমিকদের জন্য কোনো ইমারজেন্সি এক্সিটের ব্যবস্থা রাখা হয়নি।’
শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কারখানার প্রতিটি তলায় কেমিক্যাল ও কেমিক্যালমিশ্রিত কাঁচামাল ছিল। এ কারণে আগুনের ভয়াবহতা বৃদ্ধি পেয়েছে। শ্রমিকদের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে কারখানা চলাকালে মালিকপক্ষ গেটগুলো তালাবদ্ধ করে রেখেছিল। যে কারণে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে তারা বের হতে পারেননি।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়ই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শাহ নুসরাত জাহান ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঘটনাস্থলে যান। তখন ভবনে আটকেপড়া শ্রমিকদের স্বজনরা আহাজারি ও বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় শ্রমিক-পুলিশ দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। পরে গতকাল সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান, জেলা প্রশাসক মুস্তাইন বিল্লাহ, পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম, ইউএনওসহ র্যাব, পুলিশ, বিজিবি, সিআইডি প্রশাসনিক সংস্থার লোকজন। তখনও স্বজন ও শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা হাসেম ফুড লিমিডেটের আনসার ক্যাম্পে অতর্কিত হামলা ও ভাঙচুর চালাতে থাকেন। শ্রমিকরা আনসার বাহিনীর অস্ত্রাগার ভেঙে তিনটি শটগান ও টাকা লুট করে নিয়ে যায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ার শেল ও কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। উপজেলা আনসারের ইনচার্জ নাছিমা বেগম জানান, খোয়া যাওয়া অস্ত্র বিকেলে ক্যাম্পের পাশে ঝোপের মধ্যে থেকে উদ্ধার করা হয়।
কারখানাটির বিরুদ্ধে ঠিকমতো বেতন ভাতা পরিশোধ না করারও অভিযোগ আছে। শ্রমিকরা বেতন চাইলে মালিকপক্ষ তাদের মারধর ও চাকরিচ্যুতির হুমকি দেয়। কারখানার দুটি গেটের একটি কর্তৃপক্ষ বন্ধ করে রাখে সবসময়।
দায় নেবে না প্রতিষ্ঠান: প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আবুল হাসেম এই ঘটনাকে একটি দুর্ঘটনা হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ঘটনার দায় তার প্রতিষ্ঠান নেবে না বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা নিতান্তই একটি দুর্ঘটনা। এখানে একই সারিতে ছয়টি ভবনে ছয়টি ফ্যাক্টরি আছে। যে ভবনে আগুন লেগেছে, সেখানে ৫০০-৬০০ শ্রমিক কাজ করত।’ তিনি বলেন, ‘ইন্ডাস্ট্রি করলে শ্রমিক থাকবে। শ্রমিক থাকলে কাজ হবে। কাজ হলে আগুন লাগতেই পারে। এর দায় কি আমার? আমি তো আর গিয়ে আগুন লাগাইনি। এই দায় আমার না।’
আবুল হাসেম বলেন, ‘আমি এখনো ঘটনাস্থলে যাইনি। তবে আমার লোকজন সেখানে রয়েছে। যারা মারা গিয়েছেন, তারা তো আমারই ছেলেমেয়ে। আমার খুব কষ্ট হচ্ছে।’
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ জানান, আগুনের ঘটনায় কতজন নিখোঁজ আছেন তার একটি তালিকা প্রস্তুত করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বজনদের দাবি অনুযায়ী, নিখোঁজদের নাম তালিকায় লিপিবদ্ধ করা হবে। একই সঙ্গে যারা ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসাধীন তাদেরও একটি তালিকা তৈরির কাজ চলছে।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুটি পৃথক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী দুর্ঘটনায় নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান। অগ্নিকা-ে আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন।
এ ছাড়া শোক জানিয়েছেন, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের। শোকবার্তায় জি এম কাদের বলেন, প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এই নির্মম মৃত্যুর ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে দায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা উচিত।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম এক বিবৃতিতে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন। তারা শ্রমিকদের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন। তারা নিহত, আহত ও নিখোঁজ শ্রমিকদের পরিবারকে আইএলও কনভেনশন ১২১ ধারা অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানান।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট এক বিবৃতিতে বলে, অবিলম্বে কত শ্রমিক নিহত এবং আহত হয়েছে, তার সুনির্দিষ্ট হিসাব দিতে হবে। নিহত ও আহত শ্রমিকদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ ও তাৎক্ষণিক সহায়তা এবং বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এক বিবৃতিতে হতাহতের ঘটনাকে একধরনের ‘কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে আখ্যায়িত করে এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন।