নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২৭টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ১৪ জন জয়ী হয়েছেন। বিএনপি নেতা ও সমর্থকেরা জয় পেয়েছেন ৯টি ওয়ার্ডে। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির (জাপা) দুজন, বাসদের একজন ও স্বতন্ত্র একজন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

এবারের নির্বাচনে বিজয়ী কাউন্সিলরদের মধ্যে ১২ জনই নতুন মুখ। তবে জয়ীদের মধ্যে অন্তত ১৩ জন হত্যা, মাদক, অস্ত্রসহ বিভিন্ন মামলার আসামি। নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নূর হোসেনের ভাই ও ভাতিজা জয়ীদের তালিকায় আছেন। জয় পেয়েছেন পরাজিত মেয়র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকারের ভাই মাকসুদুল আলম খন্দকারও।

আজ রোববার দিনভর ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ শেষে সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের কার্যালয় থেকে জয়ী ২৭ জন সাধারণ ও ৯ জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরের নাম ঘোষণা করা হয়। সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরদের নয়টি পদের মধ্যে আটটিতেই বর্তমান কাউন্সিলররা জয়ী হয়েছেন।

এর আগে ২০১৬ সালের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত ১১ এবং বিএনপির ১২ জন প্রার্থী বিজয়ী হয়েছিলেন। সেবার জামায়াতে ইসলামীর একজন প্রার্থী কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন। তবে এবার দলটির কোনো প্রার্থী মাঠে ছিল না।

বিজয়ী কাউন্সিলর যাঁরা

১ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আনোয়ার হোসেন, ২ নম্বরে বর্তমান কাউন্সিলর বিএনপি নেতা মো. ইকবাল হোসেন, ৩ নম্বরে বর্তমান কাউন্সিলর আওয়ামী লীগের শাহজালাল বাদল নির্বাচিত হয়েছেন। শাহজালাল বাদল বহুল আলোচিত সাত খুন মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নূর হোসেনের ভাতিজা। এ ছাড়া ৪ নম্বর ওয়ার্ডে নূর হোসেনের ভাই আওয়ামী লীগের নূর উদ্দিন নতুন করে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন।

৫ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও বিএনপির সাবেক সাংসদ জি এম গিয়াস উদ্দিনের ছেলে গোলাম মুহাম্মদ সাদরিল ও ৬ নম্বরে বর্তমান কাউন্সিলর আওয়ামী লীগের মতিউর রহমান নির্বাচিত হয়েছেন। ৭ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের মিজানুর রহমান, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর আওয়ামী লীগের রুহুল আমিন মোল্লা, ৯ নম্বরে বর্তমান কাউন্সিলর বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়া ইস্রাফিল প্রধান, ১০ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর আওয়ামী লীগের ইফতেখার আলম, ১১ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থক অহিদুল ইসলাম, ১২ নম্বরে বর্তমান কাউন্সিলর বিএনপির শওকত হাসেম, ১৩ নম্বরে বর্তমান কাউন্সিলর বিএনপির মাকসুদুল আলম খন্দকার নির্বাচিত হয়েছেন। মাকসুদুল এই নির্বাচনে মেয়র পদে পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলমের ছোট ভাই।

১৪ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের মনিরুজ্জামান, ১৫ নম্বরে বর্তমান কাউন্সিলর বাসদ নেতা অসিত বরন বিশ্বাস, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের রিয়াদ হাসান বিজয়ী হয়েছেন।

১৭ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর আওয়ামী লীগের মো. আবদুল করিম, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে শ্রমিক লীগ নেতা কামরুল হাসান, ১৯ নম্বরে জাপার মোখলেছুর রহমান চৌধুরী, ২০ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপির মোহাম্মদ শাহেনশাহ, ২১ নম্বর ওয়ার্ডে স্বতন্ত্র শাহিন মিয়া, ২২ নম্বরে বিএনপির সুলতান আহমেদ, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাউসার বিজয়ী হয়েছেন। আবুল কাউসার নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সাংসদ আবুল কালামের ছেলে।

২৪ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর জাপার আফজাল হোসেন, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর বিএনপির এনায়েত হোসেন ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর বিএনপির মো. সামসুজ্জোহা, ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের সিরাজুল ইসলাম বিজয়ী হয়েছেন।

সংরক্ষিত ওয়ার্ডে জয়ী যাঁরা

এদিকে সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে যথাক্রমে ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডে মাকসুদা মোজাফফর, ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডে মনোয়ারা বেগম, ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে মোসাম্মৎ আয়শা আক্তার জয়ী হয়েছেন। এ ছাড়া ১০, ১১, ১২ নম্বর ওয়ার্ডে মিনোয়ারা বেগম, ১৩, ১৪ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে শারমীন হাবিব, ১৬, ১৬ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে আফসানা আফরোজ, ১৯, ২০ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডে শিউলি নওশাদ, ২২, ২৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে শাওন অংকন এবং ২৫, ২৬ ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে সানিয়া আক্তার বিজয়ী হয়েছেন। সানিয়া ছাড়া বাকি সবাই বর্তমান কাউন্সিলর।

Share.

রংপুরের অল্প সময়ে গড়ে ওঠা পপুলার অনলাইন পর্টাল রংপুর ডেইলী যেখানে আমরা আমাদের জীবনের সাথে বাস্তবঘনিষ্ট আপডেট সংবাদ সর্বদা পাবলিশ করি। সর্বদা আপডেট পেতে আমাদের পর্টালটি নিয়মিত ভিজিট করুন।

Leave A Reply

mostplay app

4rabet app

leonbet app

pin up casino

mostbet app

Exit mobile version