জনকল্যাণ মূলক সংস্থা Helping Hands BD এর ব্যবস্থাপনায় অদ্য ০৫/১১/২১ইং তারিখ রোজ শুক্রবার রংপুর জেলার কাউনিয়া উপজেলার শিবু চওড়াপাড়া হাফিজিয়া মাদ্রাসায় একটি আইপিএস এবং ০৬ জন প্রতিবন্ধী অসহায় মানুষকে হুইলচেয়ার প্রদান করা হয়।

Helping Hands BD একটি অলাভজনক, অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন। সংগঠনটি এলাকার অসহায় ব্যক্তিদের সব সময় পাশে থেকে সহযোগীতা করে থাকে। সারা দেশে স্বেচ্ছায় রক্তদানের ব্যবস্থা করে থাকে।

পৃৃথিবীতে সবাই যখন স্বার্থ নিয়ে ছুটাছুটি করছে ঠিক তখনি এই সংস্থটির স্বেচ্ছাসেবক সদস্যগণ নি:স্বার্থ ভাবে নিজ নিজ পেশায় যুক্ত থেকেও জনকল্যাণে এগিয়ে আসে।

অনুষ্ঠানটিতে সহযোগীতা করেন আল-হেরা ফাউন্ডেশন, শিবু, কাউনিয়া, রংপুর।

জানা যায় কিছুদিন আগে কুড়িগ্রাম জেলার নাগেস্বরী এলাকার রশিদা নামে এক প্রতিবন্ধি মহিলার জন্মের পর থেকে একটা হুইলচেয়ারে বসার ইচ্ছা ছিল কিন্তু কৃষক বাবার অভাব অনটনের সংসারে তা ভাগ্যে জোটেনি। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি এমনকি মেম্বার, চেয়ারম্যান, ইউএনও মহোদয়ের নিকট আবেদন করেও ব্যর্থ হয়েছেন। অবশেষে গত রবিবার (২০ অক্টোবর) দেশের বহুল প্রচারিত জাতীয় দৈনিক আজকের পত্রিকার ভিতরের পৃষ্ঠায় দুই পা বিহীন প্রতিবন্ধি রশিদা খাতুনের জীবনযাপনে রুঢ় কষ্ট ও অসহায়ত্বের উপড় কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরীর স্থানীয় সাংবাদিক একটি সংবাদ প্রতিবেদন তৈরি করেন।

ঢাকা সহ সারাদেশে বহুল প্রচারিত সংবাদপত্র দৈনিক আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন টি চট্টগ্রাম এলাকার সমাজকর্মী মোহাম্মদ সমর আলীসহ তাদের বন্ধুদের নজরে আসে। তারা (২১ অক্টোবর) সকালেই আজকের পত্রিকার কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি আবু জাফর সোহেল রানার সাথে যোগাযোগ করে প্রতিবন্ধি মোছাঃ রশিদা বেগম কে তার কাংখিত হুইল চেয়ারটি দেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

গত ২২ অক্টোবর বিকেলে স্বেচ্ছাসেবি সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকরা কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরীতে গিয়ে হুইলচেয়ার টি পৌঁছে দিয়ে আসেন। এসময় ছিলেন রিয়াদ ইসলাম রতন, সানাউল রনি, হোসেন আলি। ব্লাড ব্যাংক কুড়িগ্রামের সদস্য মোছাঃ আতিকা জাহান মোঃ মাহফুজার রহমান, উজ্জল মিয়া প্রমুখ।

আজকের পত্রিকায় প্রকাশ ছিল “একটি হুইল চেয়ারের আকুতি প্রতিবন্ধি নারীর ” কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী পৌরসভার বাগডাঙ্গা ফকিরটারী এলাকার আব্দুর রশিদের মেয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধী রশিদা খাতুন (৪০)। দু’পায়ই অচল। হাঁটুগেড়ে হাতে ভর করে অতিকষ্টে চলাচল করেও সংসারের কাজও সামলাতে হয় তাকে। রশিদা পড়েন ৫ ওয়াক্ত নামাজ, সেই সাথে করেন তালিম। তালিমেও যাতায়াত করেন হাঁটু গেঁড়ে দু’হাতে ভর করে। যেনো কষ্টের অন্ত নেই। এমন প্রতিবন্ধকতায় বিয়েও হয়নি তার। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটে দিনমজুর দরিদ্র পিতা আব্দুর রশিদের। মেয়েকে হুইল চেয়ার কিনে দেয়ার সামর্থ্যও নেই তার।ছোটবেলা থেকেই এভাবে কষ্ট করে চলাফেরা করছেন তিনি। একটি হুইল চেয়ার পেলে কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হবে তার। অন্তত আশপাশে চলাফেরা কিংবা তালিমে যাতায়াত করতে তেমন কষ্ট করতে হবে না।রশিদা খাতুনের বাবা আব্দুর রশিদ জানায়, মেয়ের এমন অবস্থা দেখে নিজেরই কষ্ট হয় অনেক। এছাড়াও অসুস্থ হয়ে বিছানায় কাতরাচ্ছে ওর মা। একদিকে স্ত্রীর ঔষধ কেনা, অপরদিকে সংসারের যাবতীয় খরচ, সবমিলে দিশাহারা রাশিদা খাতুনের পরিবার। মেয়ে রশিদার জন্য হুইলচেয়ার টি পেয়ে রশিদ মিয়া খুশীতে কেঁদে ফেলেন।

মোহাম্মদ সমর আলী বলেন, নাগেশ্বরীর বোন রশিদা খাতুন হুইল চেয়ারটি পেয়ে যতটা না বেশী খুশী হয়েছেন তার চেয়ে বরং তার আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেছে। তাকে একটি সেলাই মেশিন দেয়ারও পরিকল্পনা রয়েছে। রশিদা খাতুন বলেন, তার জন্য একটি সেলাই মেশিনের ব্যাবস্থা হলে, সেলাইয়ের কাজ করে সে আত্মনির্ভশীল ও স্বাবলম্বী হবে।

Share.

রংপুরের অল্প সময়ে গড়ে ওঠা পপুলার অনলাইন পর্টাল রংপুর ডেইলী যেখানে আমরা আমাদের জীবনের সাথে বাস্তবঘনিষ্ট আপডেট সংবাদ সর্বদা পাবলিশ করি। সর্বদা আপডেট পেতে আমাদের পর্টালটি নিয়মিত ভিজিট করুন।

Leave A Reply

mostplay app

4rabet app

leonbet app

pin up casino

mostbet app

Exit mobile version