রংপুর নগরীসহ বিভাগের ৮ জেলায় সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত মহল্লা ভিত্তিক মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে।
রংপুর জেলার প্রায় ছয় হাজার মসজিদে সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সুবিধাজনক সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদ জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রংপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রংপুর মহানগরীতে পবিত্র ঈদ-উল-আজহার উল্লেখযোগ্য ঈদ জামায়াতের সময়সূচী
রংপুর জেলার মডেল মসজিদগুলোতে প্রথম জামাত সকাল ৮ টা, দ্বিতীয় জামাত সকাল ৯ টা; রংপুর কেরামতিয়া জামে মসজিদে প্রথম জামাত সকাল ৮ টা, দ্বিতীয় জামাত সকাল ৯ টা। তবে কোর্ট জামে মসজিদে একটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৭ টায়।
এছাড়াও জেলায় ৫ হাজারেরও বেশি মসজিদে পরিস্থিতি বিবেচনায় ঈদের নামাজের সময়সূচী নির্ধারণ করা হয়েছে। কোনো কোনো মসজিদের একাধিক জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
নামাজের পূর্বে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করা, মসজিদের সামনে মাস্ক পরিধান, সচেতনতামূলক পোস্টার প্রদর্শন, কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ, এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার তৈরি, মসজিদের সামনে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা সাবান-পানির ব্যবস্থা রাখার জন্য স্থানীয় মসজিদ কমিটিকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে মসজিদে জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করতে হবে।
এদিকে, করোনাভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে দোয়া করার জন্য খতিব ও ইমামদের অনুরোধ জানিয়েছেন রংপুর জেলা প্রশাসক আসিব আহসান।
দেশের অন্যান্য স্থানের মত বিভাগীয় নগরী রংপুরে ঈদ উপলক্ষে অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সরকারি-বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, ঈদ জামাতে প্রাণঘাতী করোনা মহামারির বৈশ্বিক মহাবিপদ থেকে মুক্তি লাভসহ দেশ ও জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত।
সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে নগরীর সড়ক ও সড়ক দ্বীপসমুহ জাতীয় পতাকা ও ঈদ মোবারক লেখা পতাকা দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে। ঈদের দিনের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, প্রতিটি হাসপাতাল-উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, এতিমখানা, কারাগার ও শিশু পরিবারের এতিমখানাগুলোতে বিশেষ খাবার পরিবেশন।