এক মাসের মধ্যে যাত্রীবাহী সব লঞ্চের সব ধরনের ত্রুটি দূর করার আশ্বাস দিয়েছেন লঞ্চমালিকেরা।

রাজধানীর সদরঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া যাত্রীবাহী লঞ্চের ১৭ ধরনের ত্রুটি চিহ্নিত করে এসব দূর করার জন্য গত ৩০ ডিসেম্বর লঞ্চমালিকদের দুটি সংগঠন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থা ও লঞ্চ মালিক সমিতিকে চিঠি দেয় নৌপরিবহন অধিদপ্তরের জাহাজ জরিপকারক। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ওই আশ্বাস দিলেন মালিকেরা।

চিঠিতে বলা হয়েছে, সদরঘাট থেকে বিভিন্ন রুটে চলাচলরত যাত্রীবাহী নৌযানগুলোর বার্ষিক সার্ভে সম্পন্ন হওয়ার পর এর ধারাবাহিকতায় রুটিন মেইনটেন্যান্স (নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ কাজ) করা হয় না। নৌযানের মালিক ও কর্মরত নাবিকদের গাফিলতি বা অবহেলার কারণে কাজগুলো সঠিকভাবে পরিপালন করা হচ্ছে না।

চিঠিতে উল্লেখ করা সমস্যাগুলো হচ্ছে, রেজিস্ট্রেশন সনদের সঙ্গে ইঞ্জিন স্থাপনের তথ্যের অমিল (বিশেষ কিছু নৌযানের), এগজস্ট মেনিফোল্ডে লেগিং এসবেস্টস লাগানো নেই, এগজস্ট মেনিফোল্ডে কাভার লাগানো নেই, ফুয়েল লাইনে লিকেজ, ফুয়েল পাম্পে লিকেজ, ফুয়েল লাইনের নাটবল্টু ঢিলা, ফুয়েল রিটার্ন লাইনের তেল খোলা বালতিতে ধারণ, ইঞ্জিনের পাশে রেলিং (প্রয়োজনমতো) না লাগানো, এগজস্ট মেনিফোল্ডের ওপর ফুয়েল ট্যাংক, এগজস্ট মেনিফোল্ড পাইপের পাশেই তেলের ড্রাম, ইঞ্জিনকক্ষে ঢোকা ও বের হওয়ার পথে মালামাল ওঠানো, নকশাবহির্ভূত ডেক জেনারেটর, লাইফবয়া অতি উঁচু স্থানে স্থাপন, গ্যাসের চুলা ও গ্যাস সিলিন্ডারের উপস্থিতি, নৌযান পরিচালনার সময় মাস্টার/ ড্রাইভারদের নির্ধারিত পোশাক না থাকা, কার্বন ডাই-অক্সাইডের সিলিন্ডার নৌযানের বিভিন্ন স্থানে নিয়মমাফিক না রাখা, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের দিন সার্ভের জন্য আবেদন করা, নৌযানের নোঙর করার ব্যবস্থা ঠিকমতো মেরামত না করা।

এদিকে সদরঘাটে দুই দিন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার কারণে যে পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে রোববার সদরঘাটে লঞ্চমালিকদের দপ্তরে এক অনির্ধারিত সভা করেন মালিক ও সরকারের প্রতিনিধিরা।

সভা শেষে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের জাহাজ জরিপকারক মাহবুবুর রশিদ বলেন, ‘মালিকেরা এক মাসের মধ্যে লঞ্চের ত্রুটিগুলো সমাধান করবেন বলে আমাদের সঙ্গে সম্মত হয়েছেন।’

এক লঞ্চের যাত্রা বাতিল নিয়ে আধা ঘণ্টা স্থগিত লঞ্চ চলাচল

ঢাকা-বেতুয়া (ভোলার চরফ্যাশন) রুটের দুই লঞ্চের ধাক্কাধাক্কির ঘটনায় একটি লঞ্চের যাত্রা বাতিল করা নিয়ে আজ উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সন্ধ্যা ৬টার দিকে নৌশ্রমিকেরা কোনো লঞ্চ সদরঘাট ছেড়ে যাবে না বলে ঘোষণা দেন। এ সময় তাঁরা বিআইডব্লিউটিএর ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক জয়নাল আবেদীন ও নৌ নিরাপত্তা শাখার পরিচালক মো. রফিকুল ইসলামের পদত্যাগ দাবি করে বিক্ষোভ মিছিল করেন।

যাত্রা বাতিল করা কর্ণফুলী লঞ্চের মালিক সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘গত পরশু (শুক্রবার) সদরঘাটে এমভি তাসরিফ-২ লঞ্চের সঙ্গে ধাক্কা লাগে কর্ণফুলী-১৩ লঞ্চের। কিন্তু বিআইডব্লিউটিএ শুধু আমার লঞ্চের যাত্রা বাতিল করেছে। পুলিশ দিয়ে যাত্রীদের লঞ্চ থেকে নামিয়ে দিয়েছে। বিআইডব্লিউটিএর সদরঘাটের কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীনের কথামতো আমরা ফিটনেস সনদের সবকিছু ঠিক করে এনে দেখিয়েছি। কিন্তু তিনি আজও লঞ্চের যাত্রা বাতিল করে যাত্রীদের

নামিয়ে দিচ্ছিলেন। পরে সব মাস্টার-ড্রাইভাররা বিক্ষোভ দেখালে যাত্রা বাতিলের আদেশ বাতিল করে বিআইডব্লিউটিএ। অন্য লঞ্চ থেকে ঘুষ খেয়ে সব সময়ই এমন করেন জয়নাল আবেদীন।’

এ বিষয়ে জানতে রাত ১০টায় জয়নাল আবেদীনকে মুঠোফোনে কয়েকবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

Share.

রংপুরের অল্প সময়ে গড়ে ওঠা পপুলার অনলাইন পর্টাল রংপুর ডেইলী যেখানে আমরা আমাদের জীবনের সাথে বাস্তবঘনিষ্ট আপডেট সংবাদ সর্বদা পাবলিশ করি। সর্বদা আপডেট পেতে আমাদের পর্টালটি নিয়মিত ভিজিট করুন।

Leave A Reply

mostplay app

4rabet app

leonbet app

pin up casino

mostbet app

Exit mobile version