বিশ্বের ৪০ টি দেশের বাঘা বাঘা সব শেফদের পিছনে ফেলে একদম ফাইনালে পৌঁছেছিলেন বাংলাদেশ বংশোদ্ভূত কিশোয়ার। দেশীয় স্বাদের খাবার রান্না করে কম্পিটিশনে জয় করেছেন সব বিচারকদের মন। ফাইনালে তাই আলাদাভাবে নজর কেড়েছিলেন এই বাঙালি রাধুনি।
মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার ১৩তম আসরের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হলো ১৩ জুলাই স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৩ টায়। দ্বিতীয় রানারআপ হলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলীয় কিশোয়ার চৌধুরী।। চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন জাস্টিন নারায়ণ এবং প্রথম রানারআপ পিট ক্যাম্পবেল।
অস্ট্রেলিয়ায় পাশাপাশি বিশ্ব মিডিয়ায় রাতারাতি সেলিব্রেটি শেফ বনে গেছেন কিশোয়ার। অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন প্রবাসী সফল ব্যবসায়ী ও মুক্তিযোদ্ধা কামরুল চৌধুরীর মেয়ে কিশোয়ার চৌধুরী। বাংলাদেশি খাবারের প্রতি ভালোবাসা থেকেই এ বছরের আসরে অংশগ্রহণ করেন তিনি।
লাউ চিংড়ি, বেগুন ভর্তা, খিচুড়ি, মাছ ভাজা, আমের টক, খাসির রেজালা— আন্তর্জাতিক একটি প্রতিযোগিতায় একের পর এক এমন মুখরোচক খাবার রান্না করে বিচারকসহ বিভিন্ন ভাষাভাষীর দর্শকের নজর কেড়েছিলেন এই ‘বাঙালি’ রাঁধুনী।
মাস্টারশেফ প্রতিযোগিতার বিভিন্ন পর্বে তিনি মায়ের কাছ থেকে শেখা বাংলাদেশি খাবার দিয়ে সবাইকে অভিভূত করেছেন। তিনি জানান যখন তিনি ঢাকায় থাকতেন তখন বাড়িতে অধিকাংশ সময় খাবার তৈরিতে ব্যয় করতেন । মেলবোর্নেও তিনি দেশীয় খাবারে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন।
বিশ্বের রান্নাবিষয়ক অন্যতম জনপ্রিয় টেলিভিশন রিয়েলিটি শো মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার ১৩তম আসরের মূল পর্ব শুরু হয় ২০ এপ্রিল। নর্দার্ন টেরিটরিতে চলে এ প্রতিযোগিতা। বাছাইপর্ব পেরিয়ে ২৪ জন অংশ নিয়েছিল অনুষ্ঠানটির চুড়ান্ত পর্বে।