একেতো বর্ষা মৌসুম,তার উপর পূর্নিমার জোয়ার। নদী বহুল বরিশাল অঞ্চলের নদী পাড়ের বাসিন্দারা এখন জোয়ারে ডুবছেন আবার ভাটায় ভাসছেন। আবহাওয়া অফিস খবর দিয়েছে তিন দিন ভারী বৃষ্টি হবে। তাই এই নিয়ে একটু ভাবনা নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দাদের।
বরিশাল আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে ,চলতি জুলাই মাসে বরিশালে ৪০৭ দশমিক ৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হওয়ার কথা। কিন্তু হয়েছে মাত্র ২৪৯.৩ মিলিমিটার। তবে শেষের কয়দিনে ভারী বৃষ্টির আভাস আছে জানান সিনিয়র অবজারভার মো.মিলন হাওলাদার।
কীর্তনখোলার পানি বিপৎসীমার ওপরে
শনিবার রাতে জোয়ারের পানিতে বরিশালের কীর্তনখোলার পানি বিপৎসীমার ২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
নদী পাড়ের রসুলপুর চরের বাসিন্দারা বলেন,শনিবার রাতে পানি মাঠে আর উঠানে পানি উঠেছিলো। রবিবার দুপুরে দেখা গেছে কলাপট্টি এলাকাসহ কোন কোন এলাকার রাস্তায় পানি উঠেছে। ভাটায় এই পানি নেমে যায় জানালেন তারা ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারি প্রকৌশলী এ আই জাবেদ বলেন, কীর্তনখোলা ছাড়াও দক্ষিণাঞ্চলের নয়াভাঙ্গুলী নদীর পানি বিপৎসীমার ২ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার, তেতুঁলিয়া নদীর পানি ৩ দশমিক ১০ সেন্টিমিটার, সুরমা-মেঘনা নদীর পানি ৪ দশমিক ০৮, কচা নদীর পানি ২ দশমিক ৭৫, বিষখালিতে ২ দশমিক ৮১, বুড়িশ্বর-পায়রা নদীতে ৩ দশমিক ০৫, বরগুনার বিষখালী নদীতে ৩ দশমিক ৩৫ সেন্টিমিটার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।