আফগানিস্তানে তালেবানের একের পর এক শহর দখলে নেওয়ার প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নাগরিকদের সরিয়ে নিতে আরও সেনা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
একই সঙ্গে কাবুল থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে অটল রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
পাশাপাশি সেনা প্রত্যাহারের এ মিশনে বাধা দিলে তালেবানকে কঠোর জবাব দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
জাতীয় নিরাপত্তা দলের সঙ্গে আলোচনা শেষে শনিবার বাইডেন বলেন, আফগানিস্তানে ২০ বছরের মার্কিন অভিযানের ইতি টানতে এবং নাগরিক ও সেনা প্রত্যাহারের কাজকে সহায়তায় প্রায় পাঁচ হাজার সেনা দেশটিতে কাজ করবে। এ সংখ্যা আগে ছিল তিন হাজার।
তিনি বলেন, মার্কিন সেনা কিংবা প্রত্যাহারের এ মিশনে তালেবান কোনো ঝুঁকি তৈরি করলে তাদের কঠোর সামরিক জবাব দেওয়া হবে।
আফগানিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ শহর মাজার-ই-শরিফ তালেবানের দখলে নেওয়া এবং রাজধানী কাবুলের কাছাকাছি তাদের পৌঁছে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে বাইডেন এ ঘোষণা দিলেন।
এর আগে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড থেকে বলা হয়েছে, মার্কিন দূতাবাস কর্মী এবং আমেরিকান বাহিনীকে সহায়তাকারী আফগান বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে আনতে ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের আরও সেনা কাবুলে পৌঁছেছে।
পেন্টাগনের হিসাব অনুযায়ী, ৩১ আগস্টের মধ্যে আফগানিস্তানে মার্কিন মিশন শেষ করতে হলে তাদের ৩০ হাজার লোককে সরিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন হবে।
সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনার জবাবে তিনি বলেন, চতুর্থ প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাদের উপস্থিতি নিয়ে কাজ করছি। এর আগে দুজন ডেমোক্র্যাট ও দুজন রিপাবলিকান এ কাজ করেছেন। আমি এই যুদ্ধকে পঞ্চম জনের দিকে ঠেলে দিতে চাই না।