মাত্র ১১ মিনিট নির্যাতন, বড় কোনও শারীরিক ক্ষতি হয়নি অভিযোগকারিণীর। এই যুক্তিতে ধর্ষকের জেলের মেয়াদ ১৫ মাস কমিয়ে দিল সুইজারল্যান্ডের এক আদালত। যা নিয়ে প্রবল বিক্ষোভ শুরু হয়েছে আদালতের সামনে। ব্যান্যার হাতে বাসিলের রাস্তায় নেমে রায়ের বিরোধিতা করছেন শয়ে শয়ে মহিলারা।
সেখানে লেখা ‘১১ মিনিট অত্যাচারে জন্য যথেষ্ট’ সময়ের মাপে অত্যাচারের মাত্রা খাটো হয় না। কোন যুক্তিতে বিচারক এই কথা বললেন, তা নিয়ে দেশের বিভিন্ন মহলেও শুরু হয়েছে বিতর্ক।
শুধু অভিযুক্তের সাজা কমানোই নয়, ধর্ষণের ঘটনায় নির্যাতিতা মহিলার দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন বিচারক। তাঁর অভিমত, ‘বিশেষ ইঙ্গিত’ করে মহিলা ‘আগুন নিয়ে খেলা করেছেন’। তার ফলেই এই ঘটনা। সেদিন নাইটক্লাবে অন্য এক যুবকের সঙ্গেও মহিলাকে দেখা যায় বলে অভিযোগ। যদিও এগুলি কোনও যুক্তিই নয় বলে মনে করছেন বিক্ষোভকারীরা।
ঘটনাটি ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের। মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে পর্তুগালের ৩৩ বছরের এক যুবক ও তার ১৭ বছরের সঙ্গীর বিরুদ্ধে। উত্তর-পশ্চিম সুইজারল্যান্ডের একটি অ্যাপার্টমেন্টে ঘটনাটি ঘটে। আগস্ট মাসে যুবকের শাস্তি ঘোষণা হয়। ৫১ মাস জেলের সাজা হয় অভিযুক্তের। সঙ্গী নাবালকের সাজা এখনও ঘোষণা হয়নি। সেই মামলা পুনর্বিবেচনায় বাসিল আদালতে আবেদন জানানো হয়। গত মাসে বিচারক অভিযুক্তের সাজা কমিয়ে ৩৬ মাস করেন। সদ্য তা লিখিত আকারে প্রকাশ করা হয়। এরপর থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।