হংকংয়ের গণতন্ত্রের বিষয়ে বেইজিংয়ের দখলকে কেন্দ্র করে সাতজন চীনা কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি মার্কিন কোম্পানিগুলোকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, হংকংয়ে ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে আইনি ও সুনামের ক্ষতির আশঙ্কার বিষয়টি যেন মনে রাখে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব জেন সাকি শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, হংকংয়ের পরিস্থিতি অবনতি অব্যাহত রয়েছে। চীনের মূল ভূখণ্ডে যে ঝুঁকি রয়েছে তা এখন হংকংয়েও ক্রমবর্ধমান।
ভয়েস অব আমেরিকা জানায়, জো বাইডেন প্রশাসন চীনের প্রতি তাদের নীতিমালার বিস্তৃত পর্যালোচনা করছে। প্রশাসন ইতিমধ্যে জিনজিয়াংয়ের উইঘুরদের প্রতি আচরণসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবারের এই পদক্ষেপে হংকংয়ের চলমান অভিযানে অংশ নেওয়া কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ২০২০ এর হংকংয়ের স্বায়ত্তশাসন আইন ভঙ্গ করার অভিযোগ আনা হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে হংকংয়ের আইনি স্বায়ত্তশাসন রক্ষায় চীন ব্যর্থতায় অবদান রাখা ব্যক্তিদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এ সব কর্মকর্তারা চীনের হংকং অফিসের সঙ্গে জড়িত। তাদের সম্পদ জব্দ ও অন্যান্য জরিমানা করা হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার অল্প সময় আগেই চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বেইজিংয়ের একটি নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের গৃহীত পদক্ষেপের বিরুদ্ধে চীন বলিষ্ঠ ও জোরালো জবাব দেবে।”
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বেইজিং সরকারের উদ্দেশ্যে এক টুইট বার্তায় বলেন, “চীন অধিকার ও স্বাধীনতাকে দমন করতে পারবে না।”
ব্লিংকেন বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দ্বারা জারি করা ব্যবসায়িক পরামর্শসহ শুক্রবারের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা থেকে পরিষ্কার যে যুক্তরাষ্ট্র “হংকংয়ের পক্ষে কথা বলবে এবং বেইজিংয়ের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ ও দমনমূলক কাজের জন্য তাদের কাছে জবাবদিহি চাইবে।”