কুড়িগ্রামের উলিপুরে ষাটোর্ধ্ব এক বৃদ্ধাকে ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় অভিযুক্ত মুনসুর আলীকে (৬২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দীর্ঘ ৪ মাস পর গতকাল শুক্রবার (৩০ জুলাই) পুলিশ অভিযান চালিয়ে মুন্সিগঞ্জ কোট পাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক মুনসুর আলী ব্রহ্মপুত্র নদ বিচ্ছিন্ন উপজেলার সাহেবের আলগা ইউনিয়নের সীমানা লাগোয়া দুর্গম চরাঞ্চল গুজিমারী গ্রামের মৃত মজা শেখের পুত্র।
জানা গেছে, গত মার্চ মাসের ২২ তারিখ (সোমবার) ওই গ্রামের ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধা নদীতে গোসল করতে যায়। এ সময় তাকে একা পেয়ে প্রতিবেশী ৪ সন্তানের জনক মুনসুর আলী (৬২) জোরপূর্বক জাপটে ধরে যৌন নিপীড়নের চেষ্টা চালান। অভিযুক্ত নির্যাতিতার দূর সম্পর্কে আত্মীয় হন। পরে ওই বৃদ্ধা বাড়িতে এসে তার স্বামীসহ পরিবারের লোকজনকে ঘটনাটি খুলে জানান। এদিকে স্ত্রীর ওপর এরকম ঘটনা কোনভাবেই মেনে নিতে পারেননি বৃদ্ধার স্বামী নুরুল মুন্সি। এ ঘটনার পর থেকে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিনি। ঘটনার ৭ দিনের মাথায় (মঙ্গলবার) হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মারা যান। নুরুল মুন্সির মৃত্যুতে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যে সৃষ্টি হয়। পরে উলিপুর থানা পুলিশ মুনসুর আলীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেন। এ ঘটনার পর মুনসুর আলী গা ঢাকা দেন। দীর্ঘ চার মাস পর মুনসুর আলীর অবস্থান শনাক্ত করে মুন্সিগঞ্জ সদর থানা পুলিশের সহায়তায় উলিপুর থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সাহেবের আলগা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ঘটনার পর থেকে মুন্সিগঞ্জে আত্মগোপনে ছিলেন মুনসুর আলী। দীর্ঘদিন অনুসন্ধান চালিয়ে তার অবস্থান জানতে পারি। গতকাল শুক্রবার (৩০ জুলাই) ভোররাতে কোট পাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
উলিপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রুহুল আমিন জানান, আজ শনিবার (৩১ জুলাই) সকালে তাকে কুড়িগ্রাম জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
