ইসলামিক স্টেট বা আইএসের আফগানিস্তান শাখার সম্ভাব্য আক্রমণের আশঙ্কায় নিজেদের নাগরিকদের কাবুল বিমানবন্দর এড়িয়ে চলতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্র।
বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, শনিবার এই নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করা হয়। বিমানবন্দরের গেটের বাইরে নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে মার্কিনিদের দূরে থাকতে বলা হয়েছে।
শুধু যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রতিনিধির অনুমোদন পেলেই ভ্রমণ করতে বলেছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, তারা পরিস্থিতির গতিপথ পর্যবেক্ষণ করছেন এবং নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার বিকল্প পথ খুঁজছেন।
তবে আইএসের হামলার ঝুঁকি নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়। যদিও সশস্ত্র গোষ্ঠীটি এখনো কাবুলে হামলার হুমকি দেয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের মুখে গত রবিবার দুই দশক পর কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান বাহিনী। বর্তমান বলছে সরকার গঠনের প্রক্রিয়া।
তালেবান নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে কাবুল বিমানবন্দরে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। শনিবারও টার্মিনালের বাইরে হাজার হাজার মানুষকে অপেক্ষা করতে দেখা যায়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্রদের সঙ্গে সহায়তায় থাকা স্থানীয় নাগরিকেরা ভীতিকর অবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। সাধারণ ক্ষমার ঘোষণা দিলেও জাতিসংঘের একটি নথি জানাচ্ছে, আফগানিস্তানে ঘরে ঘরে মার্কিন মিত্রদের খোঁজ করছে তালেবানরা।
এ দিকে শনিবার কাবুল বিমানবন্দরে বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া গেলেও কী ঘটেছে স্পষ্ট নয়। হাজার হাজার মানুষের ভিড়ে অনেকে পিষ্ট হয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে।
ইতিমধ্যে নিজেদের নাগরিকদের পাশাপাশি মিত্রদের সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বেশ কয়েকটি দেশ।
শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, তারা ১৭ হাজারের মতো মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে, যাদের মধ্যে আড়াই হাজার মার্কিন নাগরিক।
বর্তমানে কাবুল বিমানবন্দর নিয়ন্ত্রণ করছে মার্কিন বাহিনী। তারা মিত্র বাহিনী ও স্থানীয় মিত্রদের আফগানিস্তান ত্যাগে কাজ করছে। ৩১ আগস্ট মার্কিন বাহিনী পুরোপুরি প্রত্যাহারের কথা বলেও তা কবে নাগাদ হবে এখনো অস্পষ্ট।