কোনো ধরনের প্রতিরোধ ছাড়াই দ্রুততম সময়ে কাবুলের পতনের জন্য আফগান জনগণ ও দেশটির নেতৃত্বকে দুষলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
আফগানিস্তানে তালেবানের হাতে মার্কিন-সমর্থক সরকারের পতনের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাপক সমালোচনার মুখে তিনি এমন অবস্থান নেন।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সোমবার জাতির উদ্দেশে ভাষণে বাইডেন বলেন, ‘আশরাফ গানি (সদ্যসাবেক আফগান প্রেসিডেন্ট) নিশ্চয়তা দিয়েছিলেন, আফগান সেনারা তালেবানের বিরুদ্ধে লড়বে। কিন্তু তার এ ধারণা ভুল ছিল।’
তিনি বলেন, ‘আমেরিকানরা এমন একটি যুদ্ধে প্রাণ দিতে পারে না, যেখানে আফগানরাই নিজেদের রক্ষায় লড়াইয়ে নামতে ইচ্ছুক নয়।’
সেনা প্রত্যাহারে তার কোনো দুঃখবোধ নেই জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘২০ বছর পরে এসে আমি কঠিনভাবে শিখেছি যে, আফগানিস্তান ত্যাগ করার জন্য কখনোই ভালো সময় ছিল না। আমি নতুন করে এ ভুল করতে পারি না।’
আফগানিস্তানে ২০১০ সালেই যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, আল-কায়দার বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়েছিল আমেরিকা। আফগান রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে দিতে নয়।
তবে আমেরিকান গণমাধ্যমের বিশ্লেষণে বলা হচ্ছে, যথাযথ পরিকল্পনা না করে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের তড়িঘড়ি সিদ্ধান্তের কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে। বিশেষত কাবুল পতনের আগে-পরের চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি বাইডেন প্রশাসনের জন্য বিব্রতকর হয়ে উঠেছে।
এছাড়া তালেবানের কাবুলের দিকে ধেয়ে আসার মুখে হেলিকপ্টার দিয়ে মার্কিন দূতাবাসকর্মীদের সরিয়ে নেওয়ার দৃশ্য আমেরিকানদের আহত করেছে বলে মনে করছেন সমালোচকরা।
এদিকে কাবুলের পতনে বাইডেনকে একহাত নিয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও প্রেসিডেন্ট থাকাকালীনই দোহায় তালিবান নেতৃত্বের সঙ্গে শান্তি আলোচনার সূচনা ও চুক্তি করেছিল তার প্রশাসন।
ট্রাম্প বলেন, ‘বাইডেনের পদত্যাগ করার সময় এসে গিয়েছে। আফগানিস্তানে উনি যা করলেন, আমেরিকার ইতিহাসে তা সবচেয়ে লজ্জাজনক পরাজয় বলে বিবেচিত হবে।’
তিনি প্রেসিডেন্ট থাকলে আফগানিস্তান তালিবানের হাতে চলে যেতে পারত না বলেও দাবি করেন ট্রাম্প।