প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৩৭৯ জন বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৩১ জন সরাসরি গুলির শিকার।
আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানায়, শুক্রবার অধিকৃত পশ্চিম তীরে অবৈধ ফাঁড়ি ও বসতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে শত শত ফিলিস্তিনি। এ সময় তাদের ওপর চড়াও হয় দখলদার বাহিনী।
নাবলুসের নিকটবর্তী বেইতা শহরে অবৈধভাবে জমি বাজেয়াপ্তের ঘটনায় বিক্ষোভ করলে ড্রোন থেকে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়।
এ সময় টায়ার পুড়িয়ে ও ইসরায়েল বাহিনীর দিকে পাথর নিক্ষেপ করে প্রতিবাদ জানায় ফিলিস্তিনিরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, জুমার নামাজের পর অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে ইসরায়েলি বাহিনী গুলি ও রাবার বুলেট ছোড়ে।
রেড ক্রিসেন্ট ৩৭৯ জন আহতের কথা বললেও ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ কোনো মন্তব্য করেনি।
একই ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে কাফর কাদ্দুম ও বেইন ডাজান শহরে। সেখানেও টিয়ার গ্যাসের শিকার হয়েছেন কয়েক ডজন বিক্ষোভকারী। এ ছাড়া হেবরনের মাসাফার ইয়াতা এলাকায় বিক্ষোভ দমন করে ইসরায়েলি সেনারা।
ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি হিসাব অনুযায়ী, পূর্ব জেরুজালেমসহ অধিকৃত পশ্চিম তীরে ১৬৪টি জনবসতিতে সাড়ে ৬ লাখ সেটলার বসতি স্থাপন করেছে, অবৈধভাবে নির্মাণ হয়েছে ১১৬টি ফাঁড়ি।
আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে দখলকৃত এ অঞ্চলে ইসরায়েলের এই সব জনবসতি অবৈধ।
কয়েক মাস ধরে নতুন করে বসতি স্থাপন নিয়ে ওই এলাকায় উত্তেজনা চলছে। ইসরায়েলের হামলায় কয়েকশ’ মানুষ মারাও গেছে।
এ দিকে আরব নিউজ বলছে, শুক্রবার জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক তদন্তকারীরা অবৈধভাবে দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেম ও পশ্চিম তীরের জনবসতি নিয়ে প্রতিবেদন দিয়েছে। তাদের মতে, ইসরায়েলের এ সব জনবসতি যুদ্ধাপরাধের শামিল।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনে মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত মাইকেল লিংক পৃথক বিবৃতিতে ইসরায়েলি জনবসতিকে ৫৪ বছর পুরোনো দখলদারির ইঞ্জিন বলে অভিহিত করেন। পূর্ব জেরুজালেম ও পশ্চিম তীরের ৩০০ জনবসতিতে ৬ লাখ ৮০ হাজারের বেশি সেটলার বসবাস করে বলেও উল্লেখ করেন।