আফগানিস্তানে সব ধরনের শত্রুতার অবসান ঘটেছে বলে জানিয়েছে তালেবান। মঙ্গলবার কাবুলে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন ঘোষণা দেন তালেবান মুখপাত্র। রোববার কাবুল দখলের পর এটি তাদের প্রথম জাতির উদ্দেশে রাখা কোনো সরাসরি বক্তব্য।
সংবাদ সম্মেলনে তালেবানদের পক্ষ থেকে জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, আমরা এটা নিশ্চিত করতে চাই যে আফগানিস্তান আর কোনোভাবে একটি যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে থাকবে না।
তারা বলে, ইতিমধ্যে আমরা আমাদের বিরুদ্ধে যারা যুদ্ধ করেছে তাদের ক্ষমা করে দিয়েছি। আফগানিস্তানে শত্রুতার অবসান হলো। আমরা কানো অভ্যন্তরীণ বা বহিশত্রু চাই না।
জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, আমরা নিশ্চিত করে বলছি, ইসলামি আইন অনুযায়ী নারী অধিকারকে সম্মান জানাব। তারা ইসলামিক আইন অনুযায়ী শিক্ষাগ্রহণ ও কর্মক্ষেত্রে যেতে পারবে।
মুজাহিদ বলেন, আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি যে আমাদের সংস্কৃতির আওতায় সংবাদমাধ্যম কাজ করতে পারবে। বেসরকারি সংবাদমাধ্যম মুক্ত ও স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে
তিনি বলেন, আমাদের দেশে ইসলাম খুব গুরুত্বপূর্ণ, যে কারণে ইসলামি মূল্যবোধ আমাদের বিবেচনায় নিতে হবে সংবাদমাধ্যমকে। সংবাদমাধ্যমের নিরপেক্ষতা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তারা আমাদের সমালোচনা করতে পারে যাতে আমরা আরো উন্নতি করতে পারি। কিন্তু তাদের উচিৎ নয় আমদের বিরুদ্ধে কাজ করা।
তিনি বলেন, সব জাতিরই মুক্তি ও স্বাধীনতা অর্জনের অধিকার আছে। আমরা কারো ওপর কানো প্রতিশোধ নেব না। কারো বিরুদ্ধে আমাদের কানো শত্রুতা নাই।
তিনি বলেন, আমরা জানি আমাদের অনেক কঠিন সময় ও সংকট অতিক্রম করতে হয়ছে। এ সময় আমাদের কিছু ভুলও হয়ছে।
তালেবানদের পক্ষ থেকে বলা হয়, আমরা এখন সরকার গঠনের প্রক্রিয়ায় আছি। এরপর কোন নীতিতে আমরা দেশ পরিচালনা করব তা জানাব।
জাবিহুল্লাহ বলেন, একটা বিষয় আমি বলতে চাই, আমরা জরুরি ভিত্তিতে সরকার গঠন প্রক্রিয়ার দিকে যাচ্ছি, এ পক্রিয়া মেষ হলে সবাইকে জানানো হবে।
তিনি বলেন, আমরা একটি মুসলিম জাতির দেশ, যা ২০ বছর আগে যেমন ছিল এখনো তাই। কিন্তু যখন অভিজ্ঞতা, উপলব্ধি বা দৃষ্টিভঙ্গীর বিষয় আসে, তাহলে বলব ২০ বছরের তুলনায় সেখানে বড় ধরনের পার্থক্য তৈরি হয়েছে। আমরা পরবর্তীতে যা করতে যাব তাতে পার্থক্য থাকবে। এটা স্বাভাবিক বিবর্তনের একটি প্রক্রিয়া।