বিশ বছর যুদ্ধ করে বিদেশি সেনারা যখন দেশে ফিরে যাওয়ার শেষ পর্যায়ে তখন আফগানিস্তান থেকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো বাহিনীর দায়িত্ব হস্তান্তর করলেন কমান্ডার অস্টিন স্কট মিলার।
সোমবার আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ এ জেনারেল পদত্যাগ করেন। ইতিমধ্যে বাইডেন প্রশাসন বলেছে, ৩১ আগস্ট হতে চলেছে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের শেষ দিন।
যুক্তরাষ্ট্রের একজন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা ভয়েস অক আমেরিকাকে বলেন, সোমবার ভোরে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় কমান্ডের (সেন্টকম) প্রধান জেনারেল ফ্রাঙ্ক ম্যাকেঞ্জি কাবুল পৌঁছান। তিনি সেখানে রয়ে যাওয়া বাকি সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব নেবেন।
বিবিসি জানায়, সোমবার সাদামাটা এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দুই মার্কিন জেনারেলের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন মিলার। যাদের একজন ফ্লোরিডার সদর দপ্তরে দায়িত্ব পালন করবেন। অন্যজন হলেন ম্যাকেঞ্জি।
বিদায় অনুষ্ঠানে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন মিলার। বলেন, “বিদায় জানানো আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।” এও বলেন, “আমাদের এখানকার কাজ হলো ভুলে না যাওয়া।”
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় কমান্ড অনুসারে, আফগানিস্তান থেকে দেশটির সেনা প্রত্যাহারের কাজ ৯০ শতাংশেরও বেশি সম্পন্ন হয়েছে। মার্কিন দূতাবাস ও কাবুলের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় সহায়তা দিতে এক হাজারেরও কম সেনা সেখানে অবশিষ্ট রয়েছে। বেশিরভাগ আমেরিকান সেনা এবং সরঞ্জামাদি স্থানান্তর সম্পন্ন হয়েছে।
সাবেক ডেল্টা ফোর্স ক্যাপ্টেন মিলার চার তারকার অধিকারী জেনারেল। তিনি ২০১৮ সালের ২ সেপ্টেম্বর আগফানিস্তানে ন্যাটো ও মার্কিন বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে যোগ দেন। এর আগে জয়েন্ট স্পেশ্যাল অপারেশন্স কমান্ডার হিসেবে কাজ করেন। এ ছাড়া মোগাদিসু ও ইরাক যুদ্ধে অংশ নেন।
আফগানিস্তানে ন্যাটো ও মার্কিন বাহিনীর সঙ্গে সবচেয়ে বেশি সময় কাজ করা কর্মকর্তা ছিলেন মিলার। যা তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে উজ্জ্বল অংশ।
ওদিকে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে তালিবান যোদ্ধাদের অগ্রাভিযান অব্যাহত রয়েছে। কিছুদিন আগে তারা দেশটির ৮৫ শতাংশ অঞ্চল দখলে নেওয়ার দাবি করে। তবে কোনো কোনো সূত্র বলছে, আফগানিস্তানের ৪০০ জেলার এক-তৃতীয়াংশে তালিবানদের দখলে চলে গেছে।