কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে শ্বশুর বাড়ির লোকজন অ্যাম্বুলেন্সে পুত্রবধূর লাশ ফেলে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ সেখান থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে।

নিহত রহিমা খাতুন (২২) তিনি নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের দক্ষিণ রামখানা কলোনিয়াল গ্রামের বেলাল হোসেনের মেয়ে।

রহিমা খাতুনের বাবা জানিয়েছেন, তার মেয়ে ছয় বছর আগে কাছাকাটা ইউনিয়নের কামার চর গ্রামের মোন্তাজ হোসেনের ছেলে আলি হোসেনের (৩০) সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। তাদের বাড়িতে দুটি মেয়ে রয়েছে। ৩ দিন আগে জামাই এবং তার পরিবারের সদস্যদের পারিবারিক বিষয় নিয়ে মেয়েটির সাথে ঝগড়া হয়েছিল।

এর পরে, মঙ্গলবার রাতে তাকে তার অসুস্থতার কথা না জানিয়ে নাগেশ্বরী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার আগেই মেয়েটি মারা যায়। বুধবার তারা দুধকুমার নদীর কালীগঞ্জ ঘাটে অ্যাম্বুলেন্সে মেয়ের লাশ ফেলে পালিয়ে যায়।

নাগেশ্বরী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল জানান, বুধবার সকালে আমরা খবর পেয়ে কালীগঞ্জের ওয়াবদা ঘাটে গিয়ে একটি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে লাশ থানায় নিয়ে এসেছি। পরে নিহতের বাবা বেলাল হোসেনের অভিযোগের পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত এটি খুন নাকি আত্মহত্যা তা নিশ্চিত হওয়া যায় না।

নাগেশ্বরী থানা পুলিশ ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) পলাশ চন্দ্র মন্ডল বলেছেন, “এ বিষয়ে যদি কোনও মামলা হয় তবে ক্ষতিগ্রস্থের বাড়ি কাঁচাটা থানায় থাকায় এটি সংশ্লিষ্ট থানায় থাকবে।”

Share.

রংপুরের অল্প সময়ে গড়ে ওঠা পপুলার অনলাইন পর্টাল রংপুর ডেইলী যেখানে আমরা আমাদের জীবনের সাথে বাস্তবঘনিষ্ট আপডেট সংবাদ সর্বদা পাবলিশ করি। সর্বদা আপডেট পেতে আমাদের পর্টালটি নিয়মিত ভিজিট করুন।

Leave A Reply

mostplay app

4rabet app

leonbet app

pin up casino

mostbet app

Exit mobile version