করোনার নমুনা পরীক্ষা নিয়ে ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নিয়েছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত গত সপ্তাহে এ আদেশ দেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) লিয়াকত আলী।

মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন মাসুদ পারভেজ, তরিকুল ইসলাম, আহসান হাবিব মজুমদার, হাতেম আলী, রাকিবুল ইসলাম, আবদুস সালাম, আবদুর রশীদ খান, অমিত বণিক, মিজানুর রহমান, শিমুল পারভেজ, দ্বীপায়ন বসু, শায়খুল ইসলাম ও পলাশ আলী। আসামিরা সবাই রিজেন্ট হাসপাতালের কর্মী। এ মামলায় চার আসামি পলাতক। তাঁরা হলেন শিমুল, দ্বীপায়ন, পলাশ ও শায়খু্ল। তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

করোনার রিপোর্ট জালিয়াতির অভিযোগে গত বছরের ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালান র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের ভ্রাম্যমাণ আদালত। করোনার রিপোর্ট জালিয়াতির অভিযোগে র‍্যাব বাদী হয়ে সাহেদসহ ১৭ জনের নামে মামলা করে। এ মামলায় গত ২৯ মার্চ সাহেদসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, সাহেদের নির্দেশনায় একটি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র করোনার ভুয়া সনদ তৈরি করে। পরীক্ষা ছাড়াই ভুয়া সনদ তৈরি ও নমুনা সংগ্রহের জন্য সাহেদ দুটি দল তৈরি করেন। আসামি রাকিবুল, পলাশ, তরিকুল শিবলী ও অমিত বণিক দিনে দুই শর মতো নমুনা সংগ্রহ করতেন। এর মধ্যে ৫০টি নমুনা পরীক্ষার জন্য জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠানে (নিপসম) পাঠানো হতো। বাকি নমুনাগুলো পরীক্ষা ছাড়াই ভুয়া সনদ তৈরি করতেন তাঁরা।

এর আগে গত ২৮ সেপ্টেম্বর অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় সাহেদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। চেক জালিয়াতির মামলায় ২০১০ সালে ঢাকার একটি আদালত সাহেদকে ছয় মাসের সাজা দেন। উত্তরা পশ্চিম থানায় সাহেদের বিরুদ্ধে ১৩টি মামলা আছে। এ ছাড়া সাহেদের বিরুদ্ধে ঢাকাসহ সারা দেশে ৫০টির বেশি মামলা বিচারাধীন।

Share.

রংপুরের অল্প সময়ে গড়ে ওঠা পপুলার অনলাইন পর্টাল রংপুর ডেইলী যেখানে আমরা আমাদের জীবনের সাথে বাস্তবঘনিষ্ট আপডেট সংবাদ সর্বদা পাবলিশ করি। সর্বদা আপডেট পেতে আমাদের পর্টালটি নিয়মিত ভিজিট করুন।

Leave A Reply

mostplay app

4rabet app

leonbet app

pin up casino

mostbet app

Exit mobile version