রংপুর বিভাগে করোনা সংক্রমণ প্রতিদিন ওঠা-নামা করছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই বিভাগজুড়ে আরও ৬৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। তবে একই সময়ে আক্রান্ত কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৬০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

শনিবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ডা. আবু মো. জাকিরুল ইসলাম।

এর আগের দিন শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) ১৬৪ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। সে দিন শনাক্তের হার ছিল ২৮ দশমিক ৯২ শতাংশ।

পরিচালক জাকিরুল ইসলাম বলেন , ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের আট জেলার ২৯২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে দিনাজপুরের ৪২, রংপুরের ১১, নীলফামারীর ৫, ঠাকুরগাঁওয়ের ৫ জনসহ গাইবান্ধা, লালমনিরহাট এবং কুড়িগ্রাম জেলার ১ জন করে করোনা পজিটিভ হয়েছেন।

বর্তমানে বিভাগে করোনা আক্রান্ত ২৯ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে সংকটাপন্ন ৮ রোগীকে আইসিইউ-তে রাখা হয়েছে। বাকিদের বাসায় রেখে চিকিৎসা চলছে।

এ সময়ে ভারত হতে লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ৩৫ জন দেশে ফিরেছেন।তিনি আরও জানান, রংপুর বিভাগে করোনায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে দিনাজপুরে।

এ জেলায় সর্বোচ্চ আক্রান্ত ১৫ হাজার ১৯৮ এবং ৩৩২ জন মারা গেছেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বিভাগীয় জেলা রংপুরে। এ জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৭৫১- তে।এ ছাড়া জেলা হিসেবে সবচেয়ে কম ৬৩ জন মারা গেছে গাইবান্ধায়।

এ জেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪ হাজার ৯২২ জনের। ঠাকুরগাঁওয়ে মৃত্যু ২৫৬ ও শনাক্ত ৭ হাজার ৭৫৯, নীলফামারীতে মৃত্যু ৮৯ ও শনাক্ত ৪ হাজার ৫২৬, পঞ্চগড়ে মৃত্যু ৮১ ও শনাক্ত ৩ হাজার ৮৫৮, কুড়িগ্রামে মৃত্যু ৬৯ ও শনাক্ত ৪ হাজার ৬৬৬ এবং লালমনিরহাট জেলায় মৃত্যু ৬৯ ও আক্রান্ত ২ হাজার ৭৯২ জন।

তিনি জানান, ২০২০ সালের মার্চে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত বিভাগে মোট ৩ লাখ ১২ হাজার ১৯৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫৬ হাজার ৪৭২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আট জেলায় মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ২৫২ জনের। এখন পর্যন্ত বিভাগে সুস্থ হয়েছেন ৫৪ হাজার ৪৬৪ জন।

এদিকে, অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বা রেড জোনে থাকা রংপুর বিভাগের দিনাজপুর, পঞ্চগড় ও লালমনিরহাট জেলায় সংক্রমণে শনাক্তের হার ১০-১৫ শতাংশে ওঠা-নামা করছে। এ ছাড়া ইয়েলো জোন বা মধ্যম ঝুঁকিতে থাকা রংপুর, কুড়িগ্রাম ও ঠাকুরগাঁও জেলায় শনাক্তের হার ৫ থেকে ১০ শতাংশের মধ্যে রয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ডা. আবু মো. জাকিরুল ইসলাম বলেন, গণটিকাসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষকে টিকার আওতায় আনার ফলে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার আগের চেয়ে কমে আসছে। বর্তমানে নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন এবং করোনার ঊর্ধ্বমুখী পরিস্থিতিতে যেভাবে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হচ্ছে, তা উদ্বেগজনক।

Share.

রংপুরের অল্প সময়ে গড়ে ওঠা পপুলার অনলাইন পর্টাল রংপুর ডেইলী যেখানে আমরা আমাদের জীবনের সাথে বাস্তবঘনিষ্ট আপডেট সংবাদ সর্বদা পাবলিশ করি। সর্বদা আপডেট পেতে আমাদের পর্টালটি নিয়মিত ভিজিট করুন।

Leave A Reply

mostplay app

4rabet app

leonbet app

pin up casino

mostbet app

Exit mobile version