দেশে করোনার ভাইরাসের প্রকোপে রেকর্ড সংখ্যক শনাক্ত ও মৃত্যু হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এর মধ্যেই আবার আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে শিথিল করা হচ্ছে চলমান কঠোর লকডাউন যা পরিস্থিতির সাথে সাংঘর্ষিক। কিন্তু ঈদুল আজহা উপলক্ষে ব্যবসায়ীদের কেনা বেচা ও গরুর মালিকদের হাটে গরুর বিক্রি করা এসব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক। তাই বেশকিছু নির্দেশনা মেনে চলার শর্তে আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে পশুর হাট বসানোর অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
আজ বুধবার সরকারের এই তথ্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যাতে বলা আছে,
- অনলাইনের পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারের অন্যান্য নির্দেশনা অনুযায়ী কোরবানির পশুর হাট বসাতে হবে।
- হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের একমুখী চলাচল থাকতে হবে, অর্থাৎ প্রবেশপথ এবং বের হওয়ার পথ আলাদা করতে হবে।
- হাতে পর্যাপ্ত সময় রেখে পশু কেনা নিশ্চিত করতে হবে। তাড়াহুড়ো করা যাবে না।
- বৃদ্ধ ও শিশুদের পশুর হাটে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা নিষিদ্ধ।
- পশুর হাটে জাল টাকা শনাক্তকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাখা হবে।
- হাটে আসা সবাই যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।
- ক্রেতা-বিক্রেতার তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র, হাত ধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত বেসিন, পানি ও জীবাণুনাশক সাবান রাখতে হবে।
- যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটায়, এমন স্থানে পশুর হাট বসানো যাবে না।
- পশুর হাটে সামাজিক দূরত্ব মেনে লাইনে দাঁড়ানো এবং প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
- উল্লেখিত নির্দেশসমূহ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে হাটে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
- সরকার নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি দিতে হবে।
- পশু কোরবানির পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বর্জ্য অপসারণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।