হতাশার বৃষ্টি মাখি না সে অনেক..দিন হবে,
মন ছিল চঞ্চল চড়ুই পাখির মত
দিনমান তার কত অস্থিরতা, কত উড়ে চলা।
অবারিত আকাশে ছোট্ট দুই ডানা মেলে
ঘুরতো সে পরমানন্দে।

চোখে চিকচিক করতো ভরশার হাসি
ডার্ক সার্কেলও ছুটি নিয়েছিল বহুকাল আগে।
ঠোঁটের কোণে সবসময়ই থাকতো
পৌষের মিষ্টি রোদের মতো
এক চিলতে সত্যিকারের হাসি।
না, সে হাসি মেকি নয়।
ভুবনজয়ী সেই হাসি ছিল বেশ ছোঁয়াচে।
কষ্টের ক্ষতে নিপুণভাবে এঁকে দিত
সুখের হিম শীতল পরশ।

কপট সুখের অভিনয় করতে করতে
এক সময় ছিঁড়ে গিয়েছিল শঠতার সূতো।
জীবন আকাশের পশ্চিম কোণে
দেখা দিল গোধূলিরাঙা আবিরের বহুলতা।
মুগ্ধ আঁখিজোড়া ছিল পুলকিত।
আদিত্যতেজে অতিষ্ঠ আমি ভেবেছিলাম
এই বুঝি দহনের পোড়া কাঠের পরিসমাপ্তি।
সুখের স্বর্গলিপিতে বোধ হয়
লিখব নিজের নাম।

হুহ্! না। তা আর হয়ে ওঠেনি।
বিভাবসু ডুবে গিয়ে নিশাকান্তেই লুকিয়ে ছিল।
রাত্রির শেষাংশে তার কুটিল হাসি দেখে বুঝলাম,
আমার সুখের প্রতীক নেভাতেই ছিল
ছলনার এত জমকালো আয়োজন।


লেখা: মেহেজাবীন শারমিন প্রিয়া।
৪ সেপ্টেম্বর ২০২১

Share.

My name is Mahazabin Sharmin Priya, and I am an author who studied Mathematics at the National University. I have a deep passion for writing in various genres, including Islam, technology, and mathematics. With my knowledge and expertise, I strive to provide insightful and engaging content to readers in these areas.

Leave A Reply

mostplay app

4rabet app

leonbet app

pin up casino

mostbet app

Exit mobile version