সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে চাল, মুরগি, ডিম ও কাঁচা মরিচের দাম। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা।

অপরদিকে, অপরিবর্তিত রয়েছে সবজিসহ অন্য পণ্যের দাম।
শুক্রবার (৬ আগস্ট) সকালে রাজধানীর মিরপুরের ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

বাজারে বেশিরভাগ সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এসব বাজারে প্রতিকেজি (গোল) বেগুন ৮০ টাকা, করলা ৪০ টাকা, ইন্ডিয়ান টমেটো ১০০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা। চাল কুমড়া পিস ৪০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, লতি ৮০ টাকা ও কাকরোল ৬০ টাকা।

এ সব বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি। পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা। বাজারে বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা দরে প্রতি কেজি। সেই হিসাবে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে ১২০ টাকা।

কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। শসার দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকায়।

এছাড়া শুকনা মরিচ প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, রসুনের কেজি ৮০ থেকে ১৩০ টাকা, আদার দাম ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। হলুদ ১৬০ টাকা থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চিনির প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৮ থেকে ৮০ টাকায়।

বাজারে প্রতি কেজি চালের দাম বেড়েছে ২ থেকে ৩ টাকা। বিআর-২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকা, মিনিকেট ৬২ থেকে ৬৪ টাকা, পাইজাম চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০ টাকা, মোটা চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৬ থেকে ৪৮ টাকা। গত সপ্তাহে মোটা চলের কেজি ছিল ৪৪ থেকে ৪৫ টাকা।

নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৭ থেকে ৭০ টাকা, পোলাওর চাল আগের দামেই ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মিরপুর কালশী বাজারের চাল বিক্রেতা শাহাদাত হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, সবধরনের চালের দাম কেজি প্রতি বেড়েছে ২ থেকে ৩ টাকা। করোনা মহামারির কারণে এবারের মৌসুমে চালের দাম বেড়েছে। ভরা মৌসুমে চালের দাম বাড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে সিন্ডিকেট। সরকার যদি প্রতিদিন চালের বাজার মনিটরিং করতে, তাহলে দাম বাড়তো না। চালের দাম বাড়ার কারণে যদি সরকারি একটি-দুটি রাইস মিল বন্ধ করে দিত, তাহলে হঠাৎ করে চালের দাম বাড়াতে পারতেন না মিল মালিকরা

ডিমের দাম বেড়েছে। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে থেকে ১০০ টাকায়। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। হাঁসের ডিমের দাম বেড়ে ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে হাঁসের ডিমের ডজনে দাম বেড়েছে ১৫ টাকা। সোনালী (কক) মুরগির ডিমের ডজন আগের দামে ১৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

মুরগির দাম বেড়ে বাজারে প্রতি কেজি সোনালি (কক) মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। লেয়ার মুরগি কেজিতে দাম বেড়েছে ২০ টাকা। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা।

১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা মো. রুবেল বাংলানিউজকে বলেন, ক্রেতারা বাজারে কম আসছেন। গার্মেন্টস খুলে যাওয়ার মুরগির চাহিদা একটু বেড়েছে। এ কারণে বাজারে বাড়তে শুরু করেছে মুরগির দাম।

Share.

রংপুরের অল্প সময়ে গড়ে ওঠা পপুলার অনলাইন পর্টাল রংপুর ডেইলী যেখানে আমরা আমাদের জীবনের সাথে বাস্তবঘনিষ্ট আপডেট সংবাদ সর্বদা পাবলিশ করি। সর্বদা আপডেট পেতে আমাদের পর্টালটি নিয়মিত ভিজিট করুন।

Leave A Reply

mostplay app

4rabet app

leonbet app

pin up casino

mostbet app

Exit mobile version