ভুয়া ওয়ার্ক অর্ডারের মাধ্যমে এবি ব্যাংকের ১৭৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ১৭ জনের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশ-দুদক।

মঙ্গলবার দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপ-সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

মামলার আসামিরা হলেন- এরশাদ ব্রাদার্স করপোরেশনের মালিক এরশাদ আলী, এবি ব্যাংকের সাবেক এমডি মসিউর রহমান চৌধুরী, সাবেক এমডি শামীম আহমেদ চৌধুরী, ইভিপি ও হেড অব সিআরএম ওয়াসিকা আফরোজী, ভিপি ও সিএমআরের সদস্য মুফতি মুস্তাফিজুর রহমান (স্বপন), সাবেক এসইভিপি ও হেড অব সিআরএম সালমা আক্তার, এভিপি ও সিআরএম সদস্য এমারত হোসেন ফকির, সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার তৌহিদুল ইসলাম, এসভিপি ও সিআরএমের সদস্য শামীম-এ-মোরশেদ, ভিপি ও সিআরএমের সদস্য খন্দকার রাশেদ আনোয়ার, এভিপি ও সিআরএমের সদস্য সিরাজুল ইসলাম, সাবেক ভিপি ও ক্রেডিট কমিটির সদস্য মাহফুজ-উল-ইসলাম।

মামলায় আরও আসামি করা হয়েছে- এবি ব্যাংকের কাকরাইল শাখার ইসলামী ব্যাংকিং বিভাগের সাবেক ইভিপি ও শাখা ম্যানেজার এ.বি.এম আব্দুস সাত্তার, সাবেক এভিপি ও রিলেশনশিপ ম্যানেজার আব্দুর রহিম, বর্তমান এসভিপি ও সাবেক রিলেশনশিপ ম্যানেজার আনিসুর রহমান, ভিপি শহিদুল ইসলাম ও এভিপি রুহুল আমিনকে।

এজাহারে বলা হয়েছে, এরশাদ আলী এবি ব্যাংকের কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক শাখা থেকে পদ্মা রেলসেতু প্রকল্পে পাথর সরবরাহের ৬টি ওয়ার্ক অর্ডার দেখিয়ে ১৬৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা ঋণ নেন। কাকরাইলের এবি ব্যাংকের ইসলামী ব্যাংকিং শাখা থেকে ২০১৫ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ৬ ধাপে এ ঋণ নেয় এরশাদ আলীর প্রতিষ্ঠান। ওয়ার্ক অর্ডারসহ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র কোনো রকম যাচাই-বাছাই ছাড়াই এ ঋণ দেয়া হয়। অথচ ওয়ার্ক অর্ডারটি আমিনুল ইসলামের নামে ইস্যুকৃত। যিনি এরশাদ ব্রাদার্স করপোরেশনের স্বত্বাধিকারী নন।

প্রতিবেদন বলছে, বিশাল অঙ্কের এ ঋণ দেয়ার ব্যাপারে এবি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের তদারকির ঘাটতি ছিল। এছাড়া ২০১৭-১৮ সালে ৭টি ব্যাংক গ্যারান্টি প্রস্তুত করে আরও ১০ কোটি টাকা উত্তোলন করে আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে।

Share.

রংপুরের অল্প সময়ে গড়ে ওঠা পপুলার অনলাইন পর্টাল রংপুর ডেইলী যেখানে আমরা আমাদের জীবনের সাথে বাস্তবঘনিষ্ট আপডেট সংবাদ সর্বদা পাবলিশ করি। সর্বদা আপডেট পেতে আমাদের পর্টালটি নিয়মিত ভিজিট করুন।

Leave A Reply

mostplay app

4rabet app

leonbet app

pin up casino

mostbet app

Exit mobile version