আজ মঙ্গলবার কারাগার থেকে মুক্তি মিলছে না চিত্রনায়িকা পরীমনির আদালত থেকে জামিন পেলেও । জেলার (ভারপ্রাপ্ত) সৈয়দ শাহ শরীফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের । বিকেল থেকে কারাফটকে উৎসুক মানুষ তাঁকে দেখার জন্য ভিড় করতে শুরু করে এদিকে পরীমনির জামিনের খবর পেয়ে ।
সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নায়িকা পরীমনির জামিনের কাগজপত্র কারাগারে এসে পৌঁছায়নি কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার (ভারপ্রাপ্ত) সৈয়দ শাহ শরীফ সন্ধ্যা ৭টায় রংপুর ডেইলীকে বলেন। তিনি মুক্তি পাচ্ছেন না তাই আজ (মঙ্গলবার) জামিন হলেও কারাগার থেকে । তবে কারাগারে তাঁর জামিনের কাগজপত্র পৌঁছালে তা যাচাই-বাছাই শেষে মুক্তি দেওয়া হবে।
তবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ পরীমনির জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার আগ পর্যন্ত পরীমনির জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত পরীমনির আইনজীবী মুজিবুর রহমান রংপুর ডেইলীকে জানিয়েছেন।
তবে ৪ আগস্ট বিকেল চারটার পরপরই বনানীর ১২ নম্বর রোডে পরীমনির বাসায় অভিযান পরিচালনা করে র্যাব । আর এ সময় ওই বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ, মদের বোতলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। এরপর ৫ আগস্ট চার দিন এবং ১০ আগস্ট দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। কারাগারে পাঠানো হয় ১৩ আগস্ট রিমান্ড শেষে তাঁকে । তবে এরপর আবার ১৯ আগস্ট এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত । আর রিমান্ড শেষে ২১ আগস্ট আবার তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
তবে এরপর ২২ আগস্ট পরীমনির পক্ষে তাঁর আইনজীবীরা ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করেন। আদালত ১৩ সেপ্টেম্বর জামিন শুনানির দিন ধার্য করেন । ওই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন পরীমনি জামিন শুনানির জন্য ২১ দিন পরে দিন ধার্য করায় । তবে পরীমনির জামিন আবেদনের শুনানি ২১ দিন পর ১৩ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করে মহানগর দায়রা জজ আদালতের দেওয়া আদেশ কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দেন হাইকোর্ট। তবে একই সঙ্গে জামিন আবেদনের শুনানি এগিয়ে (১৩ সেপ্টেম্বরের আগে) দুই দিনের মধ্যে তা করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা–ও জানতে চাওয়া হয় রুলে।
