শিক্ষা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে চাইলে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। ‘আন্দোলনের ভয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হচ্ছে’ বিএনপির মহাসচিবের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের এই নেতা প্রশ্ন রেখে বলেন, কোন আন্দোলনের ভয়? কোনো আন্দোলনকে আওয়ামী লীগ ভয় পায় না। কারণ বিএনপির আন্দোলন সব সময় ব্যর্থ হয়েছে। বিএনপির আন্দোলনে কোনো জনমুখী ও জনস্বার্থের কোনো আন্দোলন নেই। তাই দেশের জনগণ আপনাদেরকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ছাত্রলীগের শোক দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নানক বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান এদেশে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেননি বরং শিক্ষাকে একটি গোল টেবিলের ভিতরে সীমাবদ্ধ করে ফেলেছিল। অথচ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাজের মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত এবং দুস্থ মানুষের দোরগোড়ায় শিক্ষাকে পৌঁছে দিয়েছেন।

জাহাঙ্গীর কবির নানক ১৫ আগস্টের কালরাত্রীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতাসহ নির্মমভাবে নিহত সকল শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। তিনি বলেন, আজ গভীর দুর্যোগের অভিজ্ঞতা যখন নতুন করে বিশ্বজুড়ে রাষ্ট্রগুলোকে আরো বেশি দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে তখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আমাদের সকলকে মনে করতে হবে। বাকশালকে বুঝতে হবে? বুঝতে হবে কেন বঙ্গবন্ধু দ্বিতীয় বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন? আর কেনইবা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার প্রণোদনা এসেছিল আর কাদের মদদেই বা এসেছিল?

তিনি বলেন, ৭৫ সালের ১৫ আগস্ট আমাদের কাছে এক শিক্ষা। ৭৫ কি খুঁজতে হলে একাত্তরকে খুঁজে দেখতে হবে। সেদিন একাত্তরে পরাজিত ওই খুনিদের চিহ্নিত করে কাঠগড়ায় না দাঁড় করানোর কারণেই তারা ১৫ আগস্টে সেই সুযোগ নিয়েছে।

করোনাকালীন সময় ছাত্রলীগের প্রশংসা করে তিনি বলেন, এই ছাত্রলীগ আপনার (প্রধানমন্ত্রী) নির্দেশে বর্ষার মৌসুম কৃষকের ধান কেটে তাদের গোলায় তুলে দিয়েছে। মহামারি করোনায় আক্রান্ত হয়ে পিতা মারা গেলে সন্তান যখন কাছে যেত না, সন্তান মারা গেলে যখন পিতার কাছে যেত না, তখনো ছাত্রলীগ তাদেরকে দাফনের ব্যবস্থা করেছে। নিম্নবিত্ত ও মধ্যনিম্নবিত্ত অসহায় ছিন্নমূল মানুষের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দিয়েছে ছাত্রলীগ।

সভায় আওয়ামী লীগের আরেক সভাপতিমন্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, সারা বছর তাদের (বিএনপির) কোনো কার্যক্রম থাকে না। কিন্তু আগস্ট মাস আসলেই তারা একটি কমিটি করে চন্দ্রিমা উদ্যানে তাণ্ডব চালায়। চন্দ্রিমা উদ্যানের জিয়ার কবরে ফুল দেওয়ার নামে পাশাপাশি গাড়ি ভাঙচুর করে একটি অস্থির পরিস্থিতি তৈরি করার পাঁয়তারা করেছিল। এখনো তারা সেই পাঁয়তারা করছে। আগস্ট মাস আসলেই ওরা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় আমরাও সেই ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাই। এজন্য আমাদের সকলের ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকতে হবে।

আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। এ সময় সাবেক ও বর্তমান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Share.

রংপুরের অল্প সময়ে গড়ে ওঠা পপুলার অনলাইন পর্টাল রংপুর ডেইলী যেখানে আমরা আমাদের জীবনের সাথে বাস্তবঘনিষ্ট আপডেট সংবাদ সর্বদা পাবলিশ করি। সর্বদা আপডেট পেতে আমাদের পর্টালটি নিয়মিত ভিজিট করুন।

Leave A Reply

mostplay app

4rabet app

leonbet app

pin up casino

mostbet app

Exit mobile version