আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫৩ হাজার ৩৪০ পরিবারকে দুই শতাংশ জমির মালিকানাসহ সেমিপাকা ঘর উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় তিনি বলেছেন, ‘একটি ঘর পেয়ে দুঃখী মানুষের মুখে যে হাসি, যে আনন্দ, এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কিছু নেই। ঘর পাওয়া মানুষের হাসিই আমার কাছে বড়। ক্ষমতায় থেকে নিজে খাব, এটা নয়। ক্ষমতা আমার কাছে মানুষকে শান্তিতে রাখা। কীভাবে মানুষকে ভালো রাখা যায় এটা হলো বড় কাজ।’
গতকাল রবিবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারা দেশের ৪৫৯টি উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের হাতে জমির দলিল ও ঘরের চাবি তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের উপজেলা প্রান্ত থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের হাত থেকে জমির দলিল ও ঘরের চাবি বুঝে নেয় হতদরিদ্র এসব পরিবার। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নিজ কার্যালয় থেকে কুড়িগ্রাম সদর, শেরপুরের ঝিনাইগাতি, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া ও মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় সরাসরি যুক্ত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ঘর পাওয়া মানুষের মধ্যে ব্যাপক খুশির জোয়ার দেখা যায়। আনন্দে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন সুবিধাভোগীরা। এ সময় প্রধানমন্ত্রীও আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। বাগেরহাটের মোংলার তৃতীয় লিঙ্গের নিশি আক্তারের বাবা নেই। মাকে নিয়ে দীর্ঘদিন সরকারি জায়গায় বাস করছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর ঘর পেয়ে দারুণ খুশি মা ও নিশি। ফলে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতেও ভোলেননি তারা।
চাঁদপুর সদর উপজেলার মানিক দেওয়ান বলেন, ‘আগে মাতার উপুড়ে কোন ছাদ আচিল না। এই জীবনে কোনো ঠিকানা অইবো কি না তাও জানতাম না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী আমগোরে একটা ঘর দিছে একটা ঠিকানা দিছে কি কইয়া যে ধইন্যবাদ জানামু ভাষা পাইনা। তয় আল্লাহর কাছে হ্যার লইগ্যা দোয়া করি, আল্লাহ যেন হ্যার ভালো করেন।’ মানুষের এমন প্রতিক্রিয়ায় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য সমাজের একদম নিচু স্তরে পড়ে থাকা লোকদের টেনে তোলা, তাদের মূল সমাজের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা। অর্থনীতির নীতিমালায় আমাদের প্রথম কাজ হচ্ছে একেবারে গ্রাম পর্যায়ে তৃণমূল মানুষের কাছে সুবিধা পৌঁছে দেওয়া। এই মানুষগুলোর জীবনমান উন্নত করতেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পুরো বাংলাদেশ আমি ঘুরেছি। গ্রামগঞ্জে-মাঠে ঘাটে। আওয়ামী লীগ অধিকার নিয়ে কাজ করে। জাতির পিতা মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্ব দিয়েছেন। তার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘আমরা এ পর্যন্ত ৪ লাখ ৪২ হাজার ৬০৮ পরিবারকে গৃহ নির্মাণ করে দিয়েছি। এরমধ্যে জলবায়ু উদ্বাস্তু পুনর্বাসনে কক্সবাজারে রয়েছে খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প ও আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প। এছাড়াও আমাদের সচিবরা তাদের নিজস্ব অর্থায়নে ১৬০টি পরিবারকে ঘর করে দিয়েছেন। আমাদের পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনী ও বিভিন্ন সংস্থা এ কাজে এগিয়ে এসেছে।
মুজিববর্ষে ‘বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’Ñপ্রধানমন্ত্রীর এমন সিদ্ধান্তের আলোকে দেশের সব ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি এবং গৃহ প্রদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে এ বছরের ২৩ জানুয়ারি প্রথম পর্যায়ে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সেমিপাকা বাড়ি ও ব্যারাকে ৬৯ হাজার ৯০৪টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে বিনামূল্যে জমিসহ গৃহ উপহার দেন প্রধানমন্ত্রী। গত ছয় মাসে মোট ১ লাখ ২৩ হাজার ২৪৪ ভূমিহীন পরিবারকে ঘর দেওয়া হলো। এরও আগে জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবারকে বহুতল ভবনে একটি করে ফ্ল্যাট প্রদানের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ৪ হাজার ৪০৯টি পরিবারকে খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দলিলে জমির মালিকানা স্বামী ও স্ত্রীর যৌথ নামে করে দেওয়া হয়েছে। সেমিপাকা প্রতিটি ঘরে আছে দুটি রুম, একটি বড় বরান্দা, রান্নাঘর ও টয়লেট। পাশাপাশি সুপেয় পানি ও বিদ্যুতের ব্যবস্থাও আছে। এছাড়াও আত্মনির্ভরশীল করতে এসব পরিবারের কর্মসংস্থানের জন্য নানা ধরনের প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য স্থির করেছি, বাংলাদেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করব। এর জন্য শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়েছি, কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিয়েছি। মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করেছি। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং গৃহহীন মানুষকে ঘরবাড়ি তৈরি করে দিচ্ছি। বস্তিবাসীর জন্য ঢাকায় ভাড়ায় থাকার জন্য ফ্ল্যাট করে দিচ্ছি। অর্থনৈতিক নীতিমালায় আমরা তৃণমূলকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি। গ্রাম পর্যায়ে মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়া, তাদের খাদ্য, শিক্ষা ও বাসস্থান নিশ্চিত করা আমাদের লক্ষ্য।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশের কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না। কোথাও কেউ গৃহহীন থাকলে আমাদের জানাবেন। আমার লক্ষ্য এটাই, বঙ্গবন্ধুর সৃষ্ট বাংলাদেশে কোনো মানুষ ভূমিহারা, গৃহহারা থাকবে না। তবেই আমার বাবার আত্মা শান্তি পাবে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাসের প্রভাব শেষ হচ্ছে না। টিকা নিয়ে আসছি। আরও আনব। স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিধি মেনে চলতে হবে। হাত ধোয়া, মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা দরকার। নিজে ভালো থাকবেন, অন্যকে ভালো থাকতে সহযোগিতা করবেন।’
আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মাহবুব হোসেন বলেন, ‘একসঙ্গে এত মানুষকে জমির মালিকানাসহ সেমিপাকা ঘর দেওয়া পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা। এই অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে শেখ হাসিনা মডেল। তিনি মনে করেন, আশ্রয়ণে ছিন্নমূল বিশালসংখ্যক জনগোষ্ঠী স্থায়ী আবাসনের পাশাপাশি আত্মকর্মসংস্থানেরও সুযোগ পাচ্ছে। এতে দারিদ্র্য বিমোচন ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে যাচ্ছে।’
শঙ্খ নদীর ভাঙনে নিঃস্ব ৪০ গৃহহীন পেল ঘর : শঙ্খের ভাঙনের কবলে পড়ে নিঃস্ব হয়েছে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর উপজেলার পুকুরিয়া এলাকার তেচ্ছিপাড়া, খন্দকারপাড়া, পুকুরিয়া নতুন পাড়া, নাটমুড়া, হাজীগাঁও, বরুমছড়াসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা। মাথা গোঁজার ঠাঁই পাওয়ার আশায় যখন চিন্তায় বিভোর, তখনই প্রধানমন্ত্রীর নতুন ঘর উপহারের ঘোষণায় যেন তারা চাঁদ হাতে ফেলেন। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ৪০টি ঘর গতকাল উপকারভোগীদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় বাঁশখালীর সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
ঘর পেয়ে খুশি উপকূলের দরিদ্র পরিবারগুলো : মুজিববর্ষ উপলক্ষে দ্বিতীয় পর্যায়ে বাগেরহাটে ভূমি ও গৃহহীন ৬৪৫টি পরিবারকে জমি ও ঘর দিল সরকার। গতকাল এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এসব দরিদ্র পরিবারকে জমির দলিল ও চাবি হস্তান্তর করা হয়। বাগেরহাট সদর উপজেলার দেবীরবাজার এলাকায় আশ্রয় প্রকল্পে ঘর পাওয়া এস এম তাজউদ্দিন বলেন, ‘আমি ভূমিহীন পঙ্গু মানুষ। আমার ঘরবাড়ি কিছুই ছিল না। প্রধানমন্ত্রী আমাকে মাথা গোঁজার একটি ঠাঁই দিয়েছেন। জমি ও ঘর পেয়ে আমি দারুণ খুশি হয়েছি।’
এরআগে গত ২৩ জানুয়ারি প্রথম পর্যায়ে বাগেরহাটে ৪৩৩টি পরিবারকে জমি ও ঘর দেয় সরকার।
প্রতিবন্ধী মাসুদা পেল জমি-ঘর : শরীয়তপুর পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের পশ্চিম কোটাপাড়া গ্রামের শারীরিক ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মাসুদা বেগম (৪৪) পেল সরকারি জমি ও ঘর। গতকাল সদর উপজেলা সভাকক্ষে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন-গৃহহীন জেলার ১ হাজার ২০০ পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদানের সময় তিনিও ঘর পান।
মাসুদা বেগম জানান, তিনি জন্ম থেকে শারীরিক প্রতিবন্ধী। পরে দুর্ঘটনায় তার দুটি চোখও নষ্ট হয়ে যায়। অভাবের সংসারে খুব কষ্টে দিনাতিপাত করছিলেন। ঘর পেয়ে আনন্দে আত্মহারা মাসুদা বেগম বলেন, ‘আগে জমি ও ঘর ছিল না। অন্যের বাড়িতে জরাজীর্ণ একটি ঘরে পরিবার নিয়ে থাকতাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে ঘর দিলেন। তাকে আল্লাহ ভালো রাখুক।’
‘মুই স্বপ্নেও ভাবিবার পারিনাই জমিসহ পাকা ঘর পাইমু’ : ‘মুই স্বপ্নেও কোনো দিন ভাবিবার পারি নাই নিজের জমি হইবে ও পাকা ঘর হইবে। ম্যানষের বাড়িত ঝিঁ কাজ করি খাও। পাঁচটা ছাওয়া (সন্তান) নিয়ে পরগাছার মতো ম্যানষের জায়গাত ঘর তুলি ছিনু। মুই ভাবিবার পারো নাই শেখের বেঠি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মোক জমিসহ ঘর দিবে। আজি ঘর পায়া মোর খুব আনন্দ লাগেছে। এলা মোক আর কাহো পরগাছা কবার (বলার) পারিবে না।’ গতকাল প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে এসব কথা বলছিলেন নীলফামারী সদর উপজেলার খোকসাবাড়ী ইউনিয়নের রামকলা শাইলবাড়ী গ্রামের রাবেয়া খাতুন (৫০)। ১০ বছর পূর্বে স্বামীর বাড়ি থেকে বিতাড়িত হয়েছিলেন রাবেয়া। পাঁচ সন্তানসহ আশ্রয়হীন হয়ে পরগাছার ন্যায় কাটিয়েছেন মানবেতর জীবন। নতুন ঘর ও জমি পেয়ে এখন তিনি খুব খুশি।
এদিন জেলার এক হাজার ১০টি পরিবারের মাঝে ঘর ও জমি হস্তান্তর করা হয়।
‘এখন আমাকে কেউ গৃহহীন বলতে পারবে না’ : ‘আল্লাহর কাছে দোয়া করি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যেন হাজার বছর বাঁচিয়ে রাখেন। মানুষ এখন আমাকে গৃহহীন বলতে পারবে না।’ এমনি সুখানুভূতি ব্যক্ত করেন মাগুরা সদরের শেখপাড়ায় ঘর পাওয়া বিধবা নারী মঞ্জুরা খাতুন। তিনি বলেন, ‘স্বামীর মৃত্যুর পর বিভিন্ন মানুষের বাড়িতে কাজ করেছি। মাথা গোঁজার জন্য ঘর ছিল না। প্রধানমন্ত্রী আমাকে একটি ঘর ও দুই শতক জমির দলিল উপহার দিয়েছেন।’ এমনইভাবে মাগুরায় ঘর পাওয়া উপকারভোগীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে মোনাজাত করেছেন। এদিন মাগুরাতে দ্বিতীয় পর্যায়ের ঘর পেয়েছেন ১৯৫ গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার। এর আগে প্রথম পর্যায়ে মাগুরার ৪ উপজেলায় ১১৫টি পরিবারের মধ্যে ঘর হস্তান্তর করা হয়।
মির্জাপুরে জমি ও ঘর পেল আরও ৭০ পরিবার : টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের জমি ও পাকা ঘর পেল ৭০ পরিবার। গতকাল উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এসব জমি ও ঘরের দলিল হস্তান্তর করা হয়। এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. একাব্বর হোসেন উপস্থিত ছিলেন। এর আগে প্রথম ধাপে মির্জাপুরে ৩০৭ ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও ঘর প্রদান করা হয়েছে।
সাভারে ঘর পেল ৫১ পরিবার : সাভারে দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫১ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর প্রদান করা হয়েছে। গতকাল উপজেলা পরিষদের হলরুমে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উপকারভোগীদের হাতে ঘরের চাবি ও দলিল হস্তান্তর করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। এর আগে প্রথম পর্যায়ে উপজেলায় ৪১টি পরিবারকে ঘর প্রদান করা হয়।
মাগুরায় ঘর পেল ১৯৫ পরিবার : মুজিববর্ষ উপলক্ষে দ্বিতীয় পর্যায়ে মাগুরায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেল ১৯৫টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। গতকাল ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর। মাগুরা সদর উপজেলায় ৩৫টি, শ্রীপুরে ৪০টি, শালিখায় ৮০টি এবং মহম্মদপুর উপজেলায় ৪০টি পরিবার ঘর পেয়েছেন। এর আগে প্রথম পর্যায়ে জেলার চার উপজেলায় ১১৫ পরিবারকে ঘর হস্তান্তর করা হয়।
ঝিনাইদহে ১৮৭ পরিবার পেল ঘর : ঝিনাইদহে ১৮৭ ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান। এর আগে প্রথম পর্যায়ে জেলায় ৪০৭ পরিবারকে ঘর দেওয়া হয়।
হিলিতে ১১০ পরিবার পেল ঘর : দিনাজপুরের হাকিমপুরের হিলিতে মুজিববর্ষ উপলক্ষে দ্বিতীয় পর্যায়ে ভূমিহীন ও গৃহহীন ১১০ পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান করা হয়েছে।
দিনাজপুরে ঘর পেল ২,৫১৫ ভূমিহীন : মুজিববর্ষ উপলক্ষে দিনাজপুর জেলায় দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়েছে ২ হাজার ৫১৫টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। গতকাল দিনাজপুর সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ওই উপজেলার ২১০টি পরিবারের মাঝে ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইমাম চৌধুরী। জেলার ১৩টি উপজেলায় ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ।
চৌদ্দগ্রামে ১২৫ পরিবারের মধ্যে ঘর হস্তান্তর : কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ভূমিহীন-গৃহহীন ১২৫ পরিবারের মাঝে জমি ও ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল উপজেলা মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভূমিহীনদের মাঝে জমি ও ঘর হস্তান্তর করা হয়।
পঞ্চগড়ে ঘর পেল আরও ৭১৫ পরিবার : মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে দ্বিতীয় পর্যায়ে পঞ্চগড় জেলার পাঁচটি উপজেলায় আরও ৭১৫টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার ঘর পেয়েছে। এদিন পঞ্চগড় সদর উপজেলা পরিষদ হলরুমে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উপকারভোগীদের মাঝে ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়। জেলার সদর উপজেলায় ৩০০টি, বোদায় ১৭টি, দেবীগঞ্জে ১৭৮ টি, আটোয়ারীতে ১১০টি এবং তেঁতুলিয়ায় ১১০টি পরিবার ঘর পেয়েছে। এর আগে আশ্রয়ণ প্রকল্প-১ এর আওতায় পঞ্চগড়ে ১০৫৭টি পরিবার ঘর পায়।
নাটোরে ঘর পেল ১ হাজার ৩৮১ পরিবার : নাটোরে দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও এক হাজার ৩৮১টি পরিবাকে ঘর উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। গতকাল দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদ হল রুমে আয়োজতি এক অনুষ্ঠানে তাদের ঘরের চাবি এবং কাগজপত্র তুলে দেন জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ। এর আগে প্রথম পর্যায়ে জেলার সাত উপজেলায় ৫৫৮ পরিবারকে ঘর দেওয়া হয়।
আখাউড়ায় দ্বিতীয় ধাপে ৫০ পরিবার পেল ঘর : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় দ্বিতীয় ধাপে ঘর পেল ৫০ পরিবার। গতকাল আখাউড়া উপজেলা মিলনায়তন কক্ষে এসব জমির দলিলপত্র ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়।
এছাড়া গতকাল কুড়িগ্রামে ১ হাজার ৭০ পরিবার, বরিশালে ৫৯৯ পরিবার, শ্রীমঙ্গলে ১৫৮ পরিবার, গাজীপুরে ২০২ পরিবার, ফেনীতে ৮৪ পরিবার, নবাবগঞ্জে ৮৫ পরিবার প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়েছে।