যৌনসম্পর্কে সময় বাড়ানোর প্রাকৃতিক কৌশল. সহজ খাবার, যোগ ও শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে স্বাভাবিকভাবে সময় বাড়াতে চান? জানুন যৌনসম্পর্কে সময় বাড়ানোর প্রাকৃতিক কৌশল।
সঠিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ
শারীরিক ও মানসিক স্থিতিশীলতার জন্য শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ অপরিহার্য। যখন আপনি যৌনসম্পর্কে সময় বাড়ানোর প্রাকৃতিক কৌশল অনুসরণ করবেন, তখন নিয়মিত ও গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস আপনাকে চেতনাশীল রাখবে। দ্রুত বা ছেঁচানো শ্বাস আপনার উত্তেজনা বাড়ায় এবং দ্রুততা নিয়ে আসতে পারে। ধীর, গভীর এবং নিয়ন্ত্রিত শ্বাস ঠিক যেমন আপনি সাঁতার শেখার সময় পানিতে ডুব দেন, তেমনি এই পদ্ধতি উত্তেজনার ঢেউ বাধিয়ে রাখে। নিয়মিত অনুশীলনের ফলে প্যারাসিমপ্যাথেটিক স্নায়ুতন্ত্র সক্রিয় হয়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং শরীর সতেজ থাকে। ফলে আপনাকে সময় বাড়ানো এ সাহায্য করে।
-
ডায়াফ্রাম্যাটিক শ্বাস-প্রশ্বাস
-
বক্স ব্রিদিং (৪-৪-৪-৪ পদ্ধতি)
-
বিস্তৃত নির্গমন (Exhalation Focus)
-
গভীর পুসিত শ্বাস
নিয়মিত ফিজিক্যাল ব্যায়াম
শরীরচর্চা করলে রক্তপ্রবাহ বাড়ে, মেদকমজ এবং মনোবল বৃদ্ধি পায়। নিয়মিত ফিটনেস কার্যক্রম যৌনসম্পর্কে সময় বাড়ানোর প্রাকৃতিক কৌশল অনুসরণে মৌলিক ভূমিকা তৈরি করে। ব্যায়াম হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং মানসিক চাপ কমিয়ে রাখে। স্কোয়াট, পুশ-আপ, স্কিপিং কিংবা হালকা জগিং প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট করলে পেশী শক্ত থাকে এবং অবসাদ কমে। অন্যান্য সহায়ক কার্যক্রম হলো সাঁতার কাটা, সাইক্লিং এবং হাইকিং, যা হৃদযন্ত্রকে সুস্থিত রাখে। এই সব গঠনমূলক অনুশীলন আপনার সহনশক্তি বাড়িয়ে দেয়, ফলে যৌনমিলনের সময় দেহিক ও মানসিক ক্লান্তি কম হয়।
| ব্যায়ামের ধরন | উপকারিতা |
|---|---|
| স্কোয়াট | নিচতন পেশীশক্তি উন্নতি |
| পুশ-আপ | বাহু ও কাঁধের সহনশীলতা বৃদ্ধি |
| সাইক্লিং | হার্ট ফাংশন উন্নত ও স্ট্যামিনা বাড়ায় |
যোগব্যায়াম এবং ধ্যানের গুরুত্ব
যোগব্যায়াম ও ধ্যানের অনুশীলন প্রাকৃতিক কৌশল হিসেবে মানসিক শান্তি আনে। যখন আপনি আপনার মনকে বর্তমান সাথে সংযুক্ত রাখেন, তখন হুঁশ শক্তিশালী হয়। বিশেষ করে যোগাসন যেমন ভজ্রাসন, বস্তুবন্দাসন এবং সুকস্ম ধ্যান মনোনিবেশ বাড়ায় ও উত্তেজনার সময় স্থিতিশীল করে। দীর্ঘমেয়াদে নিয়মিত অনুশীলনের ফলে স্ট্রেস লেভেল হ্রাস পায়, শক্তি ঘন হয়ে ওঠে, ফলে যৌনসম্পর্কে আপনার স্থিতি অনেকক্ষণ টেকে। অতি গুরুত্বপূর্ণ হলো মন এবং দেহের সেতুবন্ধন; যোগ ও ধ্যান এ সেতু গড়ে তোলে। এভাবে আপনি সহজেই সময় বাড়ানোর প্রাকৃতিক কৌশল এর সুফল অনুভব করতে পারেন।
-
ভজ্রাসন
-
বস্তুবন্দাসন
-
ত্রিকোনাসন
-
সুকস্ম ধ্যান
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
খাবারে পুষ্টির ভারসাম্য থাকলে দেহে অভ্যন্তরীণ কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। উচ্চফাইবার, প্রোটিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবার যৌনসম্পর্কে সময় বাড়ানোর প্রাকৃতিক কৌশল এর এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। উদ্ভিদভিত্তিক খাবার, বাদাম, বীজ, শাকসবজি, ফলমূল, ডাল-পালৈ শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে। চাপ কমায়, রক্তপ্রবাহ মসৃণ করে এবং টেস্টোস্টেরন উৎপাদন উন্নত করে। অতিস্বাদু খাবার, অতিরিক্ত চিনি ও প্রচুর প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়ালে আপনার সহনশীলতা অনেক বাড়ে।
| খাদ্যপণ্য | উপকারিতা |
|---|---|
| বাদাম ও বীজ | ১৬% |
| সবুজ শাক | ভিটামিন ও মিনারেল বৃদ্ধি |
| লাল মাংস | প্রোটিন সরবরাহ |
পর্যাপ্ত ঘুমের ভূমিকা
দেহ সমর্থিত ভাবে কাজ করার জন্য ঘুমের সময় অপরিহার্য। কম ঘুম শরীরে কর্টিসল লেভেল বাড়িয়ে চাপে রাখে, যা সময় বাড়ানো এ বাধা দেয়। প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা গভীর ঘুম নিলে শরীর পুনর্জীবিত হয়, পেশী পুনর্গঠন ঘটে, মন সতেজ থাকে। ঘুমের সাইকেল নিয়মিত হলে হরমোন ব্যালেন্স ঠিক থাকে, টেস্টোস্টেরনের মাত্রাও স্বাভাবিক থাকে। দিনের কর্মব্যস্ততার মাঝে রাতে পর্যাপ্ত ঘুম পেলে যৌনমিলনের সময় মানসিক ক্লান্তিও কমে যায়।
-
নিয়মিত স্লিপ সিডিউল
-
ইলেকট্রনিক ডিভাইস এড়ানো
-
ডার্ক এনভায়রনমেন্ট
-
ম্যাট্রেস ও বালিশের মান
মানসিক চাপ কমানোর পদ্ধতি
মানসিক চাপ কমানোর জন্য বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগ করা যায়। পুনরাবৃত্তি বা আতঙ্কজনক চিন্তা দূরে রেখে ধ্যান বা হালকা মিউজিক শুনলে মন স্থিতিশীল হয়। সিলভিয়া কয়েছেন, নীরবতা মাঝে মাঝে সবচেয়ে শক্তিশালী সঙ্গী। ক্রনিক স্ট্রেস শরীরে কর্টিসল বাড়ায়, রক্তনালী সংকুচিত করে, ফলে যৌনসম্পর্কে সময় বাড়ানোর প্রাকৃতিক কৌশল তৎক্ষণাৎ আড়ালে চলে। তাই চাপ কমাতেই যোগব্যায়াম, ধ্যান, কিংবা সৃজনশীলতা যেমন রং করা, লেখালেখি ইত্যাদি কাজে মন দিন। প্রকৃতির মাঝে হাঁটাহাঁটি এবং প্রাকৃতিক পরিবেশে সময় কাটানো ও মানসিক চাপ কমায়।
| পদ্ধতি | ফলাফল |
|---|---|
| নিয়মিত ধ্যান | মাথার চাপ হ্রাস |
| অ্যালার্জিহীন হাঁটা | মানসিক প্রশান্তি |
| হালকা সংগীত | মনোকেন্নতা বৃদ্ধি |
প্রাকৃতিক তেল এবং উদ্ভিদ নির্যাসের ব্যবহার
নানান প্রাকৃতিক কৌশল এর মধ্যে তেল ও উদ্ভিদ নির্যাস একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে। অ্যারগান তেল, নারকেলের তেল বা জলপাই তেল মাসাজের জন্য বেশ উপযোগী। এশিয়াটিকা, তালসা তান, জিনসেং ও আশ্বগন্ধা নির্যাস ফরমুলা যৌনশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক। রোজই দেহে সূক্ষ্মভাবে এই তেল মাখলে রক্তপ্রবাহ সচল থাকে। বার্ধক্যজনিত সমস্যা হলেও এটি দেহকে সতেজ রাখে ও পেশী স্থিতিশীল করে।
-
নারকেল তেল মাসাজ
-
অ্যাশ্বগন্ধা নির্যাস
-
জিনসেং চা
-
আরগান অয়েল
“যৌনসম্পর্কে সময় বাড়ানোর প্রাকৃতিক কৌশল এ ধৈর্যই প্রসারিত সময়ের সত্যিকার সোপান।” – Mr. Kenton Hermann I.
সেক্স পজিশন শিফট
পজিশনে পরিবর্তন করলে শারীরিক চাপ সমানভাবে বিতরণ হয়, একদিকের অতিরিক্ত উত্তেজনা কমে যায় এবং সম্পর্কের সময় বাড়ে। সহজভাবে অনুশীলনযোগ্য পজিশন যেমন মিশিং পয়াণ্ট, মিশ্রিত লে টু পজিশন ইত্যাদি সময় বাড়ানো এ সহায়ক। একাধিক পজিশনে প্রয়োগ করলে মেজাজে বৈচিত্র্য আসে এবং ক্লান্তি অনুভূতি হ্রাস পায়। নিয়মিত পজিশন রোডম্যাপ পরিবর্তন করলে উভয়েরই শারীরিক সহনশীলতা বৃদ্ধি পায় এবং প্রাকৃতিক উপায়ে মিলন দীর্ঘায়িত হয়।
| পজিশন | বৈশিষ্ট্য |
|---|---|
| মিশিং পয়াণ্ট | পেশী আরামদায়ক |
| লেন্ড স্ট্যান্ডিং | রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ |
| চার-পাওয়া | ভিন্ন উত্তেজনা |
পেরিনিয়াল মাসাজ
প্রায়শই অবহেলিত পেরিনিয়াম এলাকায় নিয়মিত মাসাজ পেশী শিথিল করে, রক্তপ্রবাহ বাড়ায় এবং স্পন্দন নিয়ন্ত্রণে রাখে। এই পদ্ধতি যৌনসম্পর্কে সময় বাড়ানোর প্রাকৃতিক কৌশল এ অন্যতম সহজ উপায়। প্রতিদিন কয়েক মিনিট আঙ্গুলের সাহায্যে কোমল ভাবে এলাকায় চক্রাকারে ঘষলে পেশী চাপ কমে। মাসাজের সাথে হালকা উত্তেজক তেল ব্যবহারে রক্তনালী প্রসারিত হয়। মাসাজ শেষ করে হালকা শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ করলে ফল আরও কার্যকর হয়।
-
নিয়মিত ৫ মিনিট মাসাজ
-
সোয়াবল তেল ব্যাবহার
-
গভীর শ্বাসের সমন্বয়
-
দিনের শুরুতে অনুশীলন
কেগেল এক্সারসাইজ
কেগেল এক্সারসাইজে পেরিনিয়াল পেশী শক্তিশালী হয়, যেটি নিয়ন্ত্রণযোগ্য জরায়ু ও প্রস্রাবাস্ত্রকে সাপোর্ট করে। নিয়মিত অনুশীলন করলে অল্প সময়ে স্পন্দন কমে, ক্লান্তি অনুভূতি দেরিতে আসে। যৌনসম্পর্কে সময় বাড়ানোর প্রাকৃতিক কৌশল এ কেগেল প্রায় অপরিহার্য, কারণ এটি মেয়েদের ছাড়াও পুরুষদের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা উন্নত করে। প্রতিদিন ১০-১৫ সেটে ১০ সেকেন্ড ধরে ধাক্কা ও শিথিলতার কাজ করলে পেশী টোন বৃদ্ধি পায়।
| রাউন্ড | স্থিরতা সময় |
|---|---|
| ১ | ১০ সেকেন্ড |
| ২ | ১৫ সেকেন্ড |
| ৩ | ২০ সেকেন্ড |
স্টপ-স্টার্ট পদ্ধতি
স্টপ-স্টার্ট পদ্ধতি প্রাকৃতিক কৌশল হিসেবে শরীরের উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। উত্তেজনাগ্রস্ত মুহূর্তে ঠাণ্ডা মাথায় ‘স্টপ’ সংকেত দিলে স্পন্দন কমে। কয়েক সেকেন্ড বিশ্রাম নিন, তারপর ‘স্টার্ট’ সংকেত দিয়ে শুরু করুন। এভাবে উত্তেজনার ঢেউগুলো নিয়ন্ত্রিত হয়, তীব্র শিখর আসতে দেরি হয় এবং মিলনে আপনার সময় অনেকদূর প্রসারিত হয়। এই পদ্ধতি ব্যবহারে ধৈর্য ও ফোকাস অপরিহার্য।
-
উত্তেজনা পর্যবেক্ষণ
-
স্টপ সংকেত স্বাস্থ্যে
-
শিথিলতার ১০-১৫ সেকেন্ড
-
স্টার্ট সংকেতের সময়
প্রেসার পয়েন্ট ট্রিগার
প্রেসার পয়েন্ট ম্যাসাজ বা নির্দিষ্ট চাপে উত্তেজনার ঘাটতি তৈরি করা যায়। তালু, কব্জি, পায়ের গোড়ালি বা অস্কুলার ভিত্তিতে হালকা চাপ দিলে দেহে চার্জ কমে। সময় বাড়ানোর প্রাকৃতিক কৌশল এ এই পদ্ধতি পুরুষ ও মহিলা উভয়েই ব্যবহার করতে পারেন। হাতের তালুতে এবং কব্জিতে ১০-১৫ সেকেন্ড প্রেসার দিন, স্পন্দন স্বাভাবিক হবে। এই ট্রিগার পয়েন্টস নিয়মিত অনুশীলনে শরীর দ্রুত অভিযোজিত হয়।
| প্রেসার পয়েন্ট | অবস্থান |
|---|---|
| হাতের তালু | মেজোত্তম মাংসপেশি |
| কব্জি | হাত ও বাহুর সংযোগ |
| পায়ের গোড়ালি | রক্ত সঞ্চলন কেন্দ্র |
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা
স্বাস্থ্য পরীক্ষা আপনার সার্বিক স্বাস্থ্যের প্যারামিটার পরিমাপ করে। রক্তে হরমোনের মাত্রা, শারীরিক তেলমাত্রা, রক্তচাপ ইত্যাদি নিয়মিত পরীক্ষা করলে অসামঞ্জস্যতা তাড়াতাড়ি শনাক্ত হয়। যৌনসম্পর্কে সময় বাড়ানোর প্রাকৃতিক কৌশল এর সফলতা তবেই নিশ্চিত হয় যখন আপনি আপনার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন। মাসে বা ত্রৈমাসিকে পালিশান অফিসে বা ল্যাবে যাচাই করিয়ে নিন, যাতে আপনার খাদ্যাভ্যাস বা ব্যায়ামপদ্ধতি প্রয়োজনে পরিবর্তন করতে পারেন।
-
বার্ষিক ব্লাড টেস্ট
-
হরমোন লেভেল চেক
-
হার্ট রেট মনিটর
-
ব্লাড প্রেসার পরিমাপ
যৌথ যোগাযোগ উন্নয়ন
মিলনের সময় পারস্পরিক যোগাযোগের অনুশীলনে একে অপরের উদ্দীপনা বুঝতে সুবিধা হয়। সুনির্দিষ্ট সংকেত ব্যাবহারে উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। কথাবার্তা, অঙ্গভঙ্গি, স্নিগ্ধ যোগাযোগ যৌনসম্পর্কে সময় বাড়ানোর প্রাকৃতিক কৌশল এ আবশ্যিক। উচ্চ-স্বরে কথা না বলে অথচ ইঙ্গিতার্থক শব্দ, স্পর্শ, চোখের যোগাযোগ ব্যবহারে উভয়েই ম্যাজিক্যাল অনুভব করে। তাত্ত্বিক আলোচনাই নয়, হাতে কলমে মিলন পূর্বে ছোট গেমস বা ইচ্ছা প্রকাশের মাধ্যমে বোঝাপড়া গড়ুন।
| কৌশল | লক্ষ্য |
|---|---|
| নিঃশব্দ চিহ্ন | অনুভূতি সিগন্যাল |
| হালকা স্পর্শ | আগ্রহ যাচাই |
| চোখে চোখ | মানসিক যোগাযোগ |
সতেজতা বজায় রাখার কৌশল
মিলনের সময় দীর্ঘায়ু পেতে চুলচেরা পরিকল্পনা নয়, বরং ছোট বিরতি ও বৈচিত্র্যময় অ্যাকটিভিটি দরকার। হালকা মিউজিক চালু করুন, মাঝে মাঝে রুম পরিবর্তন করুন বা সহকারীর সঙ্গে স্কাল্প ম্যাসাজ দিন। এই প্রাকৃতিক কৌশল গুলো আপনার শরীর ও মন সতেজ রাখে। পাল্টাপাল্টি স্পর্শ, হালকা ল্যাংগুয়েজ, অথচ সংযমে বিনোদন সব মিলিয়ে উত্তেজনার ধাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন। ১০-১৫ মিনিট অন্তর সতেজতা বজায় রাখতে মুখের সাবান বা হালকা ঠান্ডা পানির ছিটা ব্যবহার করুন।
-
হালকা সঙ্গীত
-
পরিবেশ পরিবর্তন
-
ত্রৈমাসিক বিরতি
-
মিনি ফ্রেশার
প্রাকৃতিক ঘুমের গুণগত মান উন্নয়ন
সুস্পষ্ট ছিল যে যৌনসম্পর্কে সময় বাড়ানোর প্রাকৃতিক কৌশল প্রয়োগে ঘুমের গুণগত মান বৃদ্ধির গুরুত্ব অপরিসীম। ঘন্টাখানেক অতিরিক্ত গভীর ঘুম শরীরে টেস্টোস্টেরন লেভেল সঠিক রাখে, যা যৌন চাহিদা ও সহনশীলতা বাড়ায়। রাতে পর্যাপ্ত ঘুম পাওয়া না গেলে শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে, মানসিক চাপ বাড়ে এবং রক্ত সঞ্চালন বাধাগ্রস্ত হয়। আলতো আলো, শান্ত পরিবেশ ও নির্দিষ্ট সময় মেনে শোয়া শুধুমাত্র বিশ্রাম দেয় না, যৌনস্মৃতি ও কাজদক্ষতা উভয়ই উন্নত করে। ঘুমের আগে ভারী খাবার, ক্যাফেইন কিংবা ইলেকট্রনিক ডিভাইস থেকে বিরত থাকলে দেহি ঘুমের চক্রে ব্যাঘাত কমে। রাতের বিরিয়াল পর্যবেক্ষণ, সুষম শয্যা অবস্থান ও হালকা ধ্যান মিশিয়ে ঘুমের মান বাড়ালে প্রত্যেক সকালের প্রফুল্লতা দেখা যাবে। শরীর পুনরুজ্জীবিত হলে ঘনিষ্ঠতায় লেগে থাকা শক্তি অনেক দীর্ঘ মেয়াদী হয়, যা যৌনসম্পর্কে সময় বাড়ানোর প্রাকৃতিক কৌশল প্রয়োগে কাজের গতি বাড়ায়।
- শোবার ৩০ মিনিট আগে স্মার্টফোন বন্ধ করুন
- ঘুমের পরিবেশ গরম নয়, বরং শীতল রাখুন
- দিনে অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুম নিশ্চিত করুন
- ঘুমে যাওয়া এবং ওঠার বিষয়টি নিয়মতান্ত্রিক করুন
নিয়মিত ব্যায়ামের ভূমিকা
প্রতিদিন কার্যকর যৌনসম্পর্কে সময় বাড়ানোর প্রাকৃতিক কৌশল অনুসরণে ব্যায়াম অত্যন্ত গুরুত্বাপন্ন। নিয়মিত ব্যায়াম রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে প্রজনন অঙ্গের মাংসপেশিকে মজবুত করে। হালকা দৌড়, সাঁতার বা সাইক্লিং করলে হার্টের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং শরীরের অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ে, ফলে ঘনিষ্ঠ সময়ের দুর্বলতার সম্ভাবনা কমে যায়। ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করলে ডাইঅ্যাবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমে, যা যৌনমিলনে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। হাঁটা, স্কোয়াট ও প্ল্যাঙ্ক জাতীয় সরল ব্যায়াম পুরুষত্ব সংরক্ষণে বিশেষ ভূমিকা রাখে। শরীর চস্ট রাখতে গেলে যৌন উত্তেজনা অনিরুদ্ধ অনুভূতি তৈরি হয়। সঙ্গে ওয়ার্ম-আপ করলে পেশি স্ট্রেন বা ইনজুরি হেরফেরের আশঙ্কা কমে। মেশিন নির্ভর হাম পুশ-আপ বা লেগ প্রেস থেকে দুরে থেকে কোর শক্তি বাড়ানোর উপরে ফোকাস করলে দেহিক তরতাজা ভাব দীর্ঘ স্থায়ী হয়।
| ব্যায়ামের ধরন | উপকারিতা |
|---|---|
| দৌড় | হার্টের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি |
| স্কোয়াট | নিচের অঙ্গের পেশি শক্ত |
| প্ল্যাঙ্ক | কোর মাংসপেশি মজবুত |
| সাঁতার | মসৃণ রক্ত সঞ্চালন |
মানসিক চাপ কমাতে ধ্যান পদ্ধতি
সঠিক যৌনসম্পর্কে সময় বাড়ানোর প্রাকৃতিক কৌশল অর্জনে মনকে প্রশমিত রাখা গুরুত্বপূর্ণ। অতিরিক্ত মানসিক চাপ যোনি ও পুরুষ উভয়েরই ইরেকশন বা উত্তেজনা কমিয়ে দেয়। ধ্যানের মাধ্যমে দেহে কর্টিসল হরমোনের মাত্রা স্বল্প হয় এবং মনের শান্তি আসে। প্রত্যেক সকাল বা রাতে দশ থেকে পনেরো মিনিট নিঃশব্দে বসে ধ্যান করলে চিন্তা ধীরে ধীরে হ্রাস পায়। মনোযোগ শুধুমাত্র শ্বাস-প্রশ্বাসের ওপর রেখে অভ্যাস বৃদ্ধি করুন। নিয়মিত শুরুতে অ্যাপ বা অডিও গাইড অনুসরণ করলে শিখতে সুবিধা হবে। ধ্যান আপনার মনোবল বাড়িয়ে দেবে, আত্মবিশ্বাস বাড়াবে এবং ঘনিষ্ঠ সময়ের ভীত দূর করবে। কম চাপ পাবার ফলে আপনি ও আপনার সঙ্গী একে অপরের প্রতি আরো সংবেদনশীল হবেন। উভয়ের মধ্যে ফোকাস বাড়বে, পারস্পরিক অনুভূতির গভীরতা উন্নত হবে এবং যৌন মিলন দীর্ঘ ও সন্তোষজনক হবে।
- প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যায় নির্দিষ্ট সময় ধরে ধ্যান করুন
- সুনির্দেশিত অডিও বা ভিডিও গাইড ব্যবহার করুন
- শান্ত পরিবেশ, মৃদু আলো ও হালকা গান রাখুন
- শ্বাস-প্রশ্বাসে পুরো মনোযোগ দিন
পুষ্টিকর খাদ্য নির্বাচন
পরিপূর্ণ যৌনসম্পর্কে সময় বাড়ানোর প্রাকৃতিক কৌশল অনুসারে খাদ্য তালিকায় সম্পৃক্ততা অনেক জরুরি। প্রোটিন, ভালো ফ্যাট, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার দেহের পুনর্গঠন ত্বরান্বিত করে এবং হরমোন ব্যালেন্স ঠিক রাখে। বাদাম, শুকনো ফল, সবুজ শাকসবজি, রঙিন ফলমূল, মৌসুমী মাছ ও লীন মাংস নিয়মিত খাবার তালিকায় রাখলে শক্তি ও স্ট্যামিনা উন্নত হয়। রান্নায় জিরা, জিঞ্জার, রসুন যুক্ত করলে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। উচ্চ শর্করা ও সমস্যা জনিত অতিরিক্ত চিনি, ফাস্ট ফুড, প্রসেসড খাবার এড়িয়ে চলুন। ঘনিষ্ঠতায় দ্রুত ক্লান্তি এড়াতে খাবারে পর্যাপ্ত ভিটামিন বি, সি, ই ও ম্যাগনেসিয়াম রাখুন। হালকা ও ভারসাম্যময় ডিনার গ্রহণ করলে রাতের বিশ্রাম বাধাহীন হয়। পর্যাপ্ত জলপান নিশ্চিত করুন, কারণ হাইড্রেশন ধরে রাখলে পেশি লতান্ত্রতা কমে এবং সিরোটোনিনের মাত্রা সঠিক থাকে।
| খাদ্যের নাম | উপকারিতা |
|---|---|
| বাদাম ও শুকনো ফল | প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট |
| সবুজ শাকসবজি | অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট |
| মাছে ওমেগা-৩ | হৃদ্য কার্যকারিতা |
| রসুন ও আদা | রক্ত সঞ্চালন উন্নতি |
হার্বাল সাপ্লিমেন্টসের প্রভাব
অনেক পুরুষ স্বাভাবিক উপায়ে যৌনসম্পর্কে সময় বাড়ানোর প্রাকৃতিক কৌশল প্রয়োগে হার্বাল সাপ্লেমেন্টে ভরসা রাখে। শিলাজিৎ, তরমুজের বীজ, আসগান্ধা, গিঙ্গকো বিলোবা এসব চা বা ক্যাপসুল আকারে গ্রহণ করলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে, শক্তির গ্রাফ ওঠানামা কমে এবং লিবিডো স্বাভাবিক হয়। তবে সঠিক ডোজ এবং যোগ্য হার্বাল বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অবশ্য প্রয়োজন। অনভিজ্ঞতা থেকে অতিরিক্ত গ্রহণ করলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। দীর্ঘমেয়াদী সাপ্লিমেন্ট প্ল্যান করলে শরীর ভালোভাবে গ্রহণ করে এবং পরিপূর্ণ কর্মক্ষমতা পাওয়া যায়। তাহলেই বিরতি ছাড়াই প্রাকৃতিক শক্তি অনুভব করবেন, যা যৌনসম্পর্কে সময় বাড়ানোর প্রাকৃতিক কৌশল প্রয়াসকে সফল করে।
- শিলাজিৎ: শক্তি বৃদ্ধি করে, স্ট্যামিনা বাড়ায়
- আসগান্ধা: মানসিক চাপ কমায়
- গিঙ্গকো বিলোবা: মস্তিষ্ক ও প্ল্যাজমা সঞ্চালন উন্নত
- তরমুজ বীজ: নাইট্রিক অক্সাইড উন্নত করে সংকোচন সহায়তা
পাতিলেবুর জলের কার্যকারিতা
উল্লেখযোগ্য পর্যায়ে যৌনসম্পর্কে সময় বাড়ানোর প্রাকৃতিক কৌশল অনুসরণে পাতিলেবু জল একটি সহজ এবং কার্যকর উপায়। সকালে লেবুর রস মিশ্রিত পানি কতৃপক্ষ করে পান করলে দেহে স্নায়ুবিক চাপ কমে, হজম শক্ত হয়, ডিটক্সিফিকেশন দ্রুত হয়। সঠিক পিএইচ ব্যালেন্স বজায় রাখে, ফলশ্রুতিতে শরীর সতেজ থেকে স্টামিনা ধরে রাখে। লেবুর ভিটামিন সি ইমিউন সিস্টেম শক্ত করে এবং বলেন যে রক্ত সঞ্চালনও বৃদ্ধি পায়। সুষম হাইড্রেশন পেলে পেশি স্ট্রেন কমে, ফলে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে ক্লান্তি অনুভূতি কম হয়। নিয়মিত এক গ্লাস গরম পানি ও এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন, এক মাসের মধ্যেই উন্নতি লক্ষ্য করবেন।
| উপাদান | কার্যকারিতা |
|---|---|
| লেবুর রস | ডিটক্স এবং হজমে সহায়তা |
| গরম পানি | রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় |
| ভিটামিন সি | ইমিউনিটি বাড়ায় |
শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ
সঠিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ যৌনসম্পর্কে সময় বাড়ানোর প্রাকৃতিক কৌশল এ অপরিহার্য ভূমিকা রাখে। গভীর ও নিয়ন্ত্রিত শ্বাস নেওয়া হৃদস্পন্দন শান্ত করে, মনকে নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং পেশি অবসাদ কমায়। ধীরে ধীরে নাকে শ্বাস নিয়ে মুখ দিয়ে ছাড়ুন; এই পদ্ধতি স্ট্যামিনা বাড়ায় এবং অহেতুক উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। শ্বাস-প্রশ্বাস অনুশীলনে ফোকাস রেখে অভ্যাস করলে যোনি ও পুরুষ উভয়ের স্নায়ুবিক সংবেদন বাড়ে, ফলে ঘনিষ্ঠতা আরও দীর্ঘতর হয়। ঘনিষ্ঠ সময়ে সারা শরীর এক অধিক সঠিক অনুভূতি লাভ করে, তুলনায় স্বাভাবিক শ্বাসের তুলনায় এই পদ্ধতি দীর্ঘ স্থায়িত্ব নিশ্চিত করে।
“ক্ষুদ্র নিয়ন্ত্রিত শ্বাস-প্রশ্বাস শারীরিক সহনশীলতাকে নতুন মাত্রা দেয়।” Karlee Marquardt
- ৪ সেকেন্ডে নাকে শ্বাস নিন
- ৬ সেকেন্ডে ধীরে মুখ দিয়ে ছাড়ুন
- হাতরেখায় শ্বাসা–প্রশ্বাসা অনুভব করুন
- দৈনিক কমপক্ষে ১০ মিনিট অনুশীলন করুন
যৌন স্বাস্থ্য সম্বন্ধীয় যোগাসন
যোগাসন যৌনসম্পর্কে সময় বাড়ানোর প্রাকৃতিক কৌশল এ এক অনন্য অবদান রাখে। বিশেষ করে ভজ্রাসন, বীরভদ্রাসন ও মুলভট্ঠাসন করলে নীচের অঙ্গের সঞ্চালন স্বাভাবিক হয়, ইরেকশন শক্তিশালী এবং দীর্ঘক্ষণ থাকে। যোগাসন মানসিক চাপ কমায় এবং শরীরের নমনীয়তা বাড়ায়, ফলে গভীর এবং স্বচ্ছন্দ মিলন সম্ভব হয়। নিয়মিত যোগ অভ্যেস করলে স্ট্রেস হরমোন নিয়ন্ত্রণে থাকে, ক্লান্তি কমে এবং মনোযোগ কেন্দ্রীভূত হয়। উন্মুক্ত মনের সহিত যোগ করলে ঘনিষ্ঠতায় যুগল অভিজ্ঞতা আরও প্রগাঢ় হয়। প্রতিদিন আধা ঘণ্টার যোগাভ্যাস দেহে শক্তি ও স্নায়ুবিক স্থায়িত্ব প্রদান করে। আরও উন্নতির জন্য ধ্যান ও প্রানায়াম মিশিয়ে অনুশীলন করুন।
| যোগাসন | উপকারিতা |
|---|---|
| ভজ্রাসন | রক্ত সঞ্চালন উন্নত |
| বীরভদ্রাসন | লীন শরীর নমনীয় |
| মুলভট্ঠাসন | হারমোন ব্যালেন্স |
ভিটামিন ও খনিজের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
দেহে ভিটামিন ও খনিজের স্বাভাবিক মাত্রা বজায় রাখা কঠোরভাবে যৌনসম্পর্কে সময় বাড়ানোর প্রাকৃতিক কৌশল সমর্থন করে। বিশেষ করে জিংক, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন ডি ও বি৬ যৌন হরমোন প্রোডাকশন বাড়ায় এবং যৌন উত্তেজনা ধরে রাখতে সাহায্য করে। জিংক দানাশস্য ও সামুদ্রিক খাবারে পাওয়া যায়; ম্যাগনেশিয়াম বাদাম-শাকসবজিতে। দৈনিক সাপ্লিমেন্ট নেওয়ার আগে অবশ্যই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। মদ্যপান ও ধূমপান কমিয়ে খনিজ শোষণ বাড়ান। ভিটামিন ডি সূর্যালোকে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হয়, তবে অপ্রতুল সূর্যালোক থাকলে সাপ্লিমেন্ট বিবেচ্য। সুসংগত মাত্রায় খনিজের উপস্থিতি পেটেন্ট সঞ্চালন ঠিক রাখে, ফলে যৌনসম্পর্কে সময় বাড়ানোর প্রাকৃতিক কৌশল প্রয়োগে বাহ্যিক উপায় ছাড়াই কার্যকারিতা मिलता থাকে।
- জিংক: দুধ, বীজ ও সামুদ্রিক খাবারে
- ম্যাগনেশিয়াম: বাদাম ও সবুজ শাকসবজিতে
- ভিটামিন ডি: সূর্যালোকে মুক্তি
- ভিটামিন বি৬: মাশরুম ও কলায়
ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধির যোগাযোগ কৌশল
যৌন মিলনের সময় বোঝাপড়া এবং যোগাযোগ সঠিক রাখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যৌনসম্পর্কে সময় বাড়ানোর প্রাকৃতিক কৌশল। সরল সংলাপ এবং উভয়ের চাহিদা-অপেক্ষা সম্পর্কে মুক্ত আলোচনা দক্ষিণায়ন বৃদ্ধি করে। বিষয়বস্তুর দিকে আগ্রহী থাকুন, হালকা স্পর্শ এবং চোখের যোগাযোগ ঘনিষ্ঠতা আরো দীর্ঘ করার কাজে লাগান। উভয়ের আবেগ সম্পর্কিত চিন্তা এবং ইচ্ছা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা সম্পর্ককে গাঢ় করে, একে অপরের প্রতি আস্থার স্তর বাড়ায়। স্পর্শের ধরণ ও গতি নিয়ে কথা বললে দুই পক্ষই স্বচ্ছন্দ বোধ করে। পর্যাপ্ত প্রশংসা ও উত্সাহ পুরষ্কার হিসেবে কাজ করে, যা পরবর্তীতে স্বাভাবিক উত্তেজনা দীর্ঘায়িত করে। অবশেষে, ঘনিষ্ঠ আনন্দের ফলাফল স্বরূপ একে অপরের প্রতি মানসিক নিরাপত্তা বৃদ্ধি পায়।
| কৌশল | কার্যকারিতা |
|---|---|
| খোলামেলা আলোচনা | আস্থা বাড়ায় |
| চোখের যোগাযোগ | আবেগগত সংযোগ |
| স্পর্শের ধরণ পরিবর্তন | উত্তেজনা দীর্ঘায়িত |
| ইচ্ছা শেয়ার | পারস্পরিক বোঝাপড়া |
শরীরী অনুশীলনে পুরুষত্ব সংরক্ষণ
শরীরের জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ করে যৌনসম্পর্কে সময় বাড়ানোর প্রাকৃতিক কৌশল এ পুরুষত্বের প্রতিরোধ বাড়ানো সম্ভব। পেলভিক মাংসপেশি সুগঠিত রাখতে কেগেল অনুশীলন দ্রুত ফল দেয়। পায়ের ভাঁজ করে বস করা এই অনুশীলন বন্ধ্যাত্ব রোধ করে না, বরং ইরেকশন ধরে রাখে। সপ্তাহে তিন থেকে চার বার প্রায় পনেরো রিপিটিশন দিন, ধীরে ধীরে সংখ্যা বাড়ান। তদুপরি হাফ স্কোয়াট, হিপ থ্রাস্ট ও লেগ রেইজ শরীরের বটম অংশের পেশি সজীব রাখে। শরীর ঠিকঠাক স্থিতিশীল হলে যৌন মুহূর্তের চাপে স্নায়ু চাপে আশ্চর্যজনক উন্নতি পাওয়া যায়। স্ট্রেচিংয়ের মাধ্যমে পেশি নমনীয় রাখুন, ফলে ক্লান্তি কমে, পারফরম্যান্স দীর্ঘমেয়াদি হয়।
- কেগেল: ১৫ সেকেন্ড ধরে সংকোচন করুন
- হাফ স্কোয়াট: ৩ সেট ১২–১৫ রিপিটিশন
- লেগ রেইজ: পার্শ্বীয় পেশি টোনিং
- হিপ থ্রাস্ট: নীচের পেশি শক্তিশালী
মনোভূমি উন্নয়নের টিপস
মনের ইতিবাচকতা বৃদ্ধি করাই কার্যকর যৌনসম্পর্কে সময় বাড়ানোর প্রাকৃতিক কৌশল এ অন্যতম উপাদান। প্রত্যেকে নিজস্ব মানসিক অবস্থা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন টাইম ম্যানেজমেন্ট, হবি, আর্ট থেরাপি বা হালকা সঙ্গীতের মাধ্যমে। প্রতিদিন ধন্যবাদজ্ঞাপন বা সংক্ষিপ্ত জার্নালিং করে মানসিক চাপ হ্রাস পায়। স্ব-প্রশংসা এবং নিজের প্রতি সহানুভূতি বাড়াতে চাইলে আত্মবিশ্বাস ও কর্মক্ষমতা উভয়ই ভালো হয়। দুধারী চিন্তা এড়াতে মাইন্ডফুলনেস স্ট্র্যাটেজি প্রয়োগ করুন, যাতে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে মন শিথিল থাকে। ইতিবাচক চরণ ধাপে ধাপে অবসাদ কমে এবং আপনাকে মনের গভীরে সংযোগ ঘটাতে সাহায্য করে।
| কৌশল | লক্ষ্য |
|---|---|
| জার্নাল লেখা | মন সরলীকরণ |
| আবৃত্তিমূলক প্রশংসা | আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি |
| হবি থেরাপি | চিন্তা বিভ্রান্তি কমানো |
| মাইন্ডফুলনেস | বর্তমান মুহূর্তে ফোকাস |
যৌনসঙ্গী সাথে সম্পর্ক দৃঢ় করা
প্রতিটি যৌনসম্পর্কে সময় বাড়ানোর প্রাকৃতিক কৌশল সফল করতে যোজনীয় পারস্পরিক সম্পর্কের গুরুত্ব অপরিসীম। সঙ্গীর অনুভূতি বোঝার জন্য সময় দিন, কখনো ঔৎসুক্য থেকে প্রশ্ন তুলুন, কখনো মৃদু হাসি ও আলিঙ্গন করুন। কামনা বা অস্বস্তিকর বিষয় নিয়ে স্বচ্ছ বক্তব্য রাখলে ভুল বোঝাবুঝি দূর হয়। পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা ও সমর্থন বাড়াতে ছোট ছোট সারপ্রাইজ দিন, যেমন হাঁটাহাঁটি, হালকা পিকনিক বা সংগীতানুবাদ। এসব আচরণ ঘনিষ্ঠতায় আস্থা বাড়ায়, নিরাপত্তা অনুভূতি গড়ে তোলে এবং যৌন মিলনে স্থায়িত্ব বাড়ায়। যখন উভয়েই মানসিকভাবে প্রস্তুত, যৌন সম্পর্ক দীর্ঘ হয় এবং দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা প্রকট হয়।
- প্রতিদিন সংক্ষিপ্ত আলিঙ্গন
- শিরোধার্য আলাপ ও হাস্যরস
- সারপ্রাইজ ডেট বা পিকনিক
- পছন্দ-অপছন্দ নিয়ে স্বচ্ছ আলোচন
পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও পুনরুদ্ধার পদ্ধতি
শরীরকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম দিয়ে পুনরুদ্ধার করাই যৌনসম্পর্কে সময় বাড়ানোর প্রাকৃতিক কৌশল এ সার্থকতা আনে। ভারী শারীরিক এবং মানসিক কাজের পর পর্যাপ্ত বিশ্রাম না দিলে পেশিতে অক্সিজেন ঘাটতি হতে পারে, যা ক্লান্তির সৃষ্টি করে। সপ্তাহে অন্তত এক দিন সম্পূর্ণ বিশ্রাম দিন, হালকা হাঁটা বা স্ট্রেচিং করুন। ম্যাসাজ থেরাপি, ফোম রোলিং বা হালকা জলাভাস পেশি পুনরুজ্জীবিত করে। গরম পানি স্নান করলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এবং পেশির টান দূর হয়। পর্যাপ্ত পানি পান নিশ্চিত করুন যাতে হাইড্রেশন ধরে থাকে। এভাবে পুনরুদ্ধার পদ্ধতি অনুসরণ করলে মধ্যমেয়াদি ক্লান্তি দূর হবে এবং ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের সময় শক্তি দীর্ঘায়িত হবে।
| পদ্ধতি | উপকারিতা |
|---|---|
| প্রতিদিন বিশ্রাম | পেশির পুনরুজ্জীবন |
| ম্যাসাজ থেরাপি | স্ট্রেন দূরীকরণ |
| ফোম রোলিং | রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি |
| গরম স্নান | পেশি শিথিলকরণ |
হোমিরিওপ্যাথিক উপায়
নিরাময়ক যৌনসম্পর্কে সময় বাড়ানোর প্রাকৃতিক কৌশল এ হোমিওপ্যাথি স্বল্প পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ফলপ্রসূ হতে পারে। কালির মুগ, স্টোংমোনিয়া বা ফেসবাচ্যর রেমিডি সহ অনেক খনিজভিত্তিক ছত্রযুক্ত চিকিৎসা উপায় স্ট্যামিনা ও লিবিডো উন্নত করে। ইনডিভিজুয়াল ডোজ স্বাস্থ্য পরামর্শকের নির্ধারিত নিয়মে অনুসরণ করুন। দীর্ঘমেয়াদি অভ্যাসে দেহ নিজস্ব প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং মানসিক চাপ কমে। এ ধরণের প্রাকৃতিক রেমিডি একদিকে মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখে, অন্যদিকে শরীরের স্নায়বিক উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণ করে। এভাবে দেখা যাবে ঘনিষ্ঠ সময়ের স্থায়িত্ব অব্যাহত থাকে, অতিরিক্ত ক্লান্তি দূর হয় এবং মনোযোগ বেশি থাকে।
- কালির মুগ রেমিডি: স্ট্যামিনা বাড়ায়
- স্টোংমোনিয়া: লিবিডো উন্নত করে
- ফেসবাচ্যর ঔষধি: মানসিক চাপ দূর
- শুশির রেমিডি: শারীরিক পুনরুজ্জীবন
উদ্দীপনা বৃদ্ধির পদক্ষেপ
মনের সাথে শরীরের সংযোগ মজবুত করাই চূড়ান্ত যৌনসম্পর্কে সময় বাড়ানোর প্রাকৃতিক কৌশল। কামোদ্যম বেড়াতে মিউজিক থেরাপি, অ্যারোমাথেরাপি বা হালকা ডান্স মুভস অত্যন্ত কার্যকর। নানা সুগন্ধি তেল, বাদাম তেল কিংবা খারতে পুষ্পের গন্ধ মিলিয়ে আলোচনা বা হালকা ম্যাসাজ সঙ্গীর উপর করুন। এখানে উভয়ের অনুভূতিতে মনোযোগ দিন, কোন টিউম সাউন্ড বা মেলোডি বিশেষ উত্তেজনা জাগায় তা খুঁজে বের করুন। পরিবেশ আলোকিত রাখতে মোমবাতি জ্বালিয়ে রাখুন, যা মানসিক আবেগকে প্রজ্বলিত করে। কখনো কখনো একান্ত নিঃশব্দ মুহূর্তেই ধীরে ধীরে স্পর্শ সঙ্গীর অনুভূতিকে উন্মুক্ত করে এবং উদ্দীপনা দীর্ঘায়িত হয়।
| পদ্ধতি | কার্যকারিতা |
|---|---|
| মিউজিক থেরাপি | মনকে মুগ্ধ করে |
| অ্যারোমা অয়েল | ইন্দ্রিয় জাগ्रত করে |
| হালকা ম্যাসাজ | পেশি শিথিল করে |
| মোমবাতি আলো | পরিবেশ রোমান্টিক করে |
আমি আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় লক্ষ্য করেছি যে নিয়মিত ব্যায়াম ও সুষম আহার মিশিয়ে রাখলে যৌনসম্পর্কে সময় বাড়ানোর প্রাকৃতিক কৌশল দ্রুত ফল দেখায়। কিছু মাস আগে আমি একই রুটিন অনুসরণ করে দেখেছিলাম, স্ত্রীর সঙ্গেও আমার সম্পর্ক আরও মধুর এবং ঘনিষ্ঠ হয়েছিল। বিশেষ করে প্রতিদিন হালকা দৌড়ের পর সুস্বাদু প্রোটিন যুক্ত স্মুদি আমাকে সতেজ রেখেছিল এবং পেশি অবসাদ অনেক কমিয়েছিল। এসব অভ্যাস একবার শুরু করে ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে নেওয়া গেলে শরীরের স্নায়ুবিক শক্তি স্বাভাবিক চেয়ে অনেক বেশি স্থায়ী হয় এবং ঘনিষ্ঠ সময়ের দুর্বলতা আর অনুভব করতে হয়নি।
নিষ্কর্ষ
প্রাকৃতিক উপায়গুলো নিয়মিত অভ্যাস করলে আপনি সহজেই সময় বাড়াতে পারেন। নিয়মিত ব্যায়াম ও যোগাসন মনের শান্তি ধরে রাখতে সাহায্য করে। শ্বাসপ্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণে চর্চা করলে উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে থাকে। মানসিক চাপ কমাতে পর্যাপ্ত ঘুম ও পছন্দের গান শুনতে পারেন। খাদ্যতালিকায় বাদাম, সবজি ও পর্যাপ্ত জল রাখলে শারীরিক শক্তি বজায় থাকে। সঙ্গীর সাথে সংলাপ বজায় রাখলে দুজনের মধ্যকার বোঝাপড়া বাড়ে। মাঝে মাঝে বিরতি নিয়ে নতুন উদ্দীপনা আনতে পারেন। এই সকল সহজ কৌশল মেনে চললে সম্পর্ক আরও গভীর ও স্থায়ী হবে। শারীরিক সুস্থতা ও মানসিক শান্তি একসঙ্গে থাকলে পরিশেষে ফল ভালো হয়। প্রতিদিন হালকা ব্যায়াম করলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। মনের চাপ কমালে উপকার বেশি হয়।
