নতুন বছরের প্রথম অধিবেশনের দ্বিতীয় দিন আজ সোমবার পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে নির্বাচনে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের বিএনপিদলীয় সাংসদ হারুনুর রশীদ।তবে গতকাল রোববার অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বির্তক তুলনামূলক কম হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। বিএনপি থেকে অব্যাহতি পাওয়া তৈমুর আলম খন্দকার ওই নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দিতা করেছিলেন। তাঁকে হারিয়ে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী।স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বেলা ১১টায় অধিবেশন শুরু হয়। অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন।পয়েন্ট অব অর্ডারে হারুনুর রশীদ বলেন, গতকাল নারায়ণগঞ্জের নির্বাচন নিয়ে তুলনামূলক বির্তক কম হয়েছে, তবে সেখানে মাত্র ৫০ শতাংশ ভোট পড়েছে।
নিজ এলাকায় নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি জানিয়ে এই সাংসদ বলেন, গত ৩০ নভেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৫ নভেম্বর ইউপি নির্বাচনগুলো হয়েছে। গত অধিবেশনে স্পিকারের মাধ্যমে আবেদন করেছিলেন অন্ততপক্ষে জনগণ যাতে ভোট দিতে পারেন।প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেছিলেন। কিন্তু নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। তিনি বলেন, ‘আমার নির্বাচনী এলাকায় ভোটের দিন ৫০ জন সাংবাদিকের সামনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছি।সেই দিন কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। ইভিএমে ভোট হয়েছে। সেখানে ব্যাজ লাগানো অনেককেই দেখা গেছে, কেউ বলে ইভিএম মনিটর, কেউ টেকনিশিয়ান। আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে কথা বলেছিলাম, উনিও বলছিলেন, ‘গোপন কক্ষেও লোক!’
হারুনুর রশীদ বলেন, নির্বাচন কমিশনের ব্যাপারে জনগণের আগ্রহ ও উৎসাহ একেবারেই নেই। ইসি গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপে আজ প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ যাবে। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী তিন বছর পূর্তিতে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছিলেন।সেখানে সুস্পষ্ট বলেছিলেন, দুর্নীতিবাজ যে–ই হোক, ছাড় দেওয়া হবে না। দুর্নীতির সংজ্ঞা হচ্ছে, অসদুপায় অবলম্বন করা। আপনি অসদুপায় অবলম্বন করে নির্বাচন করেন, নির্বাচিত হোন। অসদুপায় অবলম্বন করে নিয়োগ পান, ভর্তি হোন কিংবা যেকোনো জায়গায় কর্ম বাস্তবায়ন করেন। এটা আমাদের ইসলামে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’ এ সময় সরকারি দলের সাংসদেরা হইচই করতে থাকেন।হারুনুর রশীদ বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি করব, আমার নির্বাচনী এলাকায় যে পৌর নির্বাচন হয়েছে, তার যে অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে, এর সঙ্গে যাঁরা জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন কি না? এটি আমার দাবি।’ হারুনুর রশীদের বক্তব্য চলাকালে একপর্যায়ে স্পিকার তাঁর মাইক বন্ধ করে দিলে তিনি বিনা মাইকেই কথা বলতে থাকেন।