তবে টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে আজ শুক্রবার কংস নদের পানি বৃদ্ধি পায় নদের কয়েকটি স্থানে বাঁধ ডুবে ও ভেঙে গেছে । আর ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায় কংস নদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং উজানের পানি নিম্নাঞ্চলে নেমে আসায় আজ শুক্রবার থেকে উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের ১১টি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে । তবে এ ছাড়া পানির তোড়ে ধুরাইল ইউনিয়নের বনপাড়া উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান সড়কটি ভেঙে পড়ায় ওই পথে যাতায়াতে দুর্ভোগে পড়ছে মানুষ।
, টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে আজ শুক্রবার কংস নদের পানি বৃদ্ধি পায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে । তবে নদের কয়েকটি স্থানে বাঁধ ডুবে ও ভেঙে গেছে । আর এ অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ করে উপজেলার ধুরাইল ইউনিয়নের গোরকপুর, চরগোরকপুর, পাবিয়াজুরী, কন্যাপাড়া, জৈতক ও ডোবারপাড়ায় । তবে আমতৈল ইউনিয়নের আমতৈল বাহিরশিমুল এলাকা ও ধারা ইউনিয়নের টিকুরিয়া, গাংগিনা, মাঝিয়ালসহ কয়েকটি নিচু এলাকাতেও নতুন করে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে । তবে শুক্রবার সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ায় আরও বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন এসব ইউনিয়নের গ্রামের বাসিন্দারা ।
আর এর আগে ধুরাইল ইউনিয়নের বনপাড়া উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান সড়ক গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে পানির তোড়ে ভেঙে যায়। ফলে ওই পথে পূর্ব পাবিয়াজুরী, কন্যাপাড়া এলাকার মানুষ যাতায়াতে দুর্ভোগে পড়েন । তবে সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় বিকল্প পথে দুই কিলোমিটার ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার দিবাগত রাতে টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে উপজেলার সীমান্তবর্তী বোরাঘাট নদের বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করে আইনচিংড়ি, বোরাঘাট, সোমনিয়াপাড়া, মহাজনিকান্দাসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রাম ও পৌর এলাকা প্লাবিত হয় ।
তবে গতকাল বৃহস্পতিবার নদীর পানি কমতে থাকায় গ্রামগুলো থেকে ঢলের পানি নেমে যায়। তবে পৌরসভার কিছু কিছু এলাকায় শুক্রবারও পানি আটকে থাকতে দেখা গেছে । তবে উপজেলার দর্শা এলাকার বাসিন্দা রহিম উদ্দিন বলেন, এলাকার কৃষকের আমনের বীজতলাসহ বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করেছে । আর গোরকপুর গ্রামের বাসিন্দা মুজিবুর রহমান বলেন, গত রাত থেকে নতুন করে ঢলের ও বৃষ্টির পানিতে ৩টি ইউনিয়নের প্রায় ১১টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে । তবে এতে আমনের বীজতলা ও এলাকার পুকুরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে ।
ধুরাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়ারিছ উদ্দিন রংপুর ডেইলীকে বলেন, নিম্নাঞ্চল হওয়ায় এবং নদের ভাঙনে বৃহস্পতিবার রাত থেকে ১১টি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়ে পড়েছে । তবে ইউএনওকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। নদের ভাঙন রোধে চেষ্টা করা হচ্ছে । পানি নেমে গেলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে । আর এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে ক্ষতির পরিমাণ জানতে চাওয়া হয়েছে । তবে এ ছাড়া উপজেলার জন্য পাঁচ টন খাদ্যসামগ্রী বরাদ্দ হয়েছে । তবে পর্যায়ক্রমে এগুলো চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের দেওয়া হবে ।