৭ই মার্চের ভাষণ, পটভূমি, তাৎপর্য, সম্মান ও গৌরবের

৭ই মার্চের ভাষণ, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ, ৭ মার্চের ভাষণের পটভূমি, ৭ মার্চের ভাষণের তাৎপর্য, ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ ভাষণ ৭ই মার্চের ভাষণ, ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ লিখিত, ৭ই মার্চের ভাষণ ১৮ মিনিট, ৭ই মার্চের ভাষণ এর তাৎপর্য, ৭ই মার্চের ভাষণ লিখিত রচনা, 1971, bangladesh, sheikh mujibur rahman, ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের অনুষ্ঠানে যেভাবে বক্তব্য দেবেন,৭ই মার্চের ভাষণ,৭ই মার্চ ১৯৭১,বঙ্গবন্ধুর ভাষণ,স্বাধীনতা,বাংলাদেশের স্বাধীনতা,আনিসুল ইসলামের আবৃত্তি,anisul islamer abritti, ৭ই মার্চের ভাষণ,বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ,শেখ মুজিবুর রহমান ৭ই মার্চের ভাষণ,৭ই মার্চের ভাষণের তাৎপর্য,অনুচ্ছেদ 7 ই মার্চের ভাষণ,বঙ্গবন্ধুর 7 ই মার্চের ভাষণ,৭ মার্চের ভাষণ,বাংলা অনুচ্ছেদ 7 ই মার্চের ভাষণ,সাতই মার্চের ভাষণ,বঙ্গবন্ধুর ভাষণ,7ই মার্চের ভাষণ,7 মার্চের গান,৭ মার্চ ভাষণ,7 ই মার্চের,৭ ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ,২৬ মার্চের বক্তব্য,৭ ই মার্চ,৭ই মার্চ,ই মার্চে,7 মার্চ,ভাষন ৭ ই মার্চ,৭ মার্চের ভাষণের গুরুত্ব,মার্চ,৭ মার্চের ভাষণের স্বীকৃতি,

৭ই মার্চের ভাষণ হল বাঙালী জাতির মুক্তির ভাষণ। ৭ই মার্চের ভাষণ ইতিহাসের বিখ্যাত ভাষণ। ৭ই মার্চের ভাষণ শুনেই এই দেশের লাখো লাখো যুবক যুদ্ধে নেমেছিল এবং দেশকে স্বাধীন করেছিল। ৭ই মার্চের ভাষণ আজীবন অমর হয়ে থাকবে আমাদের কাছে। ৭ই মার্চের ভাষণ আমাদের যুব সমাজকে ভাল কাজে উদ্বুদ্ধ করুক। জয় বাংলা

 

বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ
বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাগ্মী ভাষণ ছিল বাঙালি জাতির মুক্তির চাবিকাঠি। বঙ্গবন্ধুর এই কালজয়ী ভাষণ নিরস্ত্র জাতিকে স্বাধীনতার জন্য অস্ত্র ধরতে উৎসাহিত করেছিল। এটি ছিল স্বাধীনতার সকল প্রস্তুতির বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ জন্য একটি সম্পূর্ণ নির্দেশিকা। সেই ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাঙালি জাতি ছিনিয়ে আনে বহু কাঙ্খিত বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ স্বাধীনতা। সেই জ্বালাময়ী ভাষণ পরাধীন জাতিকে মুক্তির পথ বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ দেখিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর মতো এমন আবেদনময়ী ও দক্ষ দিকনির্দেশনামূলক বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ ভাষণ পৃথিবীর ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ বিরল। ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ স্বাধীনতার মন্ত্রে সব বয়সের মানুষকে উদ্বুদ্ধ বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ করেছিল।

30 অক্টোবর, 2016 তারিখে প্যারিসে অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর দ্বি-বার্ষিক বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে ‘বিশ্ব ঐতিহ্য দলিল’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। 15 সদস্যের একটি আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা কমিটি, ইউনেস্কোর দুই বছর ধরে বিভিন্ন তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের পর। “মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টার-2018” এ ভাষণটি অন্তর্ভুক্ত করেছে। দেরিতে হলেও ইউনেস্কোর বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ এই সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের জন্য আনন্দের। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ এখন আর শুধু বাঙালির নয়। এই ভাষণ সমগ্র বিশ্বের বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ জন্য একটি মূল্যবান এবং ঐতিহ্যগত সম্পদ হয়ে উঠেছে।

 

৭ মার্চের ভাষণের পটভূমি
৭ মার্চের ভাষণের পটভূমি বাঙালির ইতিহাসে এমন অনেক দিন আছে যা আমাদের মনে ৭ মার্চের ভাষণের পটভূমি রাখতে হবে। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার জীবনের শ্রেষ্ঠ ভাষণ দেন। ১০ লাখের বেশি মানুষের সামনে ৭ মার্চের ভাষণের পটভূমি পাকিস্তানি দস্যুদের কামান-মেশিনগানের ৭ মার্চের ভাষণের পটভূমি হুমকির মুখে সেদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেছিলেন ৭ মার্চের ভাষণের পটভূমি এবারের সংগ্রাম, আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। ‘

 

৭ই মার্চ সেই উত্তাল পরিস্থিতির কাছাকাছি ৭ মার্চের ভাষণের পটভূমি চলে আসে। সবার দৃষ্টি ৭ই মার্চের দিকে। ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে কী ৭ মার্চের ভাষণের পটভূমি বলবেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান? এটা পাকিস্তানের সামরিক ৭ মার্চের ভাষণের পটভূমি চক্রকেও ভাবিয়ে তুলেছে। কারণ তারা বুঝতে পেরেছে বাংলাদেশের মানুষের ওপর তাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। বিরোধীদলীয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথায় দেশ ৭ মার্চের ভাষণের পটভূমি পরিচালিত হচ্ছে। এ অবস্থায় ৭ মার্চের ভাষণের পটভূমি ৭ মার্চ রেসকোর্সের জনসভায় বঙ্গবন্ধু যদি স্বাধীনতার ঘোষণা দেন!

 

৭ মার্চের ভাষণের তাৎপর্য
৭ মার্চের ভাষণের তাৎপর্য উদ্বিগ্ন পাকিস্তানি সামরিক চক্র কৌশল অবলম্বন ৭ মার্চের ভাষণের তাৎপর্য করে। ৭ই মার্চের একদিন আগে অর্থাৎ ৭ই মার্চ জেনারেল ইয়াহিয়া খান টেলিফোনে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা আওয়ামী লীগ প্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণের তাৎপর্য সঙ্গে কথা বলেন। পূর্ব পাকিস্তান সামরিক সরকারের তৎকালীন তথ্য কর্মকর্তা মেজর সিদ্দিক সালিকের ৭ মার্চের ভাষণের তাৎপর্য ‘উইটনেস টু সারেন্ডার’ বইতে এই তথ্য রয়েছে। ৭ মার্চ জেনারেল ইয়াহিয়া তার দীর্ঘ টেলিফোন কথোপকথনে তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বলার চেষ্টা ৭ মার্চের ভাষণের তাৎপর্য করেন, “তিনি (বঙ্গবন্ধু) এমন কোনো কঠিন সিদ্ধান্ত নেবেন না যেখান থেকে ৭ মার্চের ভাষণের তাৎপর্য ফেরার কোনো পথ নেই।”

এমন এক কঠিন সংকটের মধ্যে ৭ মার্চ রেসকোর্সে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। বক্তৃতা শেষে বঙ্গবন্ধু বজ্রকণ্ঠে পাকিস্তানের সামরিক কর্তৃপক্ষকে চারটি শর্তে ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। ‘

 

৭ই মার্চের ভাষণ জাতির জন্য বিরল সম্মান ও গৌরবের
৭ই মার্চের ভাষণ জাতির জন্য বিরল সম্মান ও গৌরবের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার মহান দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে ৭ই মার্চের ভাষণ জাতির জন্য বিরল সম্মান ও গৌরবের তার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে যাত্রা শুরু করার আহ্বান ৭ই মার্চের ভাষণ জাতির জন্য বিরল সম্মান ও গৌরবের জানিয়েছেন। ৭ মার্চকে বাঙালি জাতির জীবনে একটি অবিস্মরণীয় দিন হিসেবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের এই দিনে দাঁড়িয়ে ১৮ মিনিটের মহাকাব্য রচনা করেছিলেন। ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দান ৭ই মার্চের ভাষণ জাতির জন্য বিরল সম্মান ও গৌরবের এখন শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।

শেখ হাসিনা বলেন, গত বছর আমরা এই মহান ভাষণের সুবর্ণ জয়ন্তী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন ৭ই মার্চের ভাষণ জাতির জন্য বিরল সম্মান ও গৌরবের করেছি। এ বছর আমরা ভাষা আন্দোলনের ৭০ বছর ও মুজিববর্ষ উদযাপন করছি। এমন এক মাহেন্দ্রক্ষণে আমি প্রথমবারের মতো ৭ই মার্চের ভাষণ জাতির জন্য বিরল সম্মান ও গৌরবের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চের ভাষণ জাতির জন্য বিরল সম্মান ও গৌরবের শেখ মুজিবুর রহমানকে। আমি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করছি জাতীয় চার নেতাকে, মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লাখ শহীদ ৭ই মার্চের ভাষণ জাতির জন্য বিরল সম্মান ও গৌরবের, দুই লাখ শ্রদ্ধেয় মা-বোন এবং অগণিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ৭ই মার্চের ভাষণ জাতির জন্য বিরল সম্মান ও গৌরবের যাদের মহান আত্মত্যাগের জন্য আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ।

 

 

ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ ভাষণ ৭ই মার্চের ভাষণ
ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ ভাষণ ৭ই মার্চের ভাষণ শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ মানব ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ ভাষণ। বঙ্গবন্ধুর এই ঐতিহাসিক ভাষণকে বিশ্ব ইতিহাসের প্রামাণিক ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ ভাষণ ৭ই মার্চের ভাষণ দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। তিনি বলেন, ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর নামে একটি আন্তর্জাতিক পুরস্কারও ঘোষণা করেছে। এ বছর প্যারিসে অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর ৪১তম সাধারণ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ পুরস্কার প্রদান করেন। মঙ্গলবার গোপালগঞ্জের শেখ মনি স্টেডিয়ামে ২০২১ সালের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ ভাষণ ৭ই মার্চের ভাষণ উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত গোপালগঞ্জ জেলা অভিযান মুক্ত দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের আঞ্চলিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ ভাষণ ৭ই মার্চের ভাষণ তিনি এসব কথা বলেন। গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলী খান, মুক্তিযোদ্ধা বদরুদ্দোজা বদর, মুক্তিযোদ্ধা ফিরোজ খান প্রমুখ। দীপু মনি বলেন, বিগত সরকার বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধকে মুছে দিতে ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ ভাষণ ৭ই মার্চের ভাষণ চেয়েছিল। ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করা হয়। তারা বাংলাদেশকে আবার পাকিস্তান বানাতে ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ ভাষণ ৭ই মার্চের ভাষণ চেয়েছিল। কিন্তু তারা সফল হয়নি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ অপ্রতিরোধ্য ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ ভাষণ ৭ই মার্চের ভাষণ গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।

 

 

৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ
৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) জাতির উদ্দেশে ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ঐতিহাসিক ভাষণ দেন বঙ্গবন্ধু। তার ভাষণ জাতিকে স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ করেছিল। 2016 সালে, UNESCO এই ঐতিহাসিক ভাষণটিকে বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণিক ঐতিহ্য ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। সেই ভাষণের সম্পূর্ণ বিবরণ।

আমি 1952 সালে রক্ত দিয়েছিলাম ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ। 1954 সালের নির্বাচনে জয়ী হয়েও মাদুরে বসতে ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ পারিনি। আইয়ুব খান ১৯৫৬ সালে সামরিক আইন জারি করে দশ বছর আমাদের দাস করে রেখেছিলেন। ১৯৬৬ সালের ৭ জুন ছয় দফা আন্দোলনে ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ আমার ছেলেদের গুলি করে হত্যা করা হয়। ১৯৬৯ সালের আন্দোলনে আইয়ুব খানের পতনের পর ইয়াহিয়া খান যখন সরকার ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ নেন তখন তিনি বলেছিলেন, দেশে সংবিধান দাও, গণতন্ত্র দাও। আমরা ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ একমত হলাম.

 

 

বঙ্গবন্ধুর ভাষণ লিখিত
বঙ্গবন্ধুর ভাষণ লিখিত নিচে দেওয়া হল। এই ঐতিহাসিক ভাষণটি ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ হিসাবে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ লিখিত পরিচিত। অনেকে এই ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ ভাষণ ৭ই মার্চের ভাষণ বলে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ লিখিত থাকে। তবে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ লিখিত এই ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ বঙ্গবন্ধুর ভাষণ লিখিত এর জন্যই বাঙালি এই দেশকে স্বাধীন করতে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ লিখিত পেরেছে।

“আজ দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আপনারা সবই জানেন এবং বুঝেন। আমরা আমাদের জীবন দিয়ে চেষ্টা করেছি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আজ ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, রংপুরে আমার ভাইয়ের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হয়েছে। আজ বাংলার মানুষ মুক্তি চায়, বাংলার মানুষ বাঁচতে চায়, বাংলার মানুষ তার অধিকার চায়। কী অন্যায় করেছিলাম, নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ সম্পূর্ণভাবে আমাকে আওয়ামী লীগকে ভোট দেন। আমাদের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি বসবে, আমরা সেখানে শাসনতন্ত্র তৈয়ার করব এবং এই দেশকে আমরা গড়ে তুলব, এ দেশের মানুষ অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তি পাবে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আজ দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, তেইশ বৎসরের করুণ ইতিহাস বাংলার অত্যাচারের, বাংলার মানুষের রক্তের ইতিহাস। তেইশ বৎসরের ইতিহাস মুমূর্ষু নর–নারীর আর্তনাদের ইতিহাস; বাংলার ইতিহাস এ দেশের মানুষের রক্ত দিয়ে রাজপথ রঞ্জিত করার ইতিহাস। ১৯৫২ সালে রক্ত দিয়েছি। ১৯৫৪ সালে নির্বাচনে জয়লাভ করেও আমরা গদিতে বসতে পারি নাই। ১৯৫৮ সালে আইয়ুব খান মার্শাল ল জারি করে দশ বৎসর পর্যন্ত আমাদের গোলাম করে রেখেছে। ১৯৬৬ সালে ছয় দফা আন্দোলনে ৭ই জুনে আমার ছেলেদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ১৯৬৯-এর আন্দোলনে আইয়ুব খানের পতন হওয়ার পর যখন ইয়াহিয়া খান সাহেব সরকার নিলেন, তিনি বললেন, দেশে শাসনতন্ত্র দেবেন, গণতন্ত্র দেবেন। আমরা মেনে নিলাম।

তারপরে অনেক ইতিহাস হয়ে গেল, নির্বাচন হলো। আমি প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান সাহেবের সঙ্গে দেখা করেছি। আমি, শুধু বাংলার নয়, পাকিস্তানের মেজরিটি পার্টির নেতা হিসাবে তাঁকে অনুরোধ করলাম, ১৫ই ফেব্রুয়ারি তারিখে আপনি জাতীয় পরিষদের অধিবেশন দেন। তিনি আমার কথা রাখলেন না, তিনি রাখলেন ভুট্টো সাহেবের কথা। তিনি বললেন, প্রথম সপ্তাহে মার্চ মাসে হবে। আমরা বললাম, ঠিক আছে, আমরা অ্যাসেম্বলিতে বসব। আমি বললাম, অ্যাসেম্বলির মধ্যে আলোচনা করব; এমনকি আমি এ পর্যন্ত বললাম, যদি কেউ ন্যায্য কথা বলে, আমরা সংখ্যায় বেশি হলেও, একজনও যদি সে হয়, তার ন্যায্য কথা আমরা মেনে নেব।

জনাব ভুট্টো সাহেব এখানে এসেছিলেন, আলোচনা করলেন। বলে গেলেন যে আলোচনার দরজা বন্ধ না, আরও আলোচনা হবে। তারপর অন্যান্য নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলাপ করলাম, আপনারা আসুন বসুন, আমরা আলাপ করে শাসনতন্ত্র তৈয়ার করি। তিনি বললেন, পশ্চিম পাকিস্তানের মেম্বাররা যদি এখানে আসেন, তাহলে কসাইখানা হবে অ্যাসেম্বলি। তিনি বললেন, যে যাবে তাকে মেরে ফেলে দেওয়া হবে। যদি কেউ অ্যাসেম্বলিতে আসে তাহলে পেশোয়ার থেকে করাচি পর্যন্ত দোকান জোর করে বন্ধ করা হবে। আমি বললাম, অ্যাসেম্বলি চলবে। তারপর হঠাৎ ১ তারিখে অ্যাসেম্বলি বন্ধ করে দেওয়া হলো। ইয়াহিয়া খান সাহেব প্রেসিডেন্ট হিসাবে অ্যাসেম্বলি ডেকেছিলেন। আমি বললাম যে, আমি যাব। ভুট্টো সাহেব বললেন, তিনি যাবেন না। ৩৫ জন সদস্য পশ্চিম পাকিস্তান থেকে এখানে আসলেন। তারপরে হঠাৎ বন্ধ করে দেওয়া হলো। দোষ দেওয়া হলো বাংলার মানুষকে, দোষ দেওয়া হলো আমাকে। বন্দুকের মুখে মানুষ প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠল। আমি বললাম, শান্তিপূর্ণভাবে আপনারা হরতাল পালন করেন। আমি বললাম, আপনারা কলকারখানা সবকিছু বন্ধ করে দেন। জনগণ সাড়া দিল। আপন ইচ্ছায় জনগণ রাস্তায় বেরিয়ে পড়ল। তারা শান্তিপূর্ণভাবে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলো।

মনে রাখবা, রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেব। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাল্লাহ্।
কী পেলাম আমরা? যে আমার পয়সা দিয়ে অস্ত্র কিনেছি বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য, আজ সেই অস্ত্র ব্যবহার হচ্ছে আমার দেশের গরিব-দুঃখী আর্ত মানুষের বিরুদ্ধে, তার বুকের উপর হচ্ছে গুলি। আমরা পাকিস্তানের সংখ্যাগুরু। আমরা বাঙালিরা যখনই ক্ষমতায় যাবার চেষ্টা করেছি, তখনই তারা আমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। টেলিফোনে আমার সঙ্গে তাঁর কথা হয়। তাঁকে আমি বলেছিলাম, জনাব ইয়াহিয়া খান সাহেব, আপনি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট, দেখে যান কীভাবে আমার গরিবের উপরে, আমার বাংলার মানুষের উপরে গুলি করা হয়েছে, কী করে আমার মায়ের কোল খালি করা হয়েছে। আপনি আসুন, দেখুন, বিচার করুন। তিনি বললেন, আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ১০ তারিখে রাউন্ড টেবিল কনফারেন্স ডাকব।

আমি বলেছি, কিসের বৈঠক বসবে, কার সঙ্গে বসব? যারা আমার মানুষের বুকের রক্ত নিয়েছে, তাদের সঙ্গে বসব? হঠাৎ আমার সঙ্গে পরামর্শ না করে পাঁচ ঘণ্টা গোপনে বৈঠক করে যে বক্তৃতা তিনি করেছেন, সমস্ত দোষ তিনি আমার উপরে দিয়েছেন, বাংলার মানুষের উপর দিয়েছেন। ভাইয়েরা আমার, ২৫ তারিখে অ্যাসেম্বলি কল করেছে। রক্তের দাগ শুকায় নাই। আমি ১০ তারিখে বলে দিয়েছি যে ওই শহীদের রক্তের উপর পা দিয়ে কিছুতেই মুজিবুর রহমান যোগদান করতে পারে না। অ্যাসেম্বলি কল করেছে। আমার দাবি মানতে হবে: প্রথম, সামরিক আইন মার্শাল ল উইথ ড্র করতে হবে, সমস্ত সামরিক বাহিনীর লোকদের ব্যারাকে ফেরত নিতে হবে, যেভাবে হত্যা করা হয়েছে তার তদন্ত করতে হবে, আর জনগণের প্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে । তারপর বিবেচনা করে দেখব, আমরা অ্যাসেম্বলিতে বসতে পারব কি পারব না। এর পূর্বে অ্যাসেম্বলিতে বসতে আমরা পারি না।

আমি, আমি প্রধানমন্ত্রিত্ব চাই না। আমরা এ দেশের মানুষের অধিকার চাই। আমি পরিষ্কার অক্ষরে বলে দিবার চাই যে আজ থেকে এই বাংলাদেশে কোর্ট-কাচারি, আদালত-ফৌজদারি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। গরিবের যাতে কষ্ট না হয়, যাতে আমার মানুষ কষ্ট না করে, সে জন্য সমস্ত অন্যান্য জিনিসগুলো আছে, সেগুলির হরতাল কাল থেকে চলবে না। রিকশা, গরুর গাড়ি চলবে, রেল চলবে, লঞ্চ চলবে; শুধু সেক্রেটারিয়েট, সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট, জজকোর্ট, সেমি গভর্নমেণ্ট দপ্তরগুলো, ওয়াপদা কোনো কিছু চলবে না।

২৮ তারিখে কর্মচারীরা বেতন নিয়ে আসবেন। এর পরে যদি বেতন দেওয়া না হয়, আর যদি একটা গুলি চলে, আর যদি আমার লোকদের হত্যা করা হয়, তোমাদের কাছে আমার অনুরোধ রইল, প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল। তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে, এবং জীবনের তরে রাস্তাঘাট যা যা আছে সবকিছু, আমি যদি হুকুম দিবার নাও পারি, তোমরা বন্ধ করে দেবে। আমরা ভাতে মারব, আমরা পানিতে মারব। তোমরা আমার ভাই, তোমরা ব্যারাকে থাকো, কেউ তোমাদের কিছু বলবে না। কিন্তু আর আমার বুকের উপর গুলি চালাবার চেষ্টা করো না। সাত কোটি মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবা না। আমরা যখন মরতে শিখেছি, তখন কেউ আমাদের দমাতে পারবে না।

আর যে সমস্ত লোক শহীদ হয়েছে, আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে, আমরা আওয়ামী লীগের থেকে যদ্দুর পারি তাদের সাহায্য করতে চেষ্টা করব। যারা পারেন আমার রিলিফ কমিটিতে সামান্য টাকাপয়সা পৌঁছিয়ে দেবেন। আর এই সাত দিন হরতালে যে সমস্ত শ্রমিক ভাইরা যোগদান করেছেন, প্রত্যেকটা শিল্পের মালিক তাঁদের বেতন পৌঁছায়ে দেবেন। সরকারি কর্মচারীদের বলি, আমি যা বলি তা মানতে হবে। যে পর্যন্ত আমার এই দেশের মুক্তি না হবে খাজনা-ট্যাক্স বন্ধ করে দেওয়া হলো, কেউ দেবে না। মনে রাখবেন, শত্রুবাহিনী ঢুকেছে, নিজেদের মধ্যে আত্মকলহ সৃষ্টি করবে, লুটপাট করবে। এই বাংলায় হিন্দু মুসলমান বাঙালি অবাঙালি যারা আছে, তারা আমাদের ভাই। তাদের রক্ষার দায়িত্ব আপনাদের উপরে। আমাদের যেন বদনাম না হয়। মনে রাখবেন রেডিও টেলিভিশনের কর্মচারীরা, যদি রেডিওতে আমাদের কথা না শোনেন, তাহলে কোনো বাঙালি রেডিও স্টেশনে যাবেন না। যদি টেলিভিশন আমাদের নিউজ না দেয়, কোনো বাঙালি টেলিভিশনে যাবেন না। দুই ঘণ্টা ব্যাংক খোলা থাকবে, যাতে মানুষ তাদের মায়নাপত্র নিবার পারে। কিন্তু পূর্ব বাংলা থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে এক পয়সাও চালান হতে পারবে না। টেলিফোন টেলিগ্রাম আমাদের এই পূর্ব বাংলায় চলবে এবং বিদেশের সঙ্গে নিউজ পাঠাতে চালাবেন। কিন্তু যদি এ দেশের মানুষকে খতম করার চেষ্টা করা হয়, বাঙালিরা বুঝে–শুনে কাজ করবেন। প্রত্যেক গ্রামে, প্রত্যেক মহল্লায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তোল এবং তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকো। মনে রাখবা, রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেব। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাল্লাহ্। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।

জয় বাংলা।”

সূত্র: বাংলাপিডিয়া, খণ্ড ১৩, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি

By নিজস্ব প্রতিবেদক

রংপুরের অল্প সময়ে গড়ে ওঠা পপুলার অনলাইন পর্টাল রংপুর ডেইলী যেখানে আমরা আমাদের জীবনের সাথে বাস্তবঘনিষ্ট আপডেট সংবাদ সর্বদা পাবলিশ করি। সর্বদা আপডেট পেতে আমাদের পর্টালটি নিয়মিত ভিজিট করুন।

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *