২০২২ সালেই দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে: মির্জা ফখরুল

নতুন বছর ২০২২ সালেই দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শনিবার সকালে এক অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ইংরেজি নতুন বর্ষে আমি, দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং ছাত্রদলের পক্ষ থেকে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আশা করছি, এই নববর্ষে ২০২২ সালে জনগণ মুক্ত হবে, গণতন্ত্র মুক্ত হবে এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন। দেশে অবশ্যই আমরা একটা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হব।’

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১০টায় ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি কাজী রওনকুল ইসলামের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সংসদের নেতাদের নিয়ে বিএনপির মহাসচিব শেরেবাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।১৯৭৯ সালের ১ জানুয়ারি শিক্ষা, ঐক্য ও প্রগতি—এই তিন মূলনীতিকে ধারণ করে জিয়াউর রহমান জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল গঠন করেন। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সকালের এই কর্মসূচির পর বেলা দুইটায় মহানগর নাট্যমঞ্চে রয়েছে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভা। দলের প্রতিষ্ঠাতার কবর জিয়ারতের পর বিএনপির মহাসচিব সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন।

খালেদা জিয়াকে মেরে ফেলার চক্রান্ত চলছে
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে লড়াই করছেন। আজকে ছাত্রদলের নেতারা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করে তাঁরা শপথ নিয়েছেন যে দেশনেত্রীর মুক্তি ও তাঁর সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য দেশের বাইরে পাঠানো এবং গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করার চলমান আন্দোলন আরও বেগবান করবে। ২০২২ সালে তা সফল হবে ইনশা আল্লাহ।’


এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘তাঁকে যে বন্দী করে রাখা হয়েছে এবং তাঁকে যে সাজা দেওয়া হয়েছে, এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক।আজকে তাঁকে যে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না সেটা কোনো আইনি ব্যাপার নয়, এটা প্রতিহিংসার বিষয়। আজকে শেখ হাসিনা তাঁর ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার কারণেই এ ধরনের একটা অবস্থা তৈরি করে রেখেছেন, যাতে দেশনেত্রী কোনো চিকিৎসার সুযোগ না পান। যে অসুখ তাঁর রয়েছে, তিনি যেন ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে চলে যান—এটাই তারা চাচ্ছেন। তবে আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, এর দায়দায়িত্ব সবই সরকারকেই বহন করতে হবে এবং এর পরিণতি যদি খারাপ হয়, তারও দায় তাদেরকে নিতে হবে।’

রাষ্ট্রপতির সংলাপ অর্থহীন
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা এ সংলাপকে অর্থহীন মনে করছি। আমরা মনে করি যে বর্তমান রাজনৈতিক সংকট, এই সংকট কোনো নির্বাচন কমিশন গঠনের সংকট নয় বা আইন তৈরির সংকট নয়। এই প্রধান যে সংকট, তা হচ্ছে নির্বাচনকালে কোন রকম সরকার থাকবে? সেটাই হচ্ছে প্রধান সংকট।’বিএনপির স্থায়ী কমিটি ইতিমধ্যে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত গণমাধ্যমকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে।

Leave a Comment